ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশে সম্প্রতি হালকা ও মাঝারি মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হলেও সেগুলোর কোনোটিই মাত্রার দিক দিয়ে শক্তিশালী বা প্রলয়ঙ্করী ছিল না। তবে গত ৩শ’ বছরে সেরকম কয়েকটি ভূমিকম্প ঘটেছে, সেগুলোর উৎপত্তিস্থল দেশের ভেতরে বা আশপাশের এলাকায় ছিল।
১৭৬২ সাল, টেকনাফ: টেকনাফ-মায়ানমার পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ফল্ট লাইনে ১৭৬২ সালে ৮.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ওই ভূমিকম্পেই সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রায় তিন মিটার ওপরে উঠে আসে; আগে সেটি ছিল ডুবন্ত দ্বীপ। সেবার সীতাকু-ে পাহাড়ে নিচ থেকে কাদা-বালুর উদগীরণ ঘটে, বঙ্গোপসাগরে বিশাল আকারের ঢেউ তৈরি হয়ে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়, প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই ভূমিকম্প ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে দেয়।
১৮৬৯ সাল, শিলচড়: রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প ‘কাচার আর্থকোয়াক’ নামে পরিচিতি পায়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের খুব কাছে জৈন্তা পাহাড়ের উত্তরাংশে অবস্থিত শিলচড়ে। সেই ভূমিকম্পে শিলচড়, নওগাং ও ইম্ফল এলাকায় বহু স্থাপনা ধসে পড়ে। তবে প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
১৮৮৫ সাল, মানিকগঞ্জ: ১৮৮৫ সালের ১৪ জুলাই এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭, উৎপত্তিস্থল ছিল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়। ভারতের সিকিম, বিহার, মনিপুর ও মিয়ানমার পর্যন্ত এর কম্পন অনুভূত হয়। ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং পাবনায় প্রাণহানি ঘটে।
১৮৯৭ সাল, শিলং : ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিত এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৭। উৎপত্তিস্থল ছিল মেঘালয়ের শিলং অঞ্চল। সেই ভূমিকম্পে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, সিলেটেই প্রাণহানির সংখ্যা ছিল পাঁচ শতাধিক। সিলেটের বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়, ময়মনসিংহ এবং দেশের উত্তরাঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেবার বিভিন্ন এলাকায় ফাটল দেখা দেয় এবং সুরমা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথে প্রভাব পড়ে।
১৯১৮ সাল, শ্রীমঙ্গল: ১৯১৮ সালের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৬, উৎপত্তিস্থল ছিল শ্রীমঙ্গলের বালিছড়া। সেবার শ্রীমঙ্গল ও ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১৯৯৭ সাল, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ৬.১ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ২৩ জনের মৃত্যু হয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি খুব বেশি হয়নি।
১৯৯৯, মহেশখালী: মহেশখালীতে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.২, সেবার অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
দেশে সম্প্রতি হালকা ও মাঝারি মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হলেও সেগুলোর কোনোটিই মাত্রার দিক দিয়ে শক্তিশালী বা প্রলয়ঙ্করী ছিল না। তবে গত ৩শ’ বছরে সেরকম কয়েকটি ভূমিকম্প ঘটেছে, সেগুলোর উৎপত্তিস্থল দেশের ভেতরে বা আশপাশের এলাকায় ছিল।
১৭৬২ সাল, টেকনাফ: টেকনাফ-মায়ানমার পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ফল্ট লাইনে ১৭৬২ সালে ৮.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ওই ভূমিকম্পেই সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রায় তিন মিটার ওপরে উঠে আসে; আগে সেটি ছিল ডুবন্ত দ্বীপ। সেবার সীতাকু-ে পাহাড়ে নিচ থেকে কাদা-বালুর উদগীরণ ঘটে, বঙ্গোপসাগরে বিশাল আকারের ঢেউ তৈরি হয়ে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়, প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই ভূমিকম্প ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে দেয়।
১৮৬৯ সাল, শিলচড়: রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প ‘কাচার আর্থকোয়াক’ নামে পরিচিতি পায়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের খুব কাছে জৈন্তা পাহাড়ের উত্তরাংশে অবস্থিত শিলচড়ে। সেই ভূমিকম্পে শিলচড়, নওগাং ও ইম্ফল এলাকায় বহু স্থাপনা ধসে পড়ে। তবে প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
১৮৮৫ সাল, মানিকগঞ্জ: ১৮৮৫ সালের ১৪ জুলাই এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭, উৎপত্তিস্থল ছিল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়। ভারতের সিকিম, বিহার, মনিপুর ও মিয়ানমার পর্যন্ত এর কম্পন অনুভূত হয়। ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং পাবনায় প্রাণহানি ঘটে।
১৮৯৭ সাল, শিলং : ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিত এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৭। উৎপত্তিস্থল ছিল মেঘালয়ের শিলং অঞ্চল। সেই ভূমিকম্পে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, সিলেটেই প্রাণহানির সংখ্যা ছিল পাঁচ শতাধিক। সিলেটের বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়, ময়মনসিংহ এবং দেশের উত্তরাঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেবার বিভিন্ন এলাকায় ফাটল দেখা দেয় এবং সুরমা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথে প্রভাব পড়ে।
১৯১৮ সাল, শ্রীমঙ্গল: ১৯১৮ সালের এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৬, উৎপত্তিস্থল ছিল শ্রীমঙ্গলের বালিছড়া। সেবার শ্রীমঙ্গল ও ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১৯৯৭ সাল, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ৬.১ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ২৩ জনের মৃত্যু হয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি খুব বেশি হয়নি।
১৯৯৯, মহেশখালী: মহেশখালীতে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.২, সেবার অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়।