ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বারোটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সব হাটবাজারে টানা পাঁচ দিন ধরে হাতি ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাহুতেরা বিশালাকার হাতিটিকে দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে শুঁড় বাড়িয়ে দেন এবং টাকা পাওয়া পর্যন্ত সেটিকে সরান না।দোকানের ধরনভেদে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কোথাও কোথাও আরও বেশি পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
সস্তার বাজার, পান্তাপাড়া, ভৈরবা, নেপা, যাদবপুর, নাটিমা, দত্তনগর, পুডপাড়াপ্রায় প্রতিটি বাজারেই একই কৌশলে চলছে এই চাঁদাবাজি।কেউ কেউ আনন্দে বা হাতি দেখার উচ্ছ্বাসে স্বেচ্ছায় টাকা দিলেও অধিকাংশ দোকানি ও পথচারী বিষয়টিকে সরাসরি ব্যবসায়িক হয়রানি বলেই মন্তব্য করছেন।মহেশপুর পৌরসভার পাঁচমাথা মোড়ের দোকানি মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, এটা প্রকাশ্য অন্যায়।দোকানের সামনে হাতি দাঁড় করিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অনুমতি ছাড়া হাতি নিয়ে ঘুরে চাঁদা আদায় করা দ-নীয় অপরাধ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি আইনত নিষিদ্ধ, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মাহুত নিজেই স্বীকার করেন, তিনি পাঁচ দিন ধরে মহেশপুরে ঘুরে প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেন, এই চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে স্বাভাবিক বাজার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং ব্যবসা বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বারোটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সব হাটবাজারে টানা পাঁচ দিন ধরে হাতি ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাহুতেরা বিশালাকার হাতিটিকে দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে শুঁড় বাড়িয়ে দেন এবং টাকা পাওয়া পর্যন্ত সেটিকে সরান না।দোকানের ধরনভেদে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কোথাও কোথাও আরও বেশি পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
সস্তার বাজার, পান্তাপাড়া, ভৈরবা, নেপা, যাদবপুর, নাটিমা, দত্তনগর, পুডপাড়াপ্রায় প্রতিটি বাজারেই একই কৌশলে চলছে এই চাঁদাবাজি।কেউ কেউ আনন্দে বা হাতি দেখার উচ্ছ্বাসে স্বেচ্ছায় টাকা দিলেও অধিকাংশ দোকানি ও পথচারী বিষয়টিকে সরাসরি ব্যবসায়িক হয়রানি বলেই মন্তব্য করছেন।মহেশপুর পৌরসভার পাঁচমাথা মোড়ের দোকানি মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, এটা প্রকাশ্য অন্যায়।দোকানের সামনে হাতি দাঁড় করিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অনুমতি ছাড়া হাতি নিয়ে ঘুরে চাঁদা আদায় করা দ-নীয় অপরাধ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি আইনত নিষিদ্ধ, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মাহুত নিজেই স্বীকার করেন, তিনি পাঁচ দিন ধরে মহেশপুরে ঘুরে প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করছেন।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেন, এই চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে স্বাভাবিক বাজার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং ব্যবসা বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।