চরফ্যাসন (ভোলা) : কৃষকদের আবাদকৃত প্রায় ২ একর জমির ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ -সংবাদ
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার অন্তর্গত চর কলমী মৌজার ২ নম্বর সিটে ১৯ জন কৃষক ২৫ একর জমিতে একত্রে চলতি বছর আমন ধান চাষাবাদ করছেন। ওই কৃষকদের আবাদকৃত প্রায় ২ একর জমির ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে লাল মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে করে কৃষকরা বিপাকে রয়েছে।
কৃষক নাজিম হাওলাদার বলেন, চর কলমী মৌজার ২ নম্বর সিটে প্রায় ৬০ একর জমি সরকারিভাবে খাস। পরে সরকারকে বিবাদী করে একটি মামলা করি। ৬০ একর জমির মধ্যে ৩০ একর জমি নদীগর্ভে বাকি ৩০ একর জমি চাষযোগ্য। এর মধ্যে লাল মিয়াসহ দুজনকে আলাদা করে দিয়ে ১৯ জন কৃষক মিলে ২৫ একর জমিতে একত্রে আমন ধান চাষাবাদ করছি। বর্তমানে ধান কাটার উপযোগী। এর মধ্যে লাল মিয়া এবং তার লোকজনদের গরু দিয়ে প্রায় ২ একর জমির ধান খাইয়েছে। এতে করে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আমি খবর পেয়ে ধান দেখতে গেলে লাল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম, সায়েম ও সাগর আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
একইভাবে কামাল মুন্সী, আনিছ, ছগির আহমেদ নিপু বলেন, ‘আমরা লাল মিয়ার জমি আলাদা করে দিয়েছি। এবং সে তার জমিতে আলাদা চাষ করছে। আমরা ১৯জন কৃষক আমন ধান রোপনের পর থেকে লাল মিয়া, তার ছেলের ও তার কিছু লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর ব্যাপক অনিয়ম করে আসছে। এমনকি তাদের গরু দিয়ে আমাদের ২ একর জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে। অভিযোগের বিষয়ে লাল মিয়ার বড় ছেলে সাদ্দাম বলেন, ‘আমরা কারো সম্পত্তি দখল করতে চাইনা। ধান গরু দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে কথাটি সত্য নয়। জোয়ারের পানিতে ধান পঁচে গেছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভুঁইয়া জানান, নাজিম হওলাদার নামের এক কৃষককে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
চরফ্যাসন (ভোলা) : কৃষকদের আবাদকৃত প্রায় ২ একর জমির ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ -সংবাদ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার অন্তর্গত চর কলমী মৌজার ২ নম্বর সিটে ১৯ জন কৃষক ২৫ একর জমিতে একত্রে চলতি বছর আমন ধান চাষাবাদ করছেন। ওই কৃষকদের আবাদকৃত প্রায় ২ একর জমির ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে লাল মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে করে কৃষকরা বিপাকে রয়েছে।
কৃষক নাজিম হাওলাদার বলেন, চর কলমী মৌজার ২ নম্বর সিটে প্রায় ৬০ একর জমি সরকারিভাবে খাস। পরে সরকারকে বিবাদী করে একটি মামলা করি। ৬০ একর জমির মধ্যে ৩০ একর জমি নদীগর্ভে বাকি ৩০ একর জমি চাষযোগ্য। এর মধ্যে লাল মিয়াসহ দুজনকে আলাদা করে দিয়ে ১৯ জন কৃষক মিলে ২৫ একর জমিতে একত্রে আমন ধান চাষাবাদ করছি। বর্তমানে ধান কাটার উপযোগী। এর মধ্যে লাল মিয়া এবং তার লোকজনদের গরু দিয়ে প্রায় ২ একর জমির ধান খাইয়েছে। এতে করে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আমি খবর পেয়ে ধান দেখতে গেলে লাল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম, সায়েম ও সাগর আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
একইভাবে কামাল মুন্সী, আনিছ, ছগির আহমেদ নিপু বলেন, ‘আমরা লাল মিয়ার জমি আলাদা করে দিয়েছি। এবং সে তার জমিতে আলাদা চাষ করছে। আমরা ১৯জন কৃষক আমন ধান রোপনের পর থেকে লাল মিয়া, তার ছেলের ও তার কিছু লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর ব্যাপক অনিয়ম করে আসছে। এমনকি তাদের গরু দিয়ে আমাদের ২ একর জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে। অভিযোগের বিষয়ে লাল মিয়ার বড় ছেলে সাদ্দাম বলেন, ‘আমরা কারো সম্পত্তি দখল করতে চাইনা। ধান গরু দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে কথাটি সত্য নয়। জোয়ারের পানিতে ধান পঁচে গেছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভুঁইয়া জানান, নাজিম হওলাদার নামের এক কৃষককে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।