কেশবপুর (যশোর) : জলাবদ্ধ পৌর এলাকার বলধালী বিল -সংবাদ
বোরো মওসুমের আগেই বিলের পানি নিষ্কাশন না করে হরি নদীর শাখা আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পানি সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভাপতি/সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮১.৫ কিলোমিটার নদী পুণ:খননের জন্য ২০ নভেম্বর থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এখবর জানতে পেরে জলাবদ্ধ এলাকার জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। গেল বর্ষা মওসুমে এ উপজেলার পৌর শহরসহ বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের প্রায় ৮০টি বিল এখনও জলাবদ্ধ। এসব বিলের পানি নিষ্কাশন না করে হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিলে জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হবে।
বেলোকাটি গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলতি বোরো মওসুমে এসব বিলে কোন ফসল আবাদ হবে না। বছরের একমাত্র ফসল বোরো আবাদ না হলে এসব এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। গো খাদ্যের চরম সংকটে হুমকির মুখে পড়বে এলাকার পশু সম্পদ। ঘের মালিকদের সাথে জমির মালিক কৃষকদের চুক্তি অনুযায়ী এ অঞ্চলের বোরো মওসুমে চাষ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভাপতি মহিরউদ্দীন বিশ^াস বলেন, হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকায় চলতি বোরো মওসুমে কেশবপুর, মনিরামপুর, যশোর সদর, অভয়নগর, তালা, ডুমুরিয়াসহ ৭ উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বিলের পানি সেচপাম্পের মাধ্যমে নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করা হয়। ফলে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধান ও ৫০০ কোটি টাকার ঊর্ধে গো খাদ্য বিচালী উৎপাদন হয়। বিলের পানি নিষ্কাশন না করে এমুহূর্তে হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে খনন প্রকল্প শুরু করলে জলাবদ্ধতায় বিলে কোন ফসলসহ বিচালী উৎপাদন হবে না। ফলে ৭ উপজেলার লক্ষ লক্ষ জনগণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সন্মুখীন হবে। এঅবস্থায় আগামী ২০২৬ সালে ফেব্রয়ারি মাস থেকে হরি নদীর শাখা আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে নদী খননকার্য শুরু করার দাবিতে ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কেশবপুর (যশোর) : জলাবদ্ধ পৌর এলাকার বলধালী বিল -সংবাদ
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
বোরো মওসুমের আগেই বিলের পানি নিষ্কাশন না করে হরি নদীর শাখা আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পানি সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভাপতি/সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮১.৫ কিলোমিটার নদী পুণ:খননের জন্য ২০ নভেম্বর থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এখবর জানতে পেরে জলাবদ্ধ এলাকার জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। গেল বর্ষা মওসুমে এ উপজেলার পৌর শহরসহ বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের প্রায় ৮০টি বিল এখনও জলাবদ্ধ। এসব বিলের পানি নিষ্কাশন না করে হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিলে জলাবদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হবে।
বেলোকাটি গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলতি বোরো মওসুমে এসব বিলে কোন ফসল আবাদ হবে না। বছরের একমাত্র ফসল বোরো আবাদ না হলে এসব এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। গো খাদ্যের চরম সংকটে হুমকির মুখে পড়বে এলাকার পশু সম্পদ। ঘের মালিকদের সাথে জমির মালিক কৃষকদের চুক্তি অনুযায়ী এ অঞ্চলের বোরো মওসুমে চাষ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভাপতি মহিরউদ্দীন বিশ^াস বলেন, হরি-ঘ্যাংরাইল অববাহিকায় চলতি বোরো মওসুমে কেশবপুর, মনিরামপুর, যশোর সদর, অভয়নগর, তালা, ডুমুরিয়াসহ ৭ উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বিলের পানি সেচপাম্পের মাধ্যমে নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করা হয়। ফলে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধান ও ৫০০ কোটি টাকার ঊর্ধে গো খাদ্য বিচালী উৎপাদন হয়। বিলের পানি নিষ্কাশন না করে এমুহূর্তে হরি নদীর সংযোগস্থল আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে খনন প্রকল্প শুরু করলে জলাবদ্ধতায় বিলে কোন ফসলসহ বিচালী উৎপাদন হবে না। ফলে ৭ উপজেলার লক্ষ লক্ষ জনগণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সন্মুখীন হবে। এঅবস্থায় আগামী ২০২৬ সালে ফেব্রয়ারি মাস থেকে হরি নদীর শাখা আপারভদ্রা নদীর মুখে ক্রসবাঁধ দিয়ে নদী খননকার্য শুরু করার দাবিতে ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়।