রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বটতলা নামক স্থানে চোর অপবাদ নিয়ে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে মুচি সম্প্রদায়ের রুপলাল দাস ও প্রদীপ দাস নামে দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা রুবেল হোসেন পাইকারকে সাড়ে ৩ মাস পর টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ। পুলিশ জানিয়েছে, রুবেল হোসেন পাইকার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তার বাবার নাম লুৎফর রহমান বাড়ি বুড়িরহাট পাইকারপাড়া গ্রামে।
নিহত রুপলাল দাস ও তার ভাগ্নিজামাই প্রদীপ দাসের স্বজনদের অভিযোগ গত ৯ আগস্ট রুপলাল দাস আর ভাগ্নি জামাই প্রদীপ দাসের ভ্যানে করে বাসায় ফেরার পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় তাদের ভ্যান আটকে চোরের অপবাদ দিয়ে সঙ্গে থাকা মালামাল কেড়ে নিয়ে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রানীর অভিযোগ ঘটনার পরের দিন ১০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ভিডিওতে বিএনপি নেতা রুবেলকে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে নির্যাতন করতে দেখা যায়। কিন্তু তখন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং সে প্রকাশ্যই ঘুরে বেরিয়েছে। কিন্তু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রুবেল গা ঢাকা দেয়। এরপর অনেকবার পুলিশকে আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অনুরোধ জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সাড়ে ৩ মাস পর ২১ নভেম্বর শুক্রবার টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রানী জানান, তিনি মামলার বাদী হলেও পুলিশের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কেও তাকে জানানো হচ্ছে না। তবে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির নায়ক বিএনপি নেতা রুবেল গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে সব আসামিকে গ্রেপ্তার পুলিশের তদন্ত সম্পন্ন করে চার্জশিট দাখিল করে দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বটতলা নামক স্থানে চোর অপবাদ নিয়ে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে মুচি সম্প্রদায়ের রুপলাল দাস ও প্রদীপ দাস নামে দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা রুবেল হোসেন পাইকারকে সাড়ে ৩ মাস পর টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ। পুলিশ জানিয়েছে, রুবেল হোসেন পাইকার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তার বাবার নাম লুৎফর রহমান বাড়ি বুড়িরহাট পাইকারপাড়া গ্রামে।
নিহত রুপলাল দাস ও তার ভাগ্নিজামাই প্রদীপ দাসের স্বজনদের অভিযোগ গত ৯ আগস্ট রুপলাল দাস আর ভাগ্নি জামাই প্রদীপ দাসের ভ্যানে করে বাসায় ফেরার পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় তাদের ভ্যান আটকে চোরের অপবাদ দিয়ে সঙ্গে থাকা মালামাল কেড়ে নিয়ে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রানীর অভিযোগ ঘটনার পরের দিন ১০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ভিডিওতে বিএনপি নেতা রুবেলকে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে নির্যাতন করতে দেখা যায়। কিন্তু তখন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং সে প্রকাশ্যই ঘুরে বেরিয়েছে। কিন্তু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রুবেল গা ঢাকা দেয়। এরপর অনেকবার পুলিশকে আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অনুরোধ জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সাড়ে ৩ মাস পর ২১ নভেম্বর শুক্রবার টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রানী জানান, তিনি মামলার বাদী হলেও পুলিশের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কেও তাকে জানানো হচ্ছে না। তবে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির নায়ক বিএনপি নেতা রুবেল গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে সব আসামিকে গ্রেপ্তার পুলিশের তদন্ত সম্পন্ন করে চার্জশিট দাখিল করে দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানিয়েছেন।