শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮৮০টি অবকাঠামো স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবর্তিত নামের তালিকা নিয়ে একটি প্রকাশনা বের করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) ফেইসবুকে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, তাদের পরিবারের অন্য সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা ৮৮০টি প্রতিষ্ঠান, অফিস, স্কুল, গবেষণাগার এবং এমনকি ছোট ছোট সরকারি স্থাপনার তালিকা তৈরি করতে ১৬০ পৃষ্ঠার একটি সংকলন প্রয়োজন হয়েছে। এ সংকলনটি শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার পদ্ধতি প্রতিফলিত করে। যেখানে তার দৃষ্টিতে প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় পারিবারিক বন্ধন সবকিছুর চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছিল।’
প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘বইটির কপি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।’
গত জুনে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে দেশের ৯৭৭টি অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানের নাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার মধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে ৮৮০টি স্থাপনার নাম।
এর মধ্যে সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌ-বাহিনীর জাহাজ, মেগাসেতু, সড়ক, স্থাপনা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, গবেষণাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনও তিনি ভারতেই আছেন। তার দেশত্যাগের পর ‘জুলাই আন্দোলন দমনে হত্যাসহ নানা অপরাধের’ অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের অনেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং দলটির নেতাদের নামে বহু মামলা হয়েছে নিম্ন আদালতে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকায় এক রায়ে মৃত্যুদ- দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া আদালত অবমাননার দায়ে তাকে এ ট্রাইব্যুনালের আগে ছয় মাসের কারাদ-ও দিয়েছিল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮৮০টি অবকাঠামো স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবর্তিত নামের তালিকা নিয়ে একটি প্রকাশনা বের করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) ফেইসবুকে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, তাদের পরিবারের অন্য সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা ৮৮০টি প্রতিষ্ঠান, অফিস, স্কুল, গবেষণাগার এবং এমনকি ছোট ছোট সরকারি স্থাপনার তালিকা তৈরি করতে ১৬০ পৃষ্ঠার একটি সংকলন প্রয়োজন হয়েছে। এ সংকলনটি শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার পদ্ধতি প্রতিফলিত করে। যেখানে তার দৃষ্টিতে প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় পারিবারিক বন্ধন সবকিছুর চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছিল।’
প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘বইটির কপি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।’
গত জুনে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে দেশের ৯৭৭টি অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানের নাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার মধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে ৮৮০টি স্থাপনার নাম।
এর মধ্যে সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌ-বাহিনীর জাহাজ, মেগাসেতু, সড়ক, স্থাপনা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, গবেষণাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনও তিনি ভারতেই আছেন। তার দেশত্যাগের পর ‘জুলাই আন্দোলন দমনে হত্যাসহ নানা অপরাধের’ অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের অনেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং দলটির নেতাদের নামে বহু মামলা হয়েছে নিম্ন আদালতে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকায় এক রায়ে মৃত্যুদ- দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া আদালত অবমাননার দায়ে তাকে এ ট্রাইব্যুনালের আগে ছয় মাসের কারাদ-ও দিয়েছিল।