ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক জিয়াউর রহমান (৪৫) নিখোঁজের একদিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতাকাল বুধবার সকালে আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া এলাকার একটি ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভাঙ্গুড়া বাজারের দোকান থেকে নিখোঁজ হন জিয়াউর রহমান। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা মহল্লার বাসিন্দা ও মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। ঘটনার দিনে দুপুরে খাবার নিয়ে দোকানে যান তাঁর ছোট ছেলে ইজাজ হোসেন। তিনি গিয়ে জানতে পারেন, কাউকে কিছু না বলে দোকান থেকে বেরিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। পরে দোকানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল, “দোকান সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”
চিরকুটে তাঁর নাম তারিখ ও ছিল। রাতেই নিখোঁজের ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ভোরে পরিবার জানতে পারে, বুধবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী–ঢাকা রেলপথের আটঘরিয়ার রোকনপুর ৯ নম্বর রেলব্রিজ এলাকায় ট্রেনে কাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ জিআরপি পুলিশ। পরে ব্রিজের নিচে লাশ ভাসতে দেখা যায়।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া চিরকুটটি থানায় রাখা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এবং তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক জিয়াউর রহমান (৪৫) নিখোঁজের একদিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতাকাল বুধবার সকালে আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া এলাকার একটি ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভাঙ্গুড়া বাজারের দোকান থেকে নিখোঁজ হন জিয়াউর রহমান। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা মহল্লার বাসিন্দা ও মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। ঘটনার দিনে দুপুরে খাবার নিয়ে দোকানে যান তাঁর ছোট ছেলে ইজাজ হোসেন। তিনি গিয়ে জানতে পারেন, কাউকে কিছু না বলে দোকান থেকে বেরিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। পরে দোকানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল, “দোকান সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”
চিরকুটে তাঁর নাম তারিখ ও ছিল। রাতেই নিখোঁজের ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ভোরে পরিবার জানতে পারে, বুধবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী–ঢাকা রেলপথের আটঘরিয়ার রোকনপুর ৯ নম্বর রেলব্রিজ এলাকায় ট্রেনে কাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ জিআরপি পুলিশ। পরে ব্রিজের নিচে লাশ ভাসতে দেখা যায়।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া চিরকুটটি থানায় রাখা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এবং তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।