ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ভূতত্ত্ব বিভাগ -সংবাদ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। এছাড়া নরসিংদীতে ভূমিকম্পে ক্ষতি নিরূপণ করাসহ ভূমিকম্পে ফাটল ধরা সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে পৌরসভা।
ভূমিকম্পে সৃষ্ট ফাটল এলাকা শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭ সদস্যের একটি দল পরিদর্শন ও নমুনা মাটি সংগ্রহ করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ। তারা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্ম ও পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ধসে পড়া মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
এসময় আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ফাটল ধরা মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। এসব নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে বা কতটুকু গভীরতায় হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে, কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) উপকেন্দ্র বলছে উৎপত্তিস্থল নরসিংদী সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন, ৬শ’ ছাড়িয়েছে আহতের সংখ্যা।
নরসিংদীতে ক্ষতি নিরূপণে কমিটি
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে ক্ষতি নিরূপণ করাসহ ভূমিকম্পে ফাটল ধরা সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা চিহ্নিত করণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে নরসিংদী শহরে হেলে পড়া বা ফাটল ধরা ভবন চিহ্নিত করতে পৌর কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখা, নরসিংদীর উপ-পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রধান করে গঠন করা এ কমিটি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ের কমিটি মোট ক্ষতির পরিসংখ্যান নির্ধারণ করা হবে বলে জানান পৌর প্রশাসক। এর মধ্যেই পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৪টি আবাসিক ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজে ফাটলসহ শতাধিক ভবনে ছোট ছোট ফাটলের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো অনুসন্ধানের পর সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাবে জেলা প্রশাসন।
ভূমিকম্পের পর আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের সংযোগ গত শুক্রবার রাতেই মেরামত করা হয়েছে। দেশে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ভূমিকম্পে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ভূতত্ত্ব বিভাগ -সংবাদ
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। এছাড়া নরসিংদীতে ভূমিকম্পে ক্ষতি নিরূপণ করাসহ ভূমিকম্পে ফাটল ধরা সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে পৌরসভা।
ভূমিকম্পে সৃষ্ট ফাটল এলাকা শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগের ৭ সদস্যের একটি দল পরিদর্শন ও নমুনা মাটি সংগ্রহ করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ। তারা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্ম ও পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ধসে পড়া মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
এসময় আ.স.ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ফাটল ধরা মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। এসব নমুনা সংগ্রহের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে বা কতটুকু গভীরতায় হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে, কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) উপকেন্দ্র বলছে উৎপত্তিস্থল নরসিংদী সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন, ৬শ’ ছাড়িয়েছে আহতের সংখ্যা।
নরসিংদীতে ক্ষতি নিরূপণে কমিটি
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে ক্ষতি নিরূপণ করাসহ ভূমিকম্পে ফাটল ধরা সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা চিহ্নিত করণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে নরসিংদী শহরে হেলে পড়া বা ফাটল ধরা ভবন চিহ্নিত করতে পৌর কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখা, নরসিংদীর উপ-পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রধান করে গঠন করা এ কমিটি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ের কমিটি মোট ক্ষতির পরিসংখ্যান নির্ধারণ করা হবে বলে জানান পৌর প্রশাসক। এর মধ্যেই পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৪টি আবাসিক ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজে ফাটলসহ শতাধিক ভবনে ছোট ছোট ফাটলের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো অনুসন্ধানের পর সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাবে জেলা প্রশাসন।
ভূমিকম্পের পর আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডের সংযোগ গত শুক্রবার রাতেই মেরামত করা হয়েছে। দেশে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ ভূমিকম্পে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।