ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নরসিংদীতে টানা দুইদিন তৃতীয়বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পের প্রথম দিন ছিলো গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট। এসময় নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় দুইজনের প্রাণহানিসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ও মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বৃটিশ আমলে নির্মিত ঘোড়াশাল রেলসেতুও রয়েছে। এসেতুর দুই এবং তিন নাম্বার পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ট্রেন যাত্রী ও স্থানীয়রা।
এদিকে ভূমিকম্পের পরের দিন শনিবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পলাশ উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল রেলসেতুর পরিদর্শন করেছেন।
ঘোড়াশালের ট্রেন যাত্রী তারেক মিয়া জানান, পর পর টানা দুই দিন তৃতীয়বার ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম দিন ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘোড়াশাল রেলসেতুর পিলারেও দেখা দিয়েছে ফাটল। এই সেতুর উপর দিয়ে অন্তত ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এমন এক পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিছুর রহমান নামে একজন জানান, প্রথম দিন ভূমিকম্পেই এসেতুর পিলারে ফাটল দেখা দেয়। এই সেতু পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই।
রেলসেতু সংলগ্ন ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনে দায়িত্বে কোন স্টেশন মাস্টার নেই। বুকিং সহকারী আব্দুল খালেক দায়িত্ব পালন করছেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফেন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জিনারদী রেলস্টেশন মাস্টার বরকত হোসেন জানান, ঘোড়াশাল পুরাতন রেলসেতুর পিলারে ফাটল দেওয়ার খবর পেয়েছি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘোড়াশালের পুরাতন রেলসেতু পরিদর্শন করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে এ সেতু পরিদর্শন করা হয়। রেলসেতুর দুই এবং তিন নাম্বার পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নরসিংদীতে টানা দুইদিন তৃতীয়বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ভূমিকম্পের প্রথম দিন ছিলো গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট। এসময় নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় দুইজনের প্রাণহানিসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ও মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বৃটিশ আমলে নির্মিত ঘোড়াশাল রেলসেতুও রয়েছে। এসেতুর দুই এবং তিন নাম্বার পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ট্রেন যাত্রী ও স্থানীয়রা।
এদিকে ভূমিকম্পের পরের দিন শনিবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পলাশ উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল রেলসেতুর পরিদর্শন করেছেন।
ঘোড়াশালের ট্রেন যাত্রী তারেক মিয়া জানান, পর পর টানা দুই দিন তৃতীয়বার ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম দিন ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘোড়াশাল রেলসেতুর পিলারেও দেখা দিয়েছে ফাটল। এই সেতুর উপর দিয়ে অন্তত ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এমন এক পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিছুর রহমান নামে একজন জানান, প্রথম দিন ভূমিকম্পেই এসেতুর পিলারে ফাটল দেখা দেয়। এই সেতু পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই।
রেলসেতু সংলগ্ন ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনে দায়িত্বে কোন স্টেশন মাস্টার নেই। বুকিং সহকারী আব্দুল খালেক দায়িত্ব পালন করছেন। তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফেন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জিনারদী রেলস্টেশন মাস্টার বরকত হোসেন জানান, ঘোড়াশাল পুরাতন রেলসেতুর পিলারে ফাটল দেওয়ার খবর পেয়েছি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘোড়াশালের পুরাতন রেলসেতু পরিদর্শন করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে এ সেতু পরিদর্শন করা হয়। রেলসেতুর দুই এবং তিন নাম্বার পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।