নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা -সংবাদ
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলাজুড়ে এখন শুধুই আলু চাষের সরগরমে দৃশ্য। বাজারে আলুর দাম গত কয়েকদিন আগের চাইতে বর্তমানে কিছুটা বাড়তি থাকায় এবং আগাম মৌসুমে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনায় কৃষকরা ধান কাটার পরপরই জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। উপজেলার মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলু বপন। আগাম আমন কাটতেই জমিতে আলু লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। উপজেলার রিধইল, কাথম, তেঘরি, দোহার, ভাটগ্রাম ও বুড়ইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিনা-৭ ও ৪৯ জাতের আমন ধান এ বছর আগাম চাষ হয়েছিল। তবে তারা আরো জানিয়েছেন গত কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতে আলু সরিষা রোপন চাষ একটু পিছিয়ে গেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আলু কম চাষাবাদ হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় আগাম জাতের ধান কেটে জমি তৈরির কাজ এখন পুরোপুরি শুরু হয়েছে। চলছে হাল চাষ দিয়ে জমি তৈরি কাজ। সব মিলিয়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। চলতি মৌসুমে এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ কৃষকরা এলাকাজুড়ে ডায়মন্ড, পাকরি, কাজললতা, কার্ডিলালসহ দেশি-বিদেশি বেশ কিছু উন্নতমানের আলু লাগাচ্ছেন। এর মধ্যে ডায়মন্ড জাতের আলুর প্রতি আগ্রহ বেশি। কারণ ৭০–৭৫ দিনের মধ্যেই তুলতে সুবিধা, রোগবালাই কম আগাম বাজারে দাম থাকে বেশি অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ডায়মন্ড জাতের আলু আগাম তুলতে পারলে বিঘা প্রতি লাভ হয় সাধারণ চাষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
কৃষকদের আশা আগাম আলু চাষে ভালো লাভ পাওয়া যায়। ২নং সদর ইউনিয়নের হাঁটুয়া আলাইপুর গ্রামের কৃষক ও সাবেক পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের সানসাইন আলু রোপন করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষে আমার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকলে আলু তুলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার আলু বিক্রয় করতে পারব। রিধইল গ্রামের কৃষক সাজু বলেন, নন্দীগ্রামের মাটি আলুর জন্য খুব ভালো। গতবার আগাম আলু দিয়ে দাম না থাকায় লাভ কম হয়েছিল । তাই এবার তিন বিঘা জমিতে আগাম ডায়মন্ড লাগাচ্ছি। এবার যদি আগাম আলুর দাম ভালো থাকে তাহলে লাভ হবে। তবে কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
তবুও চলতি মৌসুমে লাভের আশায় এই উপজেলায় আগাম আলুবীজ বপন শুরু করেছে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার গত বছরের চেয়ে এবছর বাজারে আলুর দাম বেশি হবে বলে আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জাকিরুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় গতবছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম রয়েছে। আগাম চাষে উৎপাদন বাড়াতে আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত বীজের পরামর্শ, সুষম সার ব্যবহারের নির্দেশনা দিচ্ছি। আগাম আলু ৭০–৭৫ দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়তে পারলে কৃষকরা দারুণ লাভবান হবেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা -সংবাদ
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলাজুড়ে এখন শুধুই আলু চাষের সরগরমে দৃশ্য। বাজারে আলুর দাম গত কয়েকদিন আগের চাইতে বর্তমানে কিছুটা বাড়তি থাকায় এবং আগাম মৌসুমে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনায় কৃষকরা ধান কাটার পরপরই জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। উপজেলার মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলু বপন। আগাম আমন কাটতেই জমিতে আলু লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। উপজেলার রিধইল, কাথম, তেঘরি, দোহার, ভাটগ্রাম ও বুড়ইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিনা-৭ ও ৪৯ জাতের আমন ধান এ বছর আগাম চাষ হয়েছিল। তবে তারা আরো জানিয়েছেন গত কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতে আলু সরিষা রোপন চাষ একটু পিছিয়ে গেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আলু কম চাষাবাদ হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় আগাম জাতের ধান কেটে জমি তৈরির কাজ এখন পুরোপুরি শুরু হয়েছে। চলছে হাল চাষ দিয়ে জমি তৈরি কাজ। সব মিলিয়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। চলতি মৌসুমে এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ কৃষকরা এলাকাজুড়ে ডায়মন্ড, পাকরি, কাজললতা, কার্ডিলালসহ দেশি-বিদেশি বেশ কিছু উন্নতমানের আলু লাগাচ্ছেন। এর মধ্যে ডায়মন্ড জাতের আলুর প্রতি আগ্রহ বেশি। কারণ ৭০–৭৫ দিনের মধ্যেই তুলতে সুবিধা, রোগবালাই কম আগাম বাজারে দাম থাকে বেশি অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ডায়মন্ড জাতের আলু আগাম তুলতে পারলে বিঘা প্রতি লাভ হয় সাধারণ চাষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
কৃষকদের আশা আগাম আলু চাষে ভালো লাভ পাওয়া যায়। ২নং সদর ইউনিয়নের হাঁটুয়া আলাইপুর গ্রামের কৃষক ও সাবেক পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের সানসাইন আলু রোপন করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষে আমার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকলে আলু তুলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার আলু বিক্রয় করতে পারব। রিধইল গ্রামের কৃষক সাজু বলেন, নন্দীগ্রামের মাটি আলুর জন্য খুব ভালো। গতবার আগাম আলু দিয়ে দাম না থাকায় লাভ কম হয়েছিল । তাই এবার তিন বিঘা জমিতে আগাম ডায়মন্ড লাগাচ্ছি। এবার যদি আগাম আলুর দাম ভালো থাকে তাহলে লাভ হবে। তবে কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
তবুও চলতি মৌসুমে লাভের আশায় এই উপজেলায় আগাম আলুবীজ বপন শুরু করেছে কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার গত বছরের চেয়ে এবছর বাজারে আলুর দাম বেশি হবে বলে আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জাকিরুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় গতবছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম রয়েছে। আগাম চাষে উৎপাদন বাড়াতে আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত বীজের পরামর্শ, সুষম সার ব্যবহারের নির্দেশনা দিচ্ছি। আগাম আলু ৭০–৭৫ দিনের মধ্যে বাজারে ছাড়তে পারলে কৃষকরা দারুণ লাভবান হবেন।