ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর জেলার ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ ও বিধি বহির্ভূত এমপিওভুক্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত টিম। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রভাষক মোছা: হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জান গেছে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন স্বাক্ষরিত ৩১ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখের স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.০০০.১০৫-২৭.০০৪৭.২৩.৭৯২ এর আদেশে জানানো হয়, অভিযোগটি প্রতিদ্বন্দ্বী চাকরি প্রার্থী জাকারিয়া হোসেন দাখিল করেন, যেখানে বলা হয় যে, ইনডেক্স বিহীন একজন প্রার্থীকে (মোছা: হালিমা খাতুন) তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
২০১০ সালের নিয়োগে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা থাকা সত্ত্বেও মোছা: হালিমা খাতুনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন ও চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম নীতি বহির্ভূত।
অভিযোগ করাকালীন সময়ে অভিযোগকারী জাকারিয়া হোসেন একজন নিবন্ধনধারী ছিলেন যাহার রোল নং ৪০৮১০৪৭৬, ফলাফল প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ইং।
অপরদিকে, অভিযুক্ত হালিমা খাতুন ইনডেক্স পরীক্ষায় অংশ নেন ২০১৫ সালে যাহার রোল নং- ৪০৮০৩২৪৮, ফলাফল প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ইং সালে।
২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার কোনো মূল খাতা, আবেদনপত্র বা ফলাফলশিট কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্তদলকে দেখাতে পারেনি মর্মে তদন্ত সূত্রে জানা যায়। সরেজমিন তদন্তে ২০১০ ও ২০১৫ সালের নিয়োগ-সংক্রান্ত মূল নথিপত্র উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
অধিদপ্তর জানায়, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্তির আবেদন করায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৭.২, ১৮.১(৫), ১৮.১(চ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষের এমপিও বাতিলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। নীলফামারী জেলার ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ ও বিধি বহির্ভূত এমপিওভুক্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রভাষক মোছা: হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১০ সালের নিয়োগে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা থাকা সত্ত্বেও মোছা: হালিমা খাতুনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে।
তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম ও অসঙ্গতি রয়েছে এবং তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রকৃত নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে মোছা: হালিমা খাতুনকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
অধিদপ্তর জানায়, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্তির আবেদন করায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৭.২, ১৮.১(৫), ১৮.১(চ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষের এমপিও বাতিলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় এবিষয়ে কই সঙ্গে, অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তার এমপিও বাতিল করা হবে না এবং কেন মোছা: হালিমা খাতুনের স্থলে অভিযোগকারী জাকারিয়া হোসেনকে নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হবে না সে বিষয়ে ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হলে ইতিমধ্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক হালিমা খাতুন জানায়, নিয়োগ বিধি কাঠামো অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার নিয়োগ বৈধ হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাকে বেতনসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন। জাকারিয়া হোসেন নামের চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থী বিধি মোতাবেক চাকুরী না পাওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তিনি নীলফামারী আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। তদন্তে সেটিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেটি অভিযোগকারীর আপত্তির কারণে অধিকতর তদন্ত চলছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর জেলার ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ ও বিধি বহির্ভূত এমপিওভুক্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত টিম। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রভাষক মোছা: হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জান গেছে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন স্বাক্ষরিত ৩১ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখের স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.০০০.১০৫-২৭.০০৪৭.২৩.৭৯২ এর আদেশে জানানো হয়, অভিযোগটি প্রতিদ্বন্দ্বী চাকরি প্রার্থী জাকারিয়া হোসেন দাখিল করেন, যেখানে বলা হয় যে, ইনডেক্স বিহীন একজন প্রার্থীকে (মোছা: হালিমা খাতুন) তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
২০১০ সালের নিয়োগে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা থাকা সত্ত্বেও মোছা: হালিমা খাতুনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন ও চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম নীতি বহির্ভূত।
অভিযোগ করাকালীন সময়ে অভিযোগকারী জাকারিয়া হোসেন একজন নিবন্ধনধারী ছিলেন যাহার রোল নং ৪০৮১০৪৭৬, ফলাফল প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ইং।
অপরদিকে, অভিযুক্ত হালিমা খাতুন ইনডেক্স পরীক্ষায় অংশ নেন ২০১৫ সালে যাহার রোল নং- ৪০৮০৩২৪৮, ফলাফল প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ইং সালে।
২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার কোনো মূল খাতা, আবেদনপত্র বা ফলাফলশিট কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্তদলকে দেখাতে পারেনি মর্মে তদন্ত সূত্রে জানা যায়। সরেজমিন তদন্তে ২০১০ ও ২০১৫ সালের নিয়োগ-সংক্রান্ত মূল নথিপত্র উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
অধিদপ্তর জানায়, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্তির আবেদন করায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৭.২, ১৮.১(৫), ১৮.১(চ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষের এমপিও বাতিলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। নীলফামারী জেলার ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে ভুয়া নিয়োগ ও বিধি বহির্ভূত এমপিওভুক্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রভাষক মোছা: হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১০ সালের নিয়োগে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা থাকা সত্ত্বেও মোছা: হালিমা খাতুনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়, যা বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে।
তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়ম ও অসঙ্গতি রয়েছে এবং তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রকৃত নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে মোছা: হালিমা খাতুনকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
অধিদপ্তর জানায়, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্তির আবেদন করায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৭.২, ১৮.১(৫), ১৮.১(চ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষের এমপিও বাতিলসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় এবিষয়ে কই সঙ্গে, অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তার এমপিও বাতিল করা হবে না এবং কেন মোছা: হালিমা খাতুনের স্থলে অভিযোগকারী জাকারিয়া হোসেনকে নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হবে না সে বিষয়ে ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হলে ইতিমধ্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক হালিমা খাতুন জানায়, নিয়োগ বিধি কাঠামো অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার নিয়োগ বৈধ হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাকে বেতনসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন। জাকারিয়া হোসেন নামের চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থী বিধি মোতাবেক চাকুরী না পাওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তিনি নীলফামারী আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। তদন্তে সেটিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেটি অভিযোগকারীর আপত্তির কারণে অধিকতর তদন্ত চলছে।