ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বিদ্যুতায়িত ফাঁদে বন্যহাতি নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি-হরিণমারা মুরতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ধানচাষি শামসুল আলম নিজের ক্ষেতে ধান রক্ষার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তার স্থাপন করেন। রাতে খাবারের সন্ধানে আসা বন্যহাতিটি ওই তারে জড়িয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা মৃত হাতির দেহ দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে জানালে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান। উখিয়া রেঞ্জ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতির শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার চিহ্ন রয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ শকের কারণে মৃত্যু ধরা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করবে। দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে বন্যপ্রাণী হত্যা এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী ঘুষের বিনিময়ে বনাঞ্চলের ভিতরে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করছেন, যা বন্যপ্রাণীর জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে উখিয়া উপজেলায় ইতিমধ্যেই তিনটি বন্যহাতি হত্যা ঘটেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বিদ্যুতায়িত ফাঁদে বন্যহাতি নিহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি-হরিণমারা মুরতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ধানচাষি শামসুল আলম নিজের ক্ষেতে ধান রক্ষার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তার স্থাপন করেন। রাতে খাবারের সন্ধানে আসা বন্যহাতিটি ওই তারে জড়িয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা মৃত হাতির দেহ দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে জানালে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান। উখিয়া রেঞ্জ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতির শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার চিহ্ন রয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ শকের কারণে মৃত্যু ধরা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করবে। দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে বন্যপ্রাণী হত্যা এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী ঘুষের বিনিময়ে বনাঞ্চলের ভিতরে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করছেন, যা বন্যপ্রাণীর জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে উখিয়া উপজেলায় ইতিমধ্যেই তিনটি বন্যহাতি হত্যা ঘটেছে।