ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যশোরের মুড়লি থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সঞ্জয় দাস এ ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার যুগিপাড়া মাঠপাড়ার সন্তোষ দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস পেশায় ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার চালক। গত রোববার রাতে তিনি পাবনা থেকে খুলনার মোংলায় একজন নারী যাত্রী আনতে যাচ্ছিলেন। পথে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি হায়েস মাইক্রোবাস তার গাড়ির পেছনে অনুসরণ করতে থাকে। তখন তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে যশোরের মুড়লি রেলক্রসিং অতিক্রম করার মুহূর্তে মাইক্রোবাসটি সামনে গিয়ে তার গাড়ির গতিরোধ করে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে আসে ৩ ব্যক্তি যাদের গায়ে ছিল ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ছিল পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সঞ্জয়কে জানান, আপনার বিরুদ্ধে তথ্য আছে। এরপরই তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। পরবর্তীতে হ্যান্ডকাপ খুলে তার দুই হাত গামছা দিয়ে বাঁধা হয়, মুখে পরানো হয় মুখোশ। পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয় এবং তার প্রাইভেটকার তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
সোমবার ভোরে ফজরের আজানের সময় সঞ্জয়কে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় রাস্তার পাশের একটি গাছের কাছে ফেলে রেখে যায় ছদ্মবেশী ডিবি সদস্যরা। মুখোশ কিছুটা ঢিলা থাকায় গাছের সঙ্গে ঘষে সেটি খুলে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। পরে চেষ্টা করে হাতের বাঁধনও খুলে ফেলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি কাশিয়ানী থানায় পৌঁছে ঘটনা জানান। সেখানকার পুলিশের পরামর্শে তিনি যশোরে এসে সোমবার রাতে ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের টিম কাজ করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
যশোরের মুড়লি থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সঞ্জয় দাস এ ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার যুগিপাড়া মাঠপাড়ার সন্তোষ দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস পেশায় ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার চালক। গত রোববার রাতে তিনি পাবনা থেকে খুলনার মোংলায় একজন নারী যাত্রী আনতে যাচ্ছিলেন। পথে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি হায়েস মাইক্রোবাস তার গাড়ির পেছনে অনুসরণ করতে থাকে। তখন তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে যশোরের মুড়লি রেলক্রসিং অতিক্রম করার মুহূর্তে মাইক্রোবাসটি সামনে গিয়ে তার গাড়ির গতিরোধ করে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে আসে ৩ ব্যক্তি যাদের গায়ে ছিল ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হাতে ছিল পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সঞ্জয়কে জানান, আপনার বিরুদ্ধে তথ্য আছে। এরপরই তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। পরবর্তীতে হ্যান্ডকাপ খুলে তার দুই হাত গামছা দিয়ে বাঁধা হয়, মুখে পরানো হয় মুখোশ। পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয় এবং তার প্রাইভেটকার তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
সোমবার ভোরে ফজরের আজানের সময় সঞ্জয়কে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় রাস্তার পাশের একটি গাছের কাছে ফেলে রেখে যায় ছদ্মবেশী ডিবি সদস্যরা। মুখোশ কিছুটা ঢিলা থাকায় গাছের সঙ্গে ঘষে সেটি খুলে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। পরে চেষ্টা করে হাতের বাঁধনও খুলে ফেলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি কাশিয়ানী থানায় পৌঁছে ঘটনা জানান। সেখানকার পুলিশের পরামর্শে তিনি যশোরে এসে সোমবার রাতে ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের টিম কাজ করছে।