মেয়র এবং কাউন্সিলের পরিবর্তন হয়। কিন্তু অবহেলিত এলাকার সড়ক নির্মাণ হয় না। এমনি ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার হাতীখানা ক্যাম্প রাস্তা নির্মাণে। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর এই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িযেছে ৫টি বৈদ্যুতক খুঁটি। এই বৈদ্যুতিক পোল অপসারণে স্থানীয়রা সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কথা হয় ওই এলাকার অধিবাসী মোঃ রাজু, হীরা চৌধুরী, মোনায়েম, আসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, শাহিদা খাতুন, তামান্না খাতুন, আনিসা বেগম, দরদী বিবি ও লাল মিয়ার সঙ্গে। তারা অভিযোগ করে বলেন, কাঁদা পানিতে ডুবে থাকা এই রাস্তাটি বছরের পর বছর ব্যবহার অনুপযোগী হিসাবে পড়েছিলো। নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দফায় দফায় বলার পরেও নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখেনি। এমন অবস্থা বলতে গেলে চার দশক ধরে বিরাজ করছে। বর্তমান পৌর প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী চেয়ারে বসার পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানালে তিনি তা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করেন। সেমতে রাস্তার সঙ্গে গৃহস্থালি পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনও নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ রাস্তা নির্মাণে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।
বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন করে। ওইসব ব্যক্তিরা আরো অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রায় সময় মানুষ অসুস্থ হয়। এ্যাম্বুলেন্স রোগীর বাড়ি অবধি যেতে পারে না। এতে করে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌছাতে সৃষ্টি হয় চরম বিড়ম্বনা। ফলে ঘটে যায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এছাড়াও প্রায় সময় শুষ্ক মৌসুমে ওই ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর লোকজন দ্রুত যেতে পারে না। এর ফলে ঘটে সম্পদহানির ঘটনা।
কথা হয় রাস্তা নির্মাণকারী ঠিকাদার কামরুল ইসলাম কার্জনের সঙ্গে। সজ্জন এ ব্যক্তি বলেন কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি থাকবে না। রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল থাকায় কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই পোলগুলো সরানো হলে দৃষ্টিনন্দন হবে এ সড়কটি। তার মতে, সড়কের স্থায়িত্ব বাড়াতে কংক্রিটের ইউনি ব্লক ব্যবহার করা হবে।
কথা হয় শহরের সিনিয়র সিটিজেন শাহনেওয়াজ শানুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এই পৌর প্রশাসকের আমলে শহরের রাস্তা ও ড্রেনের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান হতে পারে। এজন্য পৌর প্রশাসককে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
মেয়র এবং কাউন্সিলের পরিবর্তন হয়। কিন্তু অবহেলিত এলাকার সড়ক নির্মাণ হয় না। এমনি ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার হাতীখানা ক্যাম্প রাস্তা নির্মাণে। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর এই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িযেছে ৫টি বৈদ্যুতক খুঁটি। এই বৈদ্যুতিক পোল অপসারণে স্থানীয়রা সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কথা হয় ওই এলাকার অধিবাসী মোঃ রাজু, হীরা চৌধুরী, মোনায়েম, আসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, শাহিদা খাতুন, তামান্না খাতুন, আনিসা বেগম, দরদী বিবি ও লাল মিয়ার সঙ্গে। তারা অভিযোগ করে বলেন, কাঁদা পানিতে ডুবে থাকা এই রাস্তাটি বছরের পর বছর ব্যবহার অনুপযোগী হিসাবে পড়েছিলো। নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দফায় দফায় বলার পরেও নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখেনি। এমন অবস্থা বলতে গেলে চার দশক ধরে বিরাজ করছে। বর্তমান পৌর প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী চেয়ারে বসার পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানালে তিনি তা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করেন। সেমতে রাস্তার সঙ্গে গৃহস্থালি পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনও নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ রাস্তা নির্মাণে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।
বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন করে। ওইসব ব্যক্তিরা আরো অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রায় সময় মানুষ অসুস্থ হয়। এ্যাম্বুলেন্স রোগীর বাড়ি অবধি যেতে পারে না। এতে করে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পৌছাতে সৃষ্টি হয় চরম বিড়ম্বনা। ফলে ঘটে যায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা। অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এছাড়াও প্রায় সময় শুষ্ক মৌসুমে ওই ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর লোকজন দ্রুত যেতে পারে না। এর ফলে ঘটে সম্পদহানির ঘটনা।
কথা হয় রাস্তা নির্মাণকারী ঠিকাদার কামরুল ইসলাম কার্জনের সঙ্গে। সজ্জন এ ব্যক্তি বলেন কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি থাকবে না। রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল থাকায় কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই পোলগুলো সরানো হলে দৃষ্টিনন্দন হবে এ সড়কটি। তার মতে, সড়কের স্থায়িত্ব বাড়াতে কংক্রিটের ইউনি ব্লক ব্যবহার করা হবে।
কথা হয় শহরের সিনিয়র সিটিজেন শাহনেওয়াজ শানুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এই পৌর প্রশাসকের আমলে শহরের রাস্তা ও ড্রেনের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান হতে পারে। এজন্য পৌর প্রশাসককে তিনি ধন্যবাদ জানান।