কক্সবাজার শহরের জেল গেইটসংলগ্ন এলাকার পাহাড়ে মাটি কাটা ও গাছপালা অপসারণের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ের একাংশে মাটি তোলা ও গাছ কাটার ঘটনা চোখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড শুধু পাহাড়ের স্থিতি দুর্বল করছে না, পুরো এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাহাড় কাটার কাজে নুরুল ইসলামের পুত্র আবুল কাশেম (২৮) এবং হারুনের পুত্র শাহেদ, এই দুই ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারগুলো বলছেন, আগে পাহাড়টি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষিত ছিল। এখন সেসব গাছ কেটে ফেলার পর পাহাড়ের ঢাল দুর্বল হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, পাহাড় কাটার পর মাটি আগের মতো শক্ত নেই। ভিজে মরসুম এলে কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।
এলাকার অনেকের অভিমত, পাহাড় কাটার ঘটনা চলতে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে প্রকৃতির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বিশেষ করে অতিবৃষ্টির সময় ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, পাহাড়ে গাছপালা শুধু সবুজই যোগ করে না, এগুলো মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে। গাছ কাটার ফলে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ কাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে আশপাশের বাসিন্দাদের ওপর। তাদের ভাষায়, এলাকার প্রকৃতি চাপ অনুভব করছে