তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : কৃত্রিম খেয়া। ভোগান্তি সাধারণেল -সংবাদ
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট টু তাহিরপুর উপজেলা সদরের শুকনো সড়কে পাতারগাও খালের মুখ বাধ দিয়ে পানি আটকিয়ে খেয়া পারাপার। ভোগান্তিতে জনসাধারণ খেয়া পারাপারের নামে ইজারাদার শুকনো সড়কেই প্রতি সপ্তাহে হাতিয়ে নিচ্ছে যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা।
বিষয়টি নিয়ে মোটর সাইকেল চালক সহ এই পথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মৌখিক অভিযোগ করে। উপজেলা সদর থেকে বাদাঘাট এলজিইডি সড়ক পথের দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। সড়কে পাতরগাও নামক স্থানটি বিগত বছরের বন্যায় ভেঙ্গে যাওযার কারনে এ পথে মোটর সাইকেল ও যাত্রী সাধারনের পারাপারের জন্য (যত দিন পানি থাকে তত দিন) চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে ইজারা প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিস। ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা পায় পাতারগাও গ্রামের আব্দুস সামাদ। সম্প্রতি পনের বিশদিন ধরে সড়কের পাতারগাও খালে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ইজারাদারদের লোকজন খালের মুখে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে নৌকা করে লোকজন পারাপার করছে। প্রতি মোটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা এবং যাত্রি প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ পথে উপজেলা সদরে যাতায়াত কারী বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, বাধ দিয়ে পানি আটকানো হযেছে। যাহাতে লোকজন নৌকা করে পারাপার হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইজারাদারদের একজন বলেন প্রতি সপ্তাহে এ ঘাটটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে কারনে এই স্থানে পানি আটকিয়ে রাখা হয়েছে। যাহাতে তারা আরোও কিছুদিন ব্যাবসা করতে পারে। ঘাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ বলেন,কৃষকরা জমিতে পানি ধরে রাখার জন্য বাধ দিয়েছে। বাধ ভেঙ্গে দিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। শুকনো সড়কে ইজারার নামে টাকা নেয়ার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই। উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি জাহিদুর রহমান বলেন,শুকিয়ে যাওয়া নদী বা খালে ইজারার টাকা নেযার নিয়ম নেই। ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি আমি বলবো। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান মানিক বলেন, বিষয়িটি অনেকে আমাকে জানিয়েছেন। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে দেযা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : কৃত্রিম খেয়া। ভোগান্তি সাধারণেল -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট টু তাহিরপুর উপজেলা সদরের শুকনো সড়কে পাতারগাও খালের মুখ বাধ দিয়ে পানি আটকিয়ে খেয়া পারাপার। ভোগান্তিতে জনসাধারণ খেয়া পারাপারের নামে ইজারাদার শুকনো সড়কেই প্রতি সপ্তাহে হাতিয়ে নিচ্ছে যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা।
বিষয়টি নিয়ে মোটর সাইকেল চালক সহ এই পথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মৌখিক অভিযোগ করে। উপজেলা সদর থেকে বাদাঘাট এলজিইডি সড়ক পথের দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। সড়কে পাতরগাও নামক স্থানটি বিগত বছরের বন্যায় ভেঙ্গে যাওযার কারনে এ পথে মোটর সাইকেল ও যাত্রী সাধারনের পারাপারের জন্য (যত দিন পানি থাকে তত দিন) চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে ইজারা প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিস। ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা পায় পাতারগাও গ্রামের আব্দুস সামাদ। সম্প্রতি পনের বিশদিন ধরে সড়কের পাতারগাও খালে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ইজারাদারদের লোকজন খালের মুখে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে নৌকা করে লোকজন পারাপার করছে। প্রতি মোটর সাইকেল থেকে ৩০ টাকা এবং যাত্রি প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ পথে উপজেলা সদরে যাতায়াত কারী বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, বাধ দিয়ে পানি আটকানো হযেছে। যাহাতে লোকজন নৌকা করে পারাপার হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইজারাদারদের একজন বলেন প্রতি সপ্তাহে এ ঘাটটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে কারনে এই স্থানে পানি আটকিয়ে রাখা হয়েছে। যাহাতে তারা আরোও কিছুদিন ব্যাবসা করতে পারে। ঘাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ বলেন,কৃষকরা জমিতে পানি ধরে রাখার জন্য বাধ দিয়েছে। বাধ ভেঙ্গে দিলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। শুকনো সড়কে ইজারার নামে টাকা নেয়ার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই। উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি জাহিদুর রহমান বলেন,শুকিয়ে যাওয়া নদী বা খালে ইজারার টাকা নেযার নিয়ম নেই। ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি আমি বলবো। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান মানিক বলেন, বিষয়িটি অনেকে আমাকে জানিয়েছেন। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে দেযা হবে।