নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিঘলীআলমপুর সড়কে সরকারি রাস্তার পাশের ৩১টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, ইউএনওথর নাম ভাঙিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া জানান, দিনের বেলায় সরকারি রাস্তার গাছ কাটে। রাতে পরিবহনের সময় কিছু গাছ আমরা আটক করি এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। তিনি আরও বলেন, ২৫-৩০ বছর আগে সরকারি ভাবে আমাদের জমির পাশে রাস্তায় যে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, গাছ বিক্রি হলে আমরা কিছু অংশ পাবো। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে ইউএনওথর নাম বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা রাস্তাটিকে পাকা করার অজুহাতে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। ৩০ বছর ধরে পাহারা দেওয়া গাছ, না জানিয়েই কেটে নিলো একই গ্রামের সনজু রহমান বলেন,
মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাদিস-এর সময়ে এসব গাছ লাগানো হয়েছিল। আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গাছ বিক্রি হলে আমরা কিছু টাকা পাবো। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন মিয়া সব গাছ কেটে নিয়ে গেছে। দিনে কাটানো রাতে সরানোর চেষ্টার কথাও স্থানীয় স্থানীয় যুবক নবেল জানান, দিঘলী–আলমপুর রাস্তা পাকা করা হবে বলে এই গাছগুলো কাটানো হয়েছে। আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন ভাই দিনের বেলায় গাছ কাটিয়েছে। পরে রাতে নেওয়ার সময় কিছু গাছ আমরা আটক করি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার জানান, মাসকা দিঘলী জিপিএস থেকে মাছিয়ালি গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হবে। এ কারণে ৩১টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, গাছ কাটায় কিছু নিয়ম মানা হয়নি। তিনি আরও জানান, রাস্তা পাকা করতে গিয়ে আরও কিছু গাছ কাটার প্রয়োজন হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগের অনুমোদন এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া লাগে। কিন্তু এই রাস্তায় গাছ কাটার আগে এসব নিয়ম মানা হয়নি। এটি পরিষ্কার অপরাধ। উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্ব ছিল টেন্ডার শেষে গাছ কেটে রাস্তার কাজ শুরু করা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ইউএনওথর নাম ভাঙিয়ে কেউ সরকারি গাছ কাটলে তা অপরাধ। আমরা বিষয়টি বন বিভাগকে জানিয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ভুঁইয়া সুমন বলেন, রাস্তা পাকা করার জন্য আমার নিজ খরচে গাছ কাটিয়ে এক জায়গায় রেখেছি। এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী ১৪ মাস থেকে ২ বছর আগে গাছ কাটা যায় না, কিন্তু রাস্তার কাজের সময়সীমা কম থাকায় দ্রুত সময়েই গাছ কাটতে হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিঘলীআলমপুর সড়কে সরকারি রাস্তার পাশের ৩১টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, ইউএনওথর নাম ভাঙিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া জানান, দিনের বেলায় সরকারি রাস্তার গাছ কাটে। রাতে পরিবহনের সময় কিছু গাছ আমরা আটক করি এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। তিনি আরও বলেন, ২৫-৩০ বছর আগে সরকারি ভাবে আমাদের জমির পাশে রাস্তায় যে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, গাছ বিক্রি হলে আমরা কিছু অংশ পাবো। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে ইউএনওথর নাম বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা রাস্তাটিকে পাকা করার অজুহাতে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। ৩০ বছর ধরে পাহারা দেওয়া গাছ, না জানিয়েই কেটে নিলো একই গ্রামের সনজু রহমান বলেন,
মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাদিস-এর সময়ে এসব গাছ লাগানো হয়েছিল। আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গাছ বিক্রি হলে আমরা কিছু টাকা পাবো। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন মিয়া সব গাছ কেটে নিয়ে গেছে। দিনে কাটানো রাতে সরানোর চেষ্টার কথাও স্থানীয় স্থানীয় যুবক নবেল জানান, দিঘলী–আলমপুর রাস্তা পাকা করা হবে বলে এই গাছগুলো কাটানো হয়েছে। আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন ভাই দিনের বেলায় গাছ কাটিয়েছে। পরে রাতে নেওয়ার সময় কিছু গাছ আমরা আটক করি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার জানান, মাসকা দিঘলী জিপিএস থেকে মাছিয়ালি গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হবে। এ কারণে ৩১টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, গাছ কাটায় কিছু নিয়ম মানা হয়নি। তিনি আরও জানান, রাস্তা পাকা করতে গিয়ে আরও কিছু গাছ কাটার প্রয়োজন হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগের অনুমোদন এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া লাগে। কিন্তু এই রাস্তায় গাছ কাটার আগে এসব নিয়ম মানা হয়নি। এটি পরিষ্কার অপরাধ। উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্ব ছিল টেন্ডার শেষে গাছ কেটে রাস্তার কাজ শুরু করা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ইউএনওথর নাম ভাঙিয়ে কেউ সরকারি গাছ কাটলে তা অপরাধ। আমরা বিষয়টি বন বিভাগকে জানিয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ভুঁইয়া সুমন বলেন, রাস্তা পাকা করার জন্য আমার নিজ খরচে গাছ কাটিয়ে এক জায়গায় রেখেছি। এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী ১৪ মাস থেকে ২ বছর আগে গাছ কাটা যায় না, কিন্তু রাস্তার কাজের সময়সীমা কম থাকায় দ্রুত সময়েই গাছ কাটতে হয়েছে।