কৃষক পরিবারগুলোতে নবান্নের ঘনঘটা
চকরিয়া (কক্সবাজার) : চকরিয়ায় আমন কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৪৮ হাজার ৮৭৫ একর জমিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ধানক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে আলোকপাত ও পাচিং পদ্ধতি বসানোর কারণে সুফল হিসেবে এবার আমন চাষে আশাজাগানিয়া বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ধানক্ষেতের সোনালি ফসলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে কৃষি কর্মকর্তারা চলতি মৌসুমে আমন উৎপাদনে ৬৮ হাজার মেট্রিক টনের লক্ষ্যমাত্রা ডিঙিয়ে রেকর্ড ফলনের আশা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার প্রভৃতি জনপদে আমন কর্তন শুরু করেছেন কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্লকে উপস্থিত হয়ে আমন কর্তন তদারকি করছেন। আমনে আশানুরূপ ফলন এসেছে দেখে কৃষকদের মাঝেও অন্যরকম খুশির আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন কৃষক পরিবার গুলোতে আমন ফসল ঘরে তোলা নিয়ে নবান্নের উৎসবের ঘনঘটা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা ইশরাত জাহান সুইটি বলেন, এবছর প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জমিতে গিয়ে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ক্ষেতের সুরক্ষা নিশ্চিতের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া ও চাষাবাদে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যার বিপরীতে আমনে অভাবনীয় বাম্পার ফলন এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি অফিসার (হিসাব ও উন্নয়ন) মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর (৪৮ হাজার ৮৭৫ একর) জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তৎমধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে উপশী জাতের ও ২ হাজার ৫৫০হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো.মহিউদ্দিন বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আমন ফসল রক্ষাকল্পে চাষের শুরুতেই কৃষি বিভাগের ব্লক ভিত্তিক নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে উপস্থিত থেকে কৃষকদেরকে নানাভাবে কৃষি পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছে। মুলত কৃষকেরা নির্দেশনা মোতাবেক ধান ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে আলোকপাত ও পাচিং (খুঁটি স্থাপন) পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করেছে। এই পদ্ধতির সুফল হিসেবে কৃষকেরা আমনে ভাল ফলন পেয়েছে। চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, এবছর ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ উল্লেখিত জমিতে ৬৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এখন মাঠজুড়ে সোনালী ফসল আমনের বাম্পার ফলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ডিঙিয়ে আশাজাগানিয়া রেকর্ড উৎপাদন হবে।
তিনি বলেন, আমন চাষের শুরুতে সরকারি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধনভুক্ত প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ ও নানাধরণের কৃষিউপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরাও সরকারি এসব সুফল পেয়ে সানন্দে আমন ধান চাষে নেমে অন্যবছরের তুলনায় আশানুরূপ ভালো ফলন পেয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কৃষক পরিবারগুলোতে নবান্নের ঘনঘটা
চকরিয়া (কক্সবাজার) : চকরিয়ায় আমন কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৪৮ হাজার ৮৭৫ একর জমিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ধানক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে আলোকপাত ও পাচিং পদ্ধতি বসানোর কারণে সুফল হিসেবে এবার আমন চাষে আশাজাগানিয়া বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ধানক্ষেতের সোনালি ফসলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে কৃষি কর্মকর্তারা চলতি মৌসুমে আমন উৎপাদনে ৬৮ হাজার মেট্রিক টনের লক্ষ্যমাত্রা ডিঙিয়ে রেকর্ড ফলনের আশা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার প্রভৃতি জনপদে আমন কর্তন শুরু করেছেন কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্লকে উপস্থিত হয়ে আমন কর্তন তদারকি করছেন। আমনে আশানুরূপ ফলন এসেছে দেখে কৃষকদের মাঝেও অন্যরকম খুশির আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন কৃষক পরিবার গুলোতে আমন ফসল ঘরে তোলা নিয়ে নবান্নের উৎসবের ঘনঘটা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা ইশরাত জাহান সুইটি বলেন, এবছর প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জমিতে গিয়ে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ক্ষেতের সুরক্ষা নিশ্চিতের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া ও চাষাবাদে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যার বিপরীতে আমনে অভাবনীয় বাম্পার ফলন এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি অফিসার (হিসাব ও উন্নয়ন) মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর (৪৮ হাজার ৮৭৫ একর) জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তৎমধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে উপশী জাতের ও ২ হাজার ৫৫০হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো.মহিউদ্দিন বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আমন ফসল রক্ষাকল্পে চাষের শুরুতেই কৃষি বিভাগের ব্লক ভিত্তিক নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে উপস্থিত থেকে কৃষকদেরকে নানাভাবে কৃষি পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছে। মুলত কৃষকেরা নির্দেশনা মোতাবেক ধান ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে আলোকপাত ও পাচিং (খুঁটি স্থাপন) পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করেছে। এই পদ্ধতির সুফল হিসেবে কৃষকেরা আমনে ভাল ফলন পেয়েছে। চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, এবছর ১৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ উল্লেখিত জমিতে ৬৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এখন মাঠজুড়ে সোনালী ফসল আমনের বাম্পার ফলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ডিঙিয়ে আশাজাগানিয়া রেকর্ড উৎপাদন হবে।
তিনি বলেন, আমন চাষের শুরুতে সরকারি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধনভুক্ত প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ ও নানাধরণের কৃষিউপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরাও সরকারি এসব সুফল পেয়ে সানন্দে আমন ধান চাষে নেমে অন্যবছরের তুলনায় আশানুরূপ ভালো ফলন পেয়েছে।