মাদারীপুর : আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া দোকান -সংবাদ
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম লাউসারে গত সোমবার দিবাগত রাত ১ টার সময় তিনটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। মশার কয়েলের আগুন থেকে সূত্রপাত হয়ে থেকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম লাউসার গ্রামে গত রাত ১ টার দিকে একটি দোকান থেকে আগুন পাশের আরো দুইটি দোকানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা পাশ্ববর্তী বিল বাঘিয়ার মাছ ধরার জেলেরা দেখতে পেয়ে দ্রুতগতিতে তারা দোকানগুলোর কাছে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় এলাকাবাসী ও জেলেদের আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে। প্রাথমিক ভাবে তাদের ধারণা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ভুক্তভোগী কাপড় ব্যবসায়ী সুভাষ হালদার জানান, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এই কাপড়ের দোকান। এই দোকানের আয় দিয়ে আমাদের পুরো সংসার চলে। তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। দোকানের ক্যাশে থাকা ৮৫ হাজার টাকা, ১ টি সোনার চেন, ১ টি আংটি, ১ জোড়া কানের দুল, ৩ লাখ টাকার সিট কাপড়, থ্রিপিচ, শাড়ি কাপড়সহ মোট ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা অসহায়। আমাদের বেঁচে থাকার উপায় নেই। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই।
অপর এক কাপড় ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী সমর হালদারের মা রিতা হালদার জানান, আমারও এক মাত্র আয়ের উৎস এই কাপড়ের দোকান টুকু। তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমরা এখন কি ভাবে বাঁচব। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমার দোকানে ছিল ৩ টি সেলাই মেশিন, শাড়ি, সিট কাপড়, থ্রিপিচ সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই। তা না হলে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।
আরেক ভুক্তভোগী মুদি দোকানদার মনিমোহন মোড়লের ছেলে মঙ্গল মোড়ল? জানান, আমাদের এক মাত্র আয়ের পথ এই মুদি দোকান টুকু তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমাদের দোকানে ৩- ৪ লাখ টাকার চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন মুদি পণ্য ছিল তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই। যাতে করে পুনরায় দোকান দিয়ে বাঁচতে পারি।
প্রতিবেশি লিটু হালদার জানান, আগুন লাগে রাত ১ টার সময়, আগুন দেখে পার্শ্ববর্তী বাঘিয়ার বিলের মাছ ধরার জেলারা ও আমরা ছুটে যাই আগুন নিভানোর জন্য। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ২ টা? লেগে যায়। তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৩ টি দোকান মালিকের প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমি ক্ষতি গ্রস্থ ভুক্তভোগীদের জন্য সরকারের কাছে, সাহায্য কামনা করছি।
এই বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন খান জানিয়েছেন, আগুনের ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা খবর পাওয়ার আগেই এলাকাবাসী মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মাদারীপুর : আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া দোকান -সংবাদ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম লাউসারে গত সোমবার দিবাগত রাত ১ টার সময় তিনটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। মশার কয়েলের আগুন থেকে সূত্রপাত হয়ে থেকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম লাউসার গ্রামে গত রাত ১ টার দিকে একটি দোকান থেকে আগুন পাশের আরো দুইটি দোকানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা পাশ্ববর্তী বিল বাঘিয়ার মাছ ধরার জেলেরা দেখতে পেয়ে দ্রুতগতিতে তারা দোকানগুলোর কাছে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় এলাকাবাসী ও জেলেদের আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে। প্রাথমিক ভাবে তাদের ধারণা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ভুক্তভোগী কাপড় ব্যবসায়ী সুভাষ হালদার জানান, আমার একমাত্র আয়ের উৎস এই কাপড়ের দোকান। এই দোকানের আয় দিয়ে আমাদের পুরো সংসার চলে। তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। দোকানের ক্যাশে থাকা ৮৫ হাজার টাকা, ১ টি সোনার চেন, ১ টি আংটি, ১ জোড়া কানের দুল, ৩ লাখ টাকার সিট কাপড়, থ্রিপিচ, শাড়ি কাপড়সহ মোট ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা অসহায়। আমাদের বেঁচে থাকার উপায় নেই। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই।
অপর এক কাপড় ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী সমর হালদারের মা রিতা হালদার জানান, আমারও এক মাত্র আয়ের উৎস এই কাপড়ের দোকান টুকু। তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমরা এখন কি ভাবে বাঁচব। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমার দোকানে ছিল ৩ টি সেলাই মেশিন, শাড়ি, সিট কাপড়, থ্রিপিচ সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই। তা না হলে আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।
আরেক ভুক্তভোগী মুদি দোকানদার মনিমোহন মোড়লের ছেলে মঙ্গল মোড়ল? জানান, আমাদের এক মাত্র আয়ের পথ এই মুদি দোকান টুকু তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমাদের দোকানে ৩- ৪ লাখ টাকার চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন মুদি পণ্য ছিল তা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাই। যাতে করে পুনরায় দোকান দিয়ে বাঁচতে পারি।
প্রতিবেশি লিটু হালদার জানান, আগুন লাগে রাত ১ টার সময়, আগুন দেখে পার্শ্ববর্তী বাঘিয়ার বিলের মাছ ধরার জেলারা ও আমরা ছুটে যাই আগুন নিভানোর জন্য। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ২ টা? লেগে যায়। তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৩ টি দোকান মালিকের প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমি ক্ষতি গ্রস্থ ভুক্তভোগীদের জন্য সরকারের কাছে, সাহায্য কামনা করছি।
এই বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন খান জানিয়েছেন, আগুনের ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা খবর পাওয়ার আগেই এলাকাবাসী মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে।