নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে আমান ধানের সমারোহ -সংবাদ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিয়েছে। ধানে ধানে ভরে গেছে উপজেলার মাঠ-ঘাট। যতদূর চোখ যায় সোনালি ধানের শীষে ভরে উঠেছে চারদিক, বাতাসে ভেসে আসছে ধানের মৌ মৌ গন্ধ। এখন কৃষাণ-কৃষাণিরা গোলা, খলা ও আঙ্গিনা পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটিমাত্র পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর আমন ধানের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আগাম জাতের কিছু ধান পাকতে শুরু করলেও ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোপুরি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে স্থানীয় হাটবাজারে নতুন ধান উঠতেও শুরু করেছে।
কৃষকদের ভাষ্য, এ বছর ধানের দামও অনুকূলে রয়েছে। আগাম ধান কাটার পর একই জমিতে আবার সরিষা চাষের সুযোগ থাকায় তারা আরও উৎসাহিত। অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই কম থাকা এবং লাইন ও ‘লগু টিক’ পদ্ধতিতে ধান রোপণ করায় উৎপাদন বেড়েছে বলে জানান তারা। কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা ফলন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এক বিঘা জমিতে আমন আবাদে খরচ হয় ৭৮ হাজার টাকা। আগাম জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে ৯০-১০০ দিন এবং পাওয়া যায় ১৪-১৬ মণ ধান। অন্য জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে প্রায় ১২০ দিন এবং উৎপাদন হয় ২০-২৫ মণ পর্যন্ত।
কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন বেশ ভালো, পাশাপাশি বাজার মূল্য অনুকূলে থাকায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এবারের ফলনে উপজেলার কৃষি খাতে নতুন প্রাণ ফিরে এসেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে আমান ধানের সমারোহ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিয়েছে। ধানে ধানে ভরে গেছে উপজেলার মাঠ-ঘাট। যতদূর চোখ যায় সোনালি ধানের শীষে ভরে উঠেছে চারদিক, বাতাসে ভেসে আসছে ধানের মৌ মৌ গন্ধ। এখন কৃষাণ-কৃষাণিরা গোলা, খলা ও আঙ্গিনা পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটিমাত্র পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর আমন ধানের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আগাম জাতের কিছু ধান পাকতে শুরু করলেও ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোপুরি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে স্থানীয় হাটবাজারে নতুন ধান উঠতেও শুরু করেছে।
কৃষকদের ভাষ্য, এ বছর ধানের দামও অনুকূলে রয়েছে। আগাম ধান কাটার পর একই জমিতে আবার সরিষা চাষের সুযোগ থাকায় তারা আরও উৎসাহিত। অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই কম থাকা এবং লাইন ও ‘লগু টিক’ পদ্ধতিতে ধান রোপণ করায় উৎপাদন বেড়েছে বলে জানান তারা। কৃষি অধিদপ্তরের নিয়মিত মাঠপর্যায়ের সহযোগিতা ফলন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এক বিঘা জমিতে আমন আবাদে খরচ হয় ৭৮ হাজার টাকা। আগাম জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে ৯০-১০০ দিন এবং পাওয়া যায় ১৪-১৬ মণ ধান। অন্য জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে প্রায় ১২০ দিন এবং উৎপাদন হয় ২০-২৫ মণ পর্যন্ত।
কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন বেশ ভালো, পাশাপাশি বাজার মূল্য অনুকূলে থাকায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এবারের ফলনে উপজেলার কৃষি খাতে নতুন প্রাণ ফিরে এসেছে।