ঘিওর (মানিকগঞ্জ): কুস্তা ইছামতি নদীর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা ইছামতি নদীর উপর নির্মিত সেতুটি বন্যার পানির প্রবল স্রোতে পশ্চিম পাশের পাটাতন সম্পূর্ন নদীতে বিলিন যায়। এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের সাকোটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। ২৩ বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি পুর্ন নির্মান করা হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ১২/১৪টি গ্রামের হাজার- হাজার লোকজনকে বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে ইছামতি নদীর উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মান করা হয়। ইছামতী নদীর ভাঙ্গনে সেতুটির পশ্চিম পাশের সম্পূর্ন অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যায়। এবং পূর্ব পাশের দুইটি পাটাতন ধ্বসে যায়। ফলে এলাকার লোকজন যাতায়াতের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটির উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন কুস্তা, ঠাকুরকান্দি, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, বনগাঁও, নারচি, ও জিয়নপুর ইউনিয়নসহ ১০/১২টি গ্রামের শত শত লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। কোন ধরনের যানবাহনও চলাচল করতে পারছেনা। বন্যার সময় স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার বহু লোকজনের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা। ইছামতী নদীর প্রচন্ড স্রোতের কারনে প্রতি বছর বহু বাড়ি ঘড় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পার্শ্ববর্তী লোকজন বন্যার সময় আংর্তকে মধ্যে দিন কাটাতে হয়। ইছামতী নদীর কয়েক দফা ভাঙ্গনে কুস্তা গ্রামের অনেক বাড়ি, ঘড় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মোমারফ হোসেন মুশা বলেন, দীর্ঘ ২২/২৩টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি নির্মান না করার দরুন আমাদের যাতায়াতের চরম অসুবিধা হচ্ছে। বন্যা মৌসুমে আমাদের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা।
কুস্তা গ্রামের প্রকাশ দাশ, নিতিশ দাশসহ লোকজন বলেন, কয়েক বছরের বন্যায় আমাদের সেতুটি সম্পূর্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ৫ বছর আগে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। বর্তমানে বাঁশের সাকোটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। এলাকার ভ’ক্তভোগি লোকজন, দ্রুত নতুন সেতু নির্মানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সেতুটি নির্মানের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। তবে দ্রুত সিতুটি নির্মান হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। দ্রুত সেতুটি নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঘিওর (মানিকগঞ্জ): কুস্তা ইছামতি নদীর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত -সংবাদ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা ইছামতি নদীর উপর নির্মিত সেতুটি বন্যার পানির প্রবল স্রোতে পশ্চিম পাশের পাটাতন সম্পূর্ন নদীতে বিলিন যায়। এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের সাকোটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। ২৩ বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি পুর্ন নির্মান করা হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ১২/১৪টি গ্রামের হাজার- হাজার লোকজনকে বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে ইছামতি নদীর উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মান করা হয়। ইছামতী নদীর ভাঙ্গনে সেতুটির পশ্চিম পাশের সম্পূর্ন অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যায়। এবং পূর্ব পাশের দুইটি পাটাতন ধ্বসে যায়। ফলে এলাকার লোকজন যাতায়াতের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটির উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন কুস্তা, ঠাকুরকান্দি, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, বনগাঁও, নারচি, ও জিয়নপুর ইউনিয়নসহ ১০/১২টি গ্রামের শত শত লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। কোন ধরনের যানবাহনও চলাচল করতে পারছেনা। বন্যার সময় স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার বহু লোকজনের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা। ইছামতী নদীর প্রচন্ড স্রোতের কারনে প্রতি বছর বহু বাড়ি ঘড় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নদীর পার্শ্ববর্তী লোকজন বন্যার সময় আংর্তকে মধ্যে দিন কাটাতে হয়। ইছামতী নদীর কয়েক দফা ভাঙ্গনে কুস্তা গ্রামের অনেক বাড়ি, ঘড় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মোমারফ হোসেন মুশা বলেন, দীর্ঘ ২২/২৩টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি নির্মান না করার দরুন আমাদের যাতায়াতের চরম অসুবিধা হচ্ছে। বন্যা মৌসুমে আমাদের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা।
কুস্তা গ্রামের প্রকাশ দাশ, নিতিশ দাশসহ লোকজন বলেন, কয়েক বছরের বন্যায় আমাদের সেতুটি সম্পূর্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ৫ বছর আগে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। বর্তমানে বাঁশের সাকোটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। এলাকার ভ’ক্তভোগি লোকজন, দ্রুত নতুন সেতু নির্মানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সেতুটি নির্মানের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। তবে দ্রুত সিতুটি নির্মান হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। দ্রুত সেতুটি নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।