ডিমলা (নীলফামারী) : জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দ: সোনাখুলি ইসলামিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব আবাদীয় কর্তনকৃত আমন ধান রাতের আধারে লুট করে নিয়ে যাওয়া সহ জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার দ: সোনাখুলী ইসলামিয়া মাদ্রাসা নামের প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১৯৬০ সালে মরহুম করিম বকস নামের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করেন। তিনি তার নিজের নামীয় রেকর্ডিয় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দক্ষিণ খোলাখুলি মৌজার ৪০৩ নং খতিয়ানে ২৭৩ নম্বর দাগে ৩ একর ২৩ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দেন। ওই জমি চাষাবাদে বর্গার প্রদানের অর্থ দিয়ে মাদ্রাসাটি তৎকালীন সময় হতে পরিচালনা হয়ে আসছিল। সম্প্রতি মাদ্রাসার ঐ জমি একই এলাকার মৃত কছর উদ্দিন এর ছেলে মো. মোকসেদ আলী (৫২), মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক, আ. জফুরেরর ছেলে আ. সাত্তার ও মৃত আছর আলীর ছেলে আ. মান্নান ভুইয়া মালিকানা দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টা করে আসায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক ৩ ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা করে দেন। চলতি আমল মৌসুমে ওই জমিটিতে আমন চাষাবাদ করেন বর্গা চাষী মো. আনসার আলী নমের ব্যাক্তি। গত ১৪ নভেম্বর জমির ধান কেটে শুকাতে দিলে উল্লেখিত ব্যক্তি ও তাদের পক্ষীয় ২৫/৩০ জন লোকজনকে নিয়ে অস্ত্রে-শাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ১৭ নভেম্বর কর্তনকৃত পাকা ধান লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসার উক্ত তফসিলের ৩ একর ২৩ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি মজিবর রহমান ও সেক্রেটারি মো. তৈয়ব আলী জানান, মাদ্রাসার জমি বর্গা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসা হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে এলাকার কয়েকজন ভূমি দস্যু মাদ্রাসার জমির জবর দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা প্রশাসনের কে জানিয়েছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে জবরদখল হওয়া জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরামুল হক চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসার জমিটি জবর দখলের বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন মাদ্রাসা কমিটি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আনসার আলী নামের বর্গা চাষি ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মর্মে জানা গেছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী দক্ষিণ সোনাখালি মাদ্রাসার জমি জবর দখলের বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য এস আই আবুল কালামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ডিমলা (নীলফামারী) : জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দ: সোনাখুলি ইসলামিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব আবাদীয় কর্তনকৃত আমন ধান রাতের আধারে লুট করে নিয়ে যাওয়া সহ জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলার দ: সোনাখুলী ইসলামিয়া মাদ্রাসা নামের প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১৯৬০ সালে মরহুম করিম বকস নামের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করেন। তিনি তার নিজের নামীয় রেকর্ডিয় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দক্ষিণ খোলাখুলি মৌজার ৪০৩ নং খতিয়ানে ২৭৩ নম্বর দাগে ৩ একর ২৩ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দেন। ওই জমি চাষাবাদে বর্গার প্রদানের অর্থ দিয়ে মাদ্রাসাটি তৎকালীন সময় হতে পরিচালনা হয়ে আসছিল। সম্প্রতি মাদ্রাসার ঐ জমি একই এলাকার মৃত কছর উদ্দিন এর ছেলে মো. মোকসেদ আলী (৫২), মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক, আ. জফুরেরর ছেলে আ. সাত্তার ও মৃত আছর আলীর ছেলে আ. মান্নান ভুইয়া মালিকানা দাবী করে জবর দখল করার চেষ্টা করে আসায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক ৩ ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা করে দেন। চলতি আমল মৌসুমে ওই জমিটিতে আমন চাষাবাদ করেন বর্গা চাষী মো. আনসার আলী নমের ব্যাক্তি। গত ১৪ নভেম্বর জমির ধান কেটে শুকাতে দিলে উল্লেখিত ব্যক্তি ও তাদের পক্ষীয় ২৫/৩০ জন লোকজনকে নিয়ে অস্ত্রে-শাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ১৭ নভেম্বর কর্তনকৃত পাকা ধান লুটতরাজ করে নিয়ে যায়। এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসার উক্ত তফসিলের ৩ একর ২৩ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি মজিবর রহমান ও সেক্রেটারি মো. তৈয়ব আলী জানান, মাদ্রাসার জমি বর্গা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসা হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে এলাকার কয়েকজন ভূমি দস্যু মাদ্রাসার জমির জবর দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা প্রশাসনের কে জানিয়েছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে জবরদখল হওয়া জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরামুল হক চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসার জমিটি জবর দখলের বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন মাদ্রাসা কমিটি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আনসার আলী নামের বর্গা চাষি ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মর্মে জানা গেছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী দক্ষিণ সোনাখালি মাদ্রাসার জমি জবর দখলের বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য এস আই আবুল কালামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।