সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিজ নামে মার্কেট, ফ্ল্যাট বাসা চাকরিজীবী একাধিক সন্তান থাকার পরও এখন যেন বৃদ্ধা ফাতিমার কিছুই নেই। চিকিৎসার জন্য জেলা শহরের সবুজ থেরাপি ক্লিনিকের পার্শ্বে ভাড়াটে ছোট্ট একটি কুঠুরীতে একাকিত্ব দূর্বিসহ জীবনযাপন করছেন তিনি। চাকরিজীবী সন্তানরাসহ কোন সন্ধানই মায়ের সেবা দেয়া তো দূরের কথা এক পলক দেখার সময় তাদের হাতে নাই। সিরাজগঞ্জের মুক্তার পাড়া সবুজ থেরাপি ক্লিনিকের পার্শ্বের ঐ কুঠুরীতে মাসের পর মাস চিকিৎসার নামে বন্দী শালায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে অসহায় বৃদ্ধা ঐ মহিলার। গত সোমবার বেলা ১২ টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ফাতিমার কান্নার আওয়াজ কয়েক জন সংবাদ কর্মী। তখনই সংবাদ কর্মীরা তথ্য নিতে গেলে বৃদ্ধার দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, রায়গঞ্জের উপজেলা শহর নামে খ্যাত চান্দাইকোনা বাজারের বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী এই বৃদ্ধা ফাতিমা। চান্দাইকোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশেই ফ্ল্যাট বাসা ও মার্কেটের মালিক আশি উর্ধ বয়সী ফাতিমা।
ফাতিমা তিন পুত্র ও দুই মেয়ের জননী। পুত্র নাসু ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসার ও মিয়ে মাহবুবা খাতুন ভূইয়াগাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অন্য সন্তানরাও স্বাবলম্বী। পুত্র - কন্যারা ফ্লাট বাসা ও মার্কেট রেজিস্ট্রারি করে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করত তার উপর। কিন্তু রুগ্ন ফাতিমা তাদের এই হীন দাবি মেনে না নেওয়ায় নেমে আসত নানা ধরনের নির্যাতন।
অর্থ সম্পদের লোভ লালসা মানুষকে অমানুষ করে ফেলে। মানবিকতাকে ধ্বংস করে দেয়। বৃদ্ধা ফাতিমার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তথা সম্পদ যেন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই এক পর্যায়ে গত ৬ মাস পূর্বে চিকিৎসা দেয়ার নামে বাসা থেকে বের করে নেওয়া হয় একটি ক্লিনিকে। কিছু দিন পর তিনি অন্যের সহযোগিতা নিয়ে আশ্রয় নেন ক্লিনিকের পাশে একটি ভাড়াটে বাসায়। সেখানেই কয়েক মাস ধরে চলছে তার বন্দীশালায় মানবেতর জীবনযাপন। জীবনের শেষ সময়ে সন্তানদের পাশে না পেয়ে একাকিত্বে হতাশায় দুকে দুঃখে কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধা ফাতিমা।
স্বামী সন্তান, অর্থ সম্পদ সবকিছু থাকতেও বৃদ্ধা ফাতিমার কাছে এখন যেন কিছুই নেই। সব যেন পর হয়ে গিয়েছে। তাঁর হয় সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বন্দী দশা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কামনা করছেন তিনি। তবে তার স্বজন ও সন্তানরা তাদের উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিজ নামে মার্কেট, ফ্ল্যাট বাসা চাকরিজীবী একাধিক সন্তান থাকার পরও এখন যেন বৃদ্ধা ফাতিমার কিছুই নেই। চিকিৎসার জন্য জেলা শহরের সবুজ থেরাপি ক্লিনিকের পার্শ্বে ভাড়াটে ছোট্ট একটি কুঠুরীতে একাকিত্ব দূর্বিসহ জীবনযাপন করছেন তিনি। চাকরিজীবী সন্তানরাসহ কোন সন্ধানই মায়ের সেবা দেয়া তো দূরের কথা এক পলক দেখার সময় তাদের হাতে নাই। সিরাজগঞ্জের মুক্তার পাড়া সবুজ থেরাপি ক্লিনিকের পার্শ্বের ঐ কুঠুরীতে মাসের পর মাস চিকিৎসার নামে বন্দী শালায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে অসহায় বৃদ্ধা ঐ মহিলার। গত সোমবার বেলা ১২ টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ফাতিমার কান্নার আওয়াজ কয়েক জন সংবাদ কর্মী। তখনই সংবাদ কর্মীরা তথ্য নিতে গেলে বৃদ্ধার দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, রায়গঞ্জের উপজেলা শহর নামে খ্যাত চান্দাইকোনা বাজারের বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী এই বৃদ্ধা ফাতিমা। চান্দাইকোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশেই ফ্ল্যাট বাসা ও মার্কেটের মালিক আশি উর্ধ বয়সী ফাতিমা।
ফাতিমা তিন পুত্র ও দুই মেয়ের জননী। পুত্র নাসু ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসার ও মিয়ে মাহবুবা খাতুন ভূইয়াগাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অন্য সন্তানরাও স্বাবলম্বী। পুত্র - কন্যারা ফ্লাট বাসা ও মার্কেট রেজিস্ট্রারি করে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করত তার উপর। কিন্তু রুগ্ন ফাতিমা তাদের এই হীন দাবি মেনে না নেওয়ায় নেমে আসত নানা ধরনের নির্যাতন।
অর্থ সম্পদের লোভ লালসা মানুষকে অমানুষ করে ফেলে। মানবিকতাকে ধ্বংস করে দেয়। বৃদ্ধা ফাতিমার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। তথা সম্পদ যেন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই এক পর্যায়ে গত ৬ মাস পূর্বে চিকিৎসা দেয়ার নামে বাসা থেকে বের করে নেওয়া হয় একটি ক্লিনিকে। কিছু দিন পর তিনি অন্যের সহযোগিতা নিয়ে আশ্রয় নেন ক্লিনিকের পাশে একটি ভাড়াটে বাসায়। সেখানেই কয়েক মাস ধরে চলছে তার বন্দীশালায় মানবেতর জীবনযাপন। জীবনের শেষ সময়ে সন্তানদের পাশে না পেয়ে একাকিত্বে হতাশায় দুকে দুঃখে কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধা ফাতিমা।
স্বামী সন্তান, অর্থ সম্পদ সবকিছু থাকতেও বৃদ্ধা ফাতিমার কাছে এখন যেন কিছুই নেই। সব যেন পর হয়ে গিয়েছে। তাঁর হয় সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বন্দী দশা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কামনা করছেন তিনি। তবে তার স্বজন ও সন্তানরা তাদের উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।