খানাখন্দে ভরা সোনাপুর-আক্তার মিয়ার হাট সড়কে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে, যা যানবাহনের চলাচলকে বিপজ্জনক করে তুলেছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এর ফলে পথচারী বিশেষ করে রোগী, নারী ও শিশুরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর বাংলাবাজার মোড় থেকে সুবর্ণচর উপজেলার আক্তার মিয়ার হাট পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সোনাপুর-আক্তার মিয়ার হাট সড়কটি এক সময় সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ পথ ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চেহারা বদলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়তই সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকরা অভিযোগ করে বলেন- গর্ত, ভাঙা পিচ, কোথাও কাদার স্তূপ, সবমিলিয়ে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গর্তে পড়ে গাড়ি নষ্ট হয়, যাত্রীও পড়ে যায় অনেক সময়। সড়কটি মেরামত না করলে আমাদের আয়-উর্পাজন বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এই সড়কে পণ্য আনতে গিয়ে সময় দ্বিগুণ লাগে। ভাড়া বাড়ে, ক্রেতারাও দোকানে আসে না। সড়কের বেহাল দশার কারণে বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলেছেন, কয়েক বছর আগে সড়কটি আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় নেয়া হলেও তারপর থেকে কোনো সংস্কার হয়নি। মাঝে মধ্যে মাটি ফেলে সামান্য সংস্কারের কাজ হলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ভেঙে যায়। এতে শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না, অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে নিতে কষ্ট হয়। বর্ষাকালে তো একেবারে নদী মনে হয়! তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা। সওজ, সড়ক বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সোনাপুর-আক্তার মিয়ার হাট সড়কের বাংলাবাজার মোড় থেকে আক্তার মিয়ার হাট পর্যন্ত সড়কটি গত বছর তারা এলজিইডি থেকে সড়কের আওতায় নিয়েছেন। সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে তারা প্রকল্প প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন। অর্থ বরাদ্দ পেলেই তারা সড়কের কাজ শুরু করবেন।

নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তি যেমন বাড়ছে তেমনি স্থবির হয়ে পড়ছে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতি।

তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।