alt

কার নির্দেশে সাংবাদিক সোহেলকে মধ্যরাতে ধরে নিয়েছিল ডিবি?

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মধ্যরাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর আবার ছেড়ে দেয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। ছাড়া পাওয়ার পর সোহেল এই ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন সরকারের একজন উপদেষ্টাকে, যদিও তিনি তার নাম নেননি। আবার এ ঘটনায় ফেইসবুকের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়বের নাম এসেছে।

সোহেলকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ছাড়া হয়

বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সংবাদ সম্মেলন ‘বন্ধ করার জন্য’ তাকে আটক করা হয়েছিল

গোয়েন্দা পুলিশ পুরো বিষয়টিকে তুলে ধরছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে

অভিযোগ একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে, নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার ফয়েজের

তবে ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব তা অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, একটি ‘স্বার্থান্বেষী মহল’ তার কাছ থেকে ‘সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে’ এ ধরনের ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে। আর গোয়েন্দা পুলিশ পুরো বিষয়টিকে তুলে ধরেছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে যান। এরপর বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে তাকে স্ত্রীর জিম্মায় বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম জানান।

একই ঘটনায় মোবাইল ফোনের ‘গ্রে মার্কেটের’ এক ব্যবসায়ী ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে রাত ৩টার দিকে তার মিরপুর ১ নম্বরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পিয়াস এখনও ডিবি হেফাজতেই রয়েছেন।

এদিকে সোহেল ছাড়া পাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে এক ফেইসবুক পোস্টে তার ভোগান্তির বর্ণনা দেন। তার ভাষ্য, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সংবাদ সম্মেলন ‘বন্ধ করার জন্য’ তাকে আটক করা হয়েছিল, কারণ তিনি ওই সংগঠনের মিডিয়া পরামর্শক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।

ফেইসবুক পোস্টে সোহেল বলেন, ‘গত রাত ১২টার দিকে ডিবি প্রধান আমার সঙ্গে কথা বলবেন, এই অজুহাতে ৫/৬ জন ডিবি সদস্য জোর করে আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ডিবিতে নিয়ে আসামির খাতায় আমার নাম লেখা হয়। জুতা-বেল্ট খুলে রেখে গারদে আসামিদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়।

‘কিন্তু কেন আমাকে আটক করা হলো? তা আমি যেমন জানতাম না, তেমনি যারা আমাকে তুলে এনেছিলেন বা ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারেননি। দীর্ঘ সময় পর বুঝতে পারলাম, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র ৯ জন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে মনোপলি ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার জন্যই আমাকে আটক করা হয়েছিল। আমার সঙ্গে সংগঠনের (এমবিসিবি) সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও আটক করা হয়।’

ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নিয়ে বুধবার ডিআরইউতে এমবিসিবির সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল জানিয়ে সোহেল লিখেছেন, ‘সেই প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই তাদের প্রধান টার্গেট ছিল। কিন্তু তাদের জন্য আফসোস, যে উদ্দেশ্যে তারা প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতে চাইলো, সেটা দেশের সবাই জেনে গেল।’

তার অভিযোগ, ‘দেশের মুক্ত বাণিজ্য নীতির সঙ্গে এনইআইআর স্পষ্টতই সাংঘর্ষিক। প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে দেশে প্রতিযোগিতা কমিশনও রয়েছে। অথচ মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে সারাদেশে ২৫ হাজার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর গভীর চক্রান্ত চলছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ,

প্রবাসীসহ অনেকেই বিপদে পড়বেন। একটা চেইন ভেঙে পড়বে। অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। জেনে রাখা ভালো, এই ৯ জনের একজন ওই উপদেষ্টার স্কুল বন্ধু।’

সোহেল লিখেছেন, ‘একটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকার কেন ভয় পায়? শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই কি আমাকে গভীর রাতে জোর করে তুলে নিতে হলো? যারা মুখে ‘বাকস্বাধীনতা’র বুলি আওড়ান, তারাই কি আমাকে বাকরুদ্ধ করতে এই আয়োজন করলেন? মগের মুল্লুকে এই কি তবে বাকস্বাধীনতার বাস্তব চিত্র?’

