হবিগঞ্জে কোনো প্রকার নবায়নকৃত লাইসেন্স বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অন্তত ১০৩টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া স্থানীয় পরিবেশ, কৃষিজমি ও জীববৈচিত্র্যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জেলার ৯০টি ইটভাটা সক্রিয়। তবে একটি ইটভাটারও বৈধ নবায়ন লাইসেন্স নেই।
বাহুবল, চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার উপজেলা সদর ও আবাসিক এলাকার নিকটেই এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। যা ইট পোড়ানোর নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯-এর পরিপন্থী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইটভাটা কেবল অকৃষি জমিতে স্থাপনের সুযোগ থাকলেও জেলার বহু স্থানে কৃষিজমি কেটে ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে।
বাহুবল, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বহু ইটভাটার নবায়ন মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তবুও এসব ভাটা অব্যাহতভাবে চালু রয়েছে।
মিতালী ব্রিকস, দি সান ব্রিকস, সুপার ব্রিকস, সায়হান ব্রিকস, সোনালী ব্রিকস, নাবিল ব্রিকস, এনআরবি ব্রিকস, কিবরীয়া ব্রিকস, হেরা ব্রিকস, নিউ হিরো ব্রিকস, ফোর স্টার ব্রিকস, জমজম ব্রিকস, সোনাই ব্রিকস, খোয়াই ব্রিকস, সাওন সৃজন ব্রিকস, নিউ তরফ ব্রিকস, ওমর শরীফ ব্রিকস, প্রীতম ব্রিকস, সীমান্ত ব্রিকস, কে এম ব্রিকস, এস এম ব্রিকস, মামুন ব্রিকস, স্টার ব্রিকস, নদী ব্রিকস, নিউ সাগর ব্রিকস, এশিয়া ব্রিকস, নিউ শাপলা ব্রিকস, বিশাল ব্রিকস, সানমুন ব্রিকস, নিউ মেঘনা ব্রিকস, নিউ সুজাত ব্রিকস, পদ্মা ব্রিকস-২, মেট্রো ব্রিকসসহ মোট ১০৩টি ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব ভাটা পরিচালনা করছেন মালিকরা। ফলে নিয়ম-নীতি কার্যকর হচ্ছে না।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, পরিবেশনীতি লঙ্ঘনকারী ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী জানান, অবৈধ ইটভাটার তালিকা বিভাগীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে; নির্দেশনা মিললে অভিযান পরিচালিত হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জে কোনো প্রকার নবায়নকৃত লাইসেন্স বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অন্তত ১০৩টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া স্থানীয় পরিবেশ, কৃষিজমি ও জীববৈচিত্র্যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জেলার ৯০টি ইটভাটা সক্রিয়। তবে একটি ইটভাটারও বৈধ নবায়ন লাইসেন্স নেই।
বাহুবল, চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার উপজেলা সদর ও আবাসিক এলাকার নিকটেই এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে। যা ইট পোড়ানোর নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯-এর পরিপন্থী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইটভাটা কেবল অকৃষি জমিতে স্থাপনের সুযোগ থাকলেও জেলার বহু স্থানে কৃষিজমি কেটে ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে।
বাহুবল, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় বহু ইটভাটার নবায়ন মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তবুও এসব ভাটা অব্যাহতভাবে চালু রয়েছে।
মিতালী ব্রিকস, দি সান ব্রিকস, সুপার ব্রিকস, সায়হান ব্রিকস, সোনালী ব্রিকস, নাবিল ব্রিকস, এনআরবি ব্রিকস, কিবরীয়া ব্রিকস, হেরা ব্রিকস, নিউ হিরো ব্রিকস, ফোর স্টার ব্রিকস, জমজম ব্রিকস, সোনাই ব্রিকস, খোয়াই ব্রিকস, সাওন সৃজন ব্রিকস, নিউ তরফ ব্রিকস, ওমর শরীফ ব্রিকস, প্রীতম ব্রিকস, সীমান্ত ব্রিকস, কে এম ব্রিকস, এস এম ব্রিকস, মামুন ব্রিকস, স্টার ব্রিকস, নদী ব্রিকস, নিউ সাগর ব্রিকস, এশিয়া ব্রিকস, নিউ শাপলা ব্রিকস, বিশাল ব্রিকস, সানমুন ব্রিকস, নিউ মেঘনা ব্রিকস, নিউ সুজাত ব্রিকস, পদ্মা ব্রিকস-২, মেট্রো ব্রিকসসহ মোট ১০৩টি ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব ভাটা পরিচালনা করছেন মালিকরা। ফলে নিয়ম-নীতি কার্যকর হচ্ছে না।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, পরিবেশনীতি লঙ্ঘনকারী ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী জানান, অবৈধ ইটভাটার তালিকা বিভাগীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে; নির্দেশনা মিললে অভিযান পরিচালিত হবে।