১৯৭১ সালের ২৪শে নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় নবম সাব সেক্টর উপ-অধিনায়ক টো-আইস ভি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বামনা থানা ঘেরাও করে সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে বামনা থানায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের দোসর ১৩৫ জন পুলিশ ও রাজাকারকে হটিয়ে দিয়ে বামনা উপজেলাকে পাকবাহিনীদের হাত থেকে সম্পূর্ন মুক্ত করে ছিলেন।
১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাধীনতা যুদ্ধের নবম সেক্টর পটুয়াখালীর সাব সেক্টর বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া বাজারে সাব সেক্টর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মেহেদী আহসান আলী ঈমাম সাব সেক্টরের উদ্বোধন করেন। মে মাসের শেষ সপ্তাহে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোঃ সেলিম সরদার মতিন সাব সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন। বামনা, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বরগুনা, কাঠালিয়া, বেতাগী, আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪ শত মুক্তিযোদ্ধা সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন।
সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়াতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে ছিলেন। ২৩শে নভেম্বর বিকালে পাকবাহিনীর সদস্যরা বেতাগী উপজেলার বদনীখালী বাজার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আল-আকরাম লঞ্চযোগে বামনা বাজারের কাছাকাছি এসে লঞ্চের গতি কমিয়ে আনলে, সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযোদ্ধারা ফায়ার ওপেন করেনে। পাকসৈন্যরা পাল্টা জবাব দিলেও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ সাহসী যোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি সৈন্যরা লঞ্চের গতি পেছনে ঘুরিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ২৪শে নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় নবম সাব সেক্টর উপ-অধিনায়ক টো-আইস ভি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বামনা থানা ঘেরাও করে সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে বামনা থানায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের দোসর ১৩৫ জন পুলিশ ও রাজাকারকে হটিয়ে দিয়ে বামনা উপজেলাকে পাকবাহিনীদের হাত থেকে সম্পূর্ন মুক্ত করে ছিলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
১৯৭১ সালের ২৪শে নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় নবম সাব সেক্টর উপ-অধিনায়ক টো-আইস ভি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বামনা থানা ঘেরাও করে সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে বামনা থানায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের দোসর ১৩৫ জন পুলিশ ও রাজাকারকে হটিয়ে দিয়ে বামনা উপজেলাকে পাকবাহিনীদের হাত থেকে সম্পূর্ন মুক্ত করে ছিলেন।
১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাধীনতা যুদ্ধের নবম সেক্টর পটুয়াখালীর সাব সেক্টর বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া বাজারে সাব সেক্টর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মেহেদী আহসান আলী ঈমাম সাব সেক্টরের উদ্বোধন করেন। মে মাসের শেষ সপ্তাহে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোঃ সেলিম সরদার মতিন সাব সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন। বামনা, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বরগুনা, কাঠালিয়া, বেতাগী, আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪ শত মুক্তিযোদ্ধা সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন।
সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়াতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করে ছিলেন। ২৩শে নভেম্বর বিকালে পাকবাহিনীর সদস্যরা বেতাগী উপজেলার বদনীখালী বাজার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আল-আকরাম লঞ্চযোগে বামনা বাজারের কাছাকাছি এসে লঞ্চের গতি কমিয়ে আনলে, সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযোদ্ধারা ফায়ার ওপেন করেনে। পাকসৈন্যরা পাল্টা জবাব দিলেও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ সাহসী যোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি সৈন্যরা লঞ্চের গতি পেছনে ঘুরিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ২৪শে নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় নবম সাব সেক্টর উপ-অধিনায়ক টো-আইস ভি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বামনা থানা ঘেরাও করে সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে বামনা থানায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের দোসর ১৩৫ জন পুলিশ ও রাজাকারকে হটিয়ে দিয়ে বামনা উপজেলাকে পাকবাহিনীদের হাত থেকে সম্পূর্ন মুক্ত করে ছিলেন।