এদিকে রাতে সোহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবরের মধ্যেই ফেইসবুকে একাধিক ব্যক্তি এর পেছনে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবকে ইঙ্গিত করে পোস্ট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সোহেলের নাম উচ্চারণ না করে বলেন, ‘উনি নিজেও (ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব) জানেন আমি কার কথা বলছি।’

অস্বীকার ফয়েজের

সোহেলকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়ার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।

‘ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ শিরোনামের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের আলাপ করা হয়েছে।’

তৈয়্যব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এত কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই।

‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’

তৈয়্যব বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন প্রোপাগা-া মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে।’

ডিবি বলছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’

মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘উনি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই সভাপতি-সেক্রেটারির নাম ব্যবহার করেছিলেন। ‘পরে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারিকে ডেকে আনি এবং বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি হওয়ায় ভোর বেলা সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে বাসায় দিয়ে আসা হয়েছে।’

### সারাদেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা

স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) সারাদেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেয়ার প্রতিবাদেই তাদের এই কর্মসূচি।

বক্তারা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।’ একইসঙ্গে তারা ‘দেশ অচল’ করে দেয়ার হুমকিও দেন। কর্মসূচি ঘোষণার সময় বক্তারা আরও বলেন, ‘সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সব মোবাইল ফোন দোকান বন্ধ থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।’

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ পিয়াসকে ডিবি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পিয়াসের স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী সাংবা?দিক?দের জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ডিবি সদস্যরা পিয়াসের মোবাইল ফোনটিও জব্দ করে বলে জানান তিনি।

এমবিসিবির দাবি, তাদের অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা পিয়াসকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, নইলে তারা আরও কঠোর অবস্থান নেবে। ডিআরইউতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছেন তারা।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে চায় সরকার। কিন্তু বৈধ উপায়ে আনা মোবাইল হ্যান্ডসেটে উচ্চ হারে ট্যাক্স দিতে হবে। এতে কিছু ব্যবসায়ী লাভবান হবে। সেটা যেন না করতে পারে সেজন্য একটা সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এর আগেই বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের নেতা ও সুমাসটেক লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে আনার অভিযোগ করেন তারা।

তাকে ছাড়িয়ে নিতে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা অবস্থান নেন। ??দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সহ-সভাপতি শামীম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে এখান থেকে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা বাসায় ফিরব না।’ ?এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সাংবা?দিক?দের বলেন, ‘তাদের (মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী) প্রতিনিধিদের স?ঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তবে পিয়াসকে ডিবিতে নিয়ে এসেছেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি ডিবির এই কর্মকর্তা।

ছবি

ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশি ৩ যুবককে গুলি করে হত্যা, লাশ সাগরে ফেলে দেয়া হয়

চান্দিনায় ফুটওভার ব্রিজ এড়িয়ে পারাপার, বাসের ধাক্কায় ড্রামট্রাক চালকের মৃত্যু

ছবি

রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের অভিযোগে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক

ছবি

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মিস্টদের মানববন্ধন

ছবি

গাজীপুর রেডক্রিসেন্ট নির্বাচন: ভোটার তালিকায় অর্ধশতাধিক মৃত ব্যক্তি, ব্যবস্থা নিচ্ছেন ডিসি

ছবি

ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্য হাতির আক্রমণ, এক শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

এলো জুবিনের অপ্রকাশিত গান ‘অবুঝ পাখি’

ছবি

কুমড়া বড়ি বানিয়ে ঘুরছে নন্দীগ্রামের নারীদের চাকা

ছবি

সবকিছু থেকেও কিছুই নেই রায়গঞ্জের বৃদ্ধা ফাতিমার

ছবি

ভোলায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার

ছবি

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

ছবি

বেগমগঞ্জে ১২ মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

গজারিয়ায় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে উপকরণ বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা রতন

