মানিকগঞ্জ : ব্রিজে কাঠের পাটাতন দিয়ে পারাপার -সংবাদ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটি ভাঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ বীজে স্থানীয়রা কাঠের পাঠাত বসিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন। ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝেই ঘটছে মারাত্নক দূর্ঘটনা।
এদিকে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের দেলুয়া টু পাতিলাপাড়ার মাঝখানে ভোঁয়া এলাকার ভোঁয়া বাজারের কাছে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে কাঠের পাটাতন ফেলে কোনোমতে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন কিন্তু বন্ধ রয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল।
এতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ের ভোঁয়া, পাতিলাপাড়া, সাভার, আগ সাভার, হামজা, ছনকা, বরাইদসহ ১০ গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ভোঁয়া এলাকার আবু তাহেরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে প্রয়োজননের তাগিদে ভাঙ্গা ব্রীজে কাঠের পাঠাতন বসিয়ে কোনমতে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছি। দ্রুত ব্রীজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করছি।
কথা হয়নএকই এলাকার মোহাম্মদ আলীর সাথে তিনি বলেন, ওই ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের কারণে এলাকার কৃষকরা ফসলের বাজার মূল্য মন প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম দরে বিক্রি করছে। ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করলে ভারী যানবাহন আসতো তাতে আমরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাইতাম।
পথচারী সবুজ আহমেদ বলেন, আমরা পাতিলাপাড়া থেকে যখন সাটুরিয়া উপজেলায় যাতায়াত করি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের কারণে খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝেই ঘটছে মারাত্নক দূর্ঘটনা। তাই ব্রীজটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান তিনি।
মাসুদসহ একাধিক অটোরিক্সা চালক বলেন, বিকল্প সড়ক না থাকায় কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পেটের তাগিদে অটোরিক্সা চালাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোঁয়া এলাকাসহ পশ্চিমের প্রায় ১০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র প্রধান সড়কের উপর দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে এই সেতুটি। দ্রুত মেরামতের জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান বলেন,ওই ভাঙ্গা সেতুটি মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মানিকগঞ্জ : ব্রিজে কাঠের পাটাতন দিয়ে পারাপার -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটি ভাঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ বীজে স্থানীয়রা কাঠের পাঠাত বসিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন। ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝেই ঘটছে মারাত্নক দূর্ঘটনা।
এদিকে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের দেলুয়া টু পাতিলাপাড়ার মাঝখানে ভোঁয়া এলাকার ভোঁয়া বাজারের কাছে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে কাঠের পাটাতন ফেলে কোনোমতে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন কিন্তু বন্ধ রয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল।
এতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ের ভোঁয়া, পাতিলাপাড়া, সাভার, আগ সাভার, হামজা, ছনকা, বরাইদসহ ১০ গ্রামের ত্রিশ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ভোঁয়া এলাকার আবু তাহেরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে প্রয়োজননের তাগিদে ভাঙ্গা ব্রীজে কাঠের পাঠাতন বসিয়ে কোনমতে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছি। দ্রুত ব্রীজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করছি।
কথা হয়নএকই এলাকার মোহাম্মদ আলীর সাথে তিনি বলেন, ওই ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের কারণে এলাকার কৃষকরা ফসলের বাজার মূল্য মন প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কম দরে বিক্রি করছে। ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করলে ভারী যানবাহন আসতো তাতে আমরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাইতাম।
পথচারী সবুজ আহমেদ বলেন, আমরা পাতিলাপাড়া থেকে যখন সাটুরিয়া উপজেলায় যাতায়াত করি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের কারণে খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝেই ঘটছে মারাত্নক দূর্ঘটনা। তাই ব্রীজটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান তিনি।
মাসুদসহ একাধিক অটোরিক্সা চালক বলেন, বিকল্প সড়ক না থাকায় কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পেটের তাগিদে অটোরিক্সা চালাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোঁয়া এলাকাসহ পশ্চিমের প্রায় ১০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র প্রধান সড়কের উপর দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে এই সেতুটি। দ্রুত মেরামতের জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান বলেন,ওই ভাঙ্গা সেতুটি মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।