দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সেতু -সংবাদ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত থেকে আসা খড়স্রোতা মেঘালয় কন্যা সোমেশ্বরী নদীর উপর দুর্গাপুর-ধোবাউড়া উপজেলার প্রায় ৪ লাখ লোকের পারাপারে একমাত্র ভরসাই ছিল নৌকা। প্রায় শত বছর যাবৎ ময়মনসিংহের হালুয়াখাটসহ ২টি উপজেলার জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। সেই দূরত্ব এখন উন্মোচন হল দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ ফেরীঘাট সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ ৮০০ মিটার ও প্রশস্ত ৮ ফুট নির্মিত হল বাঁশের সেতু। এতে যাতায়াত সহজ হল স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিশেষ করে সীমান্তরক্ষী ও দূর থেকে আসা পর্যটকদের। সুসং এর মহারাজের আমলের পূর্ব হতে প্রায় শত বছর ধরে পারাপারে একমাত্র ভরসা ছিল কাঠের নৌকা। সেই সেতুটি এখন জনগণের আশীর্বাদ। এই বিশাল সেতুটি নির্মাণে জনদরদী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নির্মাণ করেন। ২২ নভেম্বর-২৫ইং স্থানীয় নেতাকর্মী ও ছোট ছোট সোনমণিদের নিয়ে এ মহতি কাজের শুভ উদ্ভোধন করে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। এই ফেরীঘাট দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার পথচারীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের চলাচলে অনেক সহজ হল। ব্রিজের দুই পাড়ে টোল আদায়ের নির্দেশনা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেতু ব্যবহারকারী পথচারী, বাইসাইকেল, রিক্সা, ভ্যানগাড়ি, গরু-ছাগল, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের মালামালসহ কোন টোল দিতে হবে না। শুধু ব্যাক্তিগত গাড়ি, পিকাপ, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের টোল দিতে হবে। এই আদায়কৃত অর্থ স্থানীয় ধর্ম প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানবকল্যাণ কাজে ব্যায় করা হবে। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর সাথে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, সুস্থ্য জ্ঞান ও স্বচ্ছ মানসিকতা থাকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনেক কিছু করা যায়। দীর্ঘ বাঁশের সেতু নির্মাণে এটাই বাস্তব প্রমাণ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সেতু -সংবাদ
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত থেকে আসা খড়স্রোতা মেঘালয় কন্যা সোমেশ্বরী নদীর উপর দুর্গাপুর-ধোবাউড়া উপজেলার প্রায় ৪ লাখ লোকের পারাপারে একমাত্র ভরসাই ছিল নৌকা। প্রায় শত বছর যাবৎ ময়মনসিংহের হালুয়াখাটসহ ২টি উপজেলার জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। সেই দূরত্ব এখন উন্মোচন হল দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ ফেরীঘাট সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ ৮০০ মিটার ও প্রশস্ত ৮ ফুট নির্মিত হল বাঁশের সেতু। এতে যাতায়াত সহজ হল স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিশেষ করে সীমান্তরক্ষী ও দূর থেকে আসা পর্যটকদের। সুসং এর মহারাজের আমলের পূর্ব হতে প্রায় শত বছর ধরে পারাপারে একমাত্র ভরসা ছিল কাঠের নৌকা। সেই সেতুটি এখন জনগণের আশীর্বাদ। এই বিশাল সেতুটি নির্মাণে জনদরদী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নির্মাণ করেন। ২২ নভেম্বর-২৫ইং স্থানীয় নেতাকর্মী ও ছোট ছোট সোনমণিদের নিয়ে এ মহতি কাজের শুভ উদ্ভোধন করে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। এই ফেরীঘাট দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার পথচারীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের চলাচলে অনেক সহজ হল। ব্রিজের দুই পাড়ে টোল আদায়ের নির্দেশনা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেতু ব্যবহারকারী পথচারী, বাইসাইকেল, রিক্সা, ভ্যানগাড়ি, গরু-ছাগল, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের মালামালসহ কোন টোল দিতে হবে না। শুধু ব্যাক্তিগত গাড়ি, পিকাপ, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের টোল দিতে হবে। এই আদায়কৃত অর্থ স্থানীয় ধর্ম প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মানবকল্যাণ কাজে ব্যায় করা হবে। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর সাথে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, সুস্থ্য জ্ঞান ও স্বচ্ছ মানসিকতা থাকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনেক কিছু করা যায়। দীর্ঘ বাঁশের সেতু নির্মাণে এটাই বাস্তব প্রমাণ।