ছবি

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

চান্দিনায় ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ কাজে আসছে না

ছবি

তাহিরপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

জামালপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গ্রামপুলিশ

ছবি

গরু দিয়ে দুই একর জমির ধান খাওয়ানোর অভিযোগ

ছবি

নবীগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি

লালপুরে মোবাইল হ্যাকিং ও অনলাইন প্রতারণা বিষয়ে মতবিনিময় সভা

ছবি

উখিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতি হত্যা, অভিযুক্ত পলাতক

ছবি

ডিমলায় নিবন্ধন ছাড়াই নিয়োগের অভিযোগ

ছবি

ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

ছবি

চান্দিনার তীরচরে ডাকাতি, ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট

ছবি

পাঁচবিবিতে ৫৩১০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ

ছবি

নীলফামারীতে দরপতনেও ভাটা পরেনি আলুর চাষাবাদে

ছবি

রায়গঞ্জে ভগ্নিপতি ও ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে গরু ব্যবসায়ী খুন

ছবি

মোরেলগঞ্জে মাঠজুড়ে সোনালী ধানের সমরহ

ছবি

আক্কেলপুরে রেলগেটের উঁচু-নিচুতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা

ছবি

অবৈধ ইট ভাটার রাজ্য সুবর্ণচর, নিশ্চুপ প্রশাসন

ছবি

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা, চালক আহত

ছবি

সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

ছবি

ঝালকাঠিতে নিখোঁজ সবজি বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

রাজৈরে ৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

tab

কার নির্দেশে সাংবাদিক সোহেলকে মধ্যরাতে ধরে নিয়েছিল ডিবি?

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মধ্যরাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর আবার ছেড়ে দেয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। ছাড়া পাওয়ার পর সোহেল এই ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন সরকারের একজন উপদেষ্টাকে, যদিও তিনি তার নাম নেননি। আবার এ ঘটনায় ফেইসবুকের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়বের নাম এসেছে।

সোহেলকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর ছাড়া হয়

বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সংবাদ সম্মেলন ‘বন্ধ করার জন্য’ তাকে আটক করা হয়েছিল

গোয়েন্দা পুলিশ পুরো বিষয়টিকে তুলে ধরছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে

অভিযোগ একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে, নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার ফয়েজের

তবে ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব তা অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, একটি ‘স্বার্থান্বেষী মহল’ তার কাছ থেকে ‘সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে’ এ ধরনের ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে। আর গোয়েন্দা পুলিশ পুরো বিষয়টিকে তুলে ধরেছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে যান। এরপর বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে তাকে স্ত্রীর জিম্মায় বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম জানান।

একই ঘটনায় মোবাইল ফোনের ‘গ্রে মার্কেটের’ এক ব্যবসায়ী ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে রাত ৩টার দিকে তার মিরপুর ১ নম্বরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পিয়াস এখনও ডিবি হেফাজতেই রয়েছেন।

এদিকে সোহেল ছাড়া পাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে এক ফেইসবুক পোস্টে তার ভোগান্তির বর্ণনা দেন। তার ভাষ্য, মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সংবাদ সম্মেলন ‘বন্ধ করার জন্য’ তাকে আটক করা হয়েছিল, কারণ তিনি ওই সংগঠনের মিডিয়া পরামর্শক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।

ফেইসবুক পোস্টে সোহেল বলেন, ‘গত রাত ১২টার দিকে ডিবি প্রধান আমার সঙ্গে কথা বলবেন, এই অজুহাতে ৫/৬ জন ডিবি সদস্য জোর করে আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ডিবিতে নিয়ে আসামির খাতায় আমার নাম লেখা হয়। জুতা-বেল্ট খুলে রেখে গারদে আসামিদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়।

‘কিন্তু কেন আমাকে আটক করা হলো? তা আমি যেমন জানতাম না, তেমনি যারা আমাকে তুলে এনেছিলেন বা ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারেননি। দীর্ঘ সময় পর বুঝতে পারলাম, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র ৯ জন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে মনোপলি ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার জন্যই আমাকে আটক করা হয়েছিল। আমার সঙ্গে সংগঠনের (এমবিসিবি) সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও আটক করা হয়।’

ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নিয়ে বুধবার ডিআরইউতে এমবিসিবির সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল জানিয়ে সোহেল লিখেছেন, ‘সেই প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই তাদের প্রধান টার্গেট ছিল। কিন্তু তাদের জন্য আফসোস, যে উদ্দেশ্যে তারা প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতে চাইলো, সেটা দেশের সবাই জেনে গেল।’

তার অভিযোগ, ‘দেশের মুক্ত বাণিজ্য নীতির সঙ্গে এনইআইআর স্পষ্টতই সাংঘর্ষিক। প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে দেশে প্রতিযোগিতা কমিশনও রয়েছে। অথচ মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে সারাদেশে ২৫ হাজার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর গভীর চক্রান্ত চলছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ,

প্রবাসীসহ অনেকেই বিপদে পড়বেন। একটা চেইন ভেঙে পড়বে। অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। জেনে রাখা ভালো, এই ৯ জনের একজন ওই উপদেষ্টার স্কুল বন্ধু।’

সোহেল লিখেছেন, ‘একটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকার কেন ভয় পায়? শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই কি আমাকে গভীর রাতে জোর করে তুলে নিতে হলো? যারা মুখে ‘বাকস্বাধীনতা’র বুলি আওড়ান, তারাই কি আমাকে বাকরুদ্ধ করতে এই আয়োজন করলেন? মগের মুল্লুকে এই কি তবে বাকস্বাধীনতার বাস্তব চিত্র?’

এদিকে রাতে সোহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবরের মধ্যেই ফেইসবুকে একাধিক ব্যক্তি এর পেছনে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবকে ইঙ্গিত করে পোস্ট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সোহেলের নাম উচ্চারণ না করে বলেন, ‘উনি নিজেও (ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব) জানেন আমি কার কথা বলছি।’

অস্বীকার ফয়েজের

সোহেলকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়ার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।

‘ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ শিরোনামের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের আলাপ করা হয়েছে।’

তৈয়্যব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এত কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই।

‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’

তৈয়্যব বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন প্রোপাগা-া মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে।’

ডিবি বলছে ‘ভুল বোঝাবুঝি’

মিজানুর রহমান সোহেলকে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘উনি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই সভাপতি-সেক্রেটারির নাম ব্যবহার করেছিলেন। ‘পরে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারিকে ডেকে আনি এবং বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি হওয়ায় ভোর বেলা সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে বাসায় দিয়ে আসা হয়েছে।’

### সারাদেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা

স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) সারাদেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেয়ার প্রতিবাদেই তাদের এই কর্মসূচি।

বক্তারা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।’ একইসঙ্গে তারা ‘দেশ অচল’ করে দেয়ার হুমকিও দেন। কর্মসূচি ঘোষণার সময় বক্তারা আরও বলেন, ‘সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সব মোবাইল ফোন দোকান বন্ধ থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পিয়াসকে আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে তারা সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।’

গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ পিয়াসকে ডিবি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পিয়াসের স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী সাংবা?দিক?দের জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ডিবি সদস্যরা পিয়াসের মোবাইল ফোনটিও জব্দ করে বলে জানান তিনি।

এমবিসিবির দাবি, তাদের অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা পিয়াসকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, নইলে তারা আরও কঠোর অবস্থান নেবে। ডিআরইউতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছেন তারা।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে চায় সরকার। কিন্তু বৈধ উপায়ে আনা মোবাইল হ্যান্ডসেটে উচ্চ হারে ট্যাক্স দিতে হবে। এতে কিছু ব্যবসায়ী লাভবান হবে। সেটা যেন না করতে পারে সেজন্য একটা সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এর আগেই বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের নেতা ও সুমাসটেক লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে আনার অভিযোগ করেন তারা।

তাকে ছাড়িয়ে নিতে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা অবস্থান নেন। ??দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সহ-সভাপতি শামীম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে এখান থেকে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা বাসায় ফিরব না।’ ?এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সাংবা?দিক?দের বলেন, ‘তাদের (মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী) প্রতিনিধিদের স?ঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তবে পিয়াসকে ডিবিতে নিয়ে এসেছেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি ডিবির এই কর্মকর্তা।

back to top