আদমদীঘি (বগুড়া) : হাট বাজারে শাক-সবজির ব্যাপক আমদানী কিন্তু দাম চড়া। তিলকপুর হাট থেকে তোলা ছবি -সংবাদ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গত এক সপ্তাহে ব্যাপকহারে বেড়েছে শাক-সবজির দাম। হঠাৎ করে শাক-সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শাক-সবজির পাশাপশি বেড়েছে পিঁয়াজ ও কাাঁচা মরিচের দাম। প্রতিটি সবজি ও শাকের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা।
শাক-সবজির দাম বাড়লেও হাট বাজারে শাক-সবজির আমদানির কোন প্রকার কমতি নেই। শীতের শুরুতে আদমদীঘি উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে বিপূল পরিমান শীতকালীন শাক-সবজির আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাট,আদমদীঘি হাট,ছাতিয়ানগ্রাম ও চাঁপাপুর হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিটি হাটে সকল প্রকার শাক-সবজির চড়া মুল্যে কেনাবেচা হচ্ছে । গত এক সপ্তাহ আগে হাট বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। মুলা, পালং শাক, শিম, কফি, বেগুন কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। একই ভাবে পিয়াঁজ, কাঁচা মরিচ ও আদার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে।
সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে হাট করতে আসা অটোরিকশা চালক বিপ্লব হোসেন বলেন, যে হারে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে তাতে করে আমাদের প্রতি নি¤œ আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ টাকার বেশি আয় করতে পারি না। চাল কিনতেই সব টাকা ফুড়িয়ে যায় মাছ মাংশ কেনার কথা ভাবতে পারি না। শাক-সবজির দাম কম থাকলে কোনমত খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে পারতাম। বর্তমানে সেই শাক-সবজির মুল্য যে হারে বেড়েছে তাতে করে আমাদের মত মানুষদের নুন ভাত খেয়ে বাঁচতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দুলাল হোসেন বলেন, শীতকালে শাক-সবজির ব্যাপক আমদানি থাকে হাট বাজারে,কিন্তু এ বছর শাক-সবজির আমদানী থাকলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। মাছ কিনলে তরকারি কেনার টাকা থাকে না আবার তরকারি কিনলে মাছ কেনার টাকা থাকে না। আমাদের মত মধ্যবৃত্ত শ্রেণির মানুষরা এখন চরম বিপদে রয়েছেন,না পারছি সইতে না পারছি বলতে।
ছাতিয়ানগ্রাম হাটের সবজি বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে শাক-সবজির দাম কম থাকে কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে হাট বাজারে। তবে কিছু দিন পর এই দাম কিছুটা হলেও কমতে শুরু করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আদমদীঘি (বগুড়া) : হাট বাজারে শাক-সবজির ব্যাপক আমদানী কিন্তু দাম চড়া। তিলকপুর হাট থেকে তোলা ছবি -সংবাদ
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গত এক সপ্তাহে ব্যাপকহারে বেড়েছে শাক-সবজির দাম। হঠাৎ করে শাক-সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শাক-সবজির পাশাপশি বেড়েছে পিঁয়াজ ও কাাঁচা মরিচের দাম। প্রতিটি সবজি ও শাকের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা।
শাক-সবজির দাম বাড়লেও হাট বাজারে শাক-সবজির আমদানির কোন প্রকার কমতি নেই। শীতের শুরুতে আদমদীঘি উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে বিপূল পরিমান শীতকালীন শাক-সবজির আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাট,আদমদীঘি হাট,ছাতিয়ানগ্রাম ও চাঁপাপুর হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিটি হাটে সকল প্রকার শাক-সবজির চড়া মুল্যে কেনাবেচা হচ্ছে । গত এক সপ্তাহ আগে হাট বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। মুলা, পালং শাক, শিম, কফি, বেগুন কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। একই ভাবে পিয়াঁজ, কাঁচা মরিচ ও আদার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে।
সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে হাট করতে আসা অটোরিকশা চালক বিপ্লব হোসেন বলেন, যে হারে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে তাতে করে আমাদের প্রতি নি¤œ আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ টাকার বেশি আয় করতে পারি না। চাল কিনতেই সব টাকা ফুড়িয়ে যায় মাছ মাংশ কেনার কথা ভাবতে পারি না। শাক-সবজির দাম কম থাকলে কোনমত খেয়ে না খেয়ে বাঁচতে পারতাম। বর্তমানে সেই শাক-সবজির মুল্য যে হারে বেড়েছে তাতে করে আমাদের মত মানুষদের নুন ভাত খেয়ে বাঁচতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দুলাল হোসেন বলেন, শীতকালে শাক-সবজির ব্যাপক আমদানি থাকে হাট বাজারে,কিন্তু এ বছর শাক-সবজির আমদানী থাকলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। মাছ কিনলে তরকারি কেনার টাকা থাকে না আবার তরকারি কিনলে মাছ কেনার টাকা থাকে না। আমাদের মত মধ্যবৃত্ত শ্রেণির মানুষরা এখন চরম বিপদে রয়েছেন,না পারছি সইতে না পারছি বলতে।
ছাতিয়ানগ্রাম হাটের সবজি বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে শাক-সবজির দাম কম থাকে কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে হাট বাজারে। তবে কিছু দিন পর এই দাম কিছুটা হলেও কমতে শুরু করবে।