ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি শহরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমর্থকরা মশাল মিছিল করেছে। বিপরীতে একই সময়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো–র সমর্থকরাও ঝালকাঠি শহরে বড় একটি মিছিল বের করেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনে স্থানীয় রাজনীতিতে বিভাজন আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরে সাধনার মোড় থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সমর্থকরা বড় একটি মিছিল বের করেন, যাতে এক হাজারের মত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খলিফা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দ্বীন ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নাজমুল হাসান নয়ন, জেলা যুবদলের মো. সালেহ হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সুমন সরকারসহ হাজারো নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলেন ভুট্টো বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিছু মানুষ এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না, এটা দুঃখজনক। আমি মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলার সব নেতার সঙ্গে দেখা করেছি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়েই ধানের শীষের জন্য কাজ করব। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করাটা দুঃখজনক, এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারে। যা দলের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে।
এদিকে একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শহরে পেট্রোলপাম্প এলাকা থেকে জেলা বিএনপির একটি অংশ মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পূর্বচাঁদকাঠিতে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে অংশ নেয় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী। বক্তব্য রাখেন, ফারুক সরদার ও নয়ন মুন্সী।
বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইলেন ভুট্টো অতীতে আন্দোলনে ছিলেন না এবং তিনি সংস্কারপন্থি ছিলেন। তাদের দাবি দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাবুবুল হক নানু বা কেন্দ্রীয় নেত্রী জেবা আমিনা খানই তিন জনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা উচিত। ইলেন ভুট্টো জাতীয় পার্টি পরিবারের সদস্য। আন্দোলনের দিন তাকে পাওয়া যায়নি। তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি শহরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমর্থকরা মশাল মিছিল করেছে। বিপরীতে একই সময়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো–র সমর্থকরাও ঝালকাঠি শহরে বড় একটি মিছিল বের করেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনে স্থানীয় রাজনীতিতে বিভাজন আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরে সাধনার মোড় থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর সমর্থকরা বড় একটি মিছিল বের করেন, যাতে এক হাজারের মত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন খলিফা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দ্বীন ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. শাওন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নাজমুল হাসান নয়ন, জেলা যুবদলের মো. সালেহ হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সুমন সরকারসহ হাজারো নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলেন ভুট্টো বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিছু মানুষ এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না, এটা দুঃখজনক। আমি মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলার সব নেতার সঙ্গে দেখা করেছি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়েই ধানের শীষের জন্য কাজ করব। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করাটা দুঃখজনক, এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারে। যা দলের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে।
এদিকে একই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শহরে পেট্রোলপাম্প এলাকা থেকে জেলা বিএনপির একটি অংশ মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পূর্বচাঁদকাঠিতে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে অংশ নেয় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী। বক্তব্য রাখেন, ফারুক সরদার ও নয়ন মুন্সী।
বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, ইলেন ভুট্টো অতীতে আন্দোলনে ছিলেন না এবং তিনি সংস্কারপন্থি ছিলেন। তাদের দাবি দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহাবুবুল হক নানু বা কেন্দ্রীয় নেত্রী জেবা আমিনা খানই তিন জনের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা উচিত। ইলেন ভুট্টো জাতীয় পার্টি পরিবারের সদস্য। আন্দোলনের দিন তাকে পাওয়া যায়নি। তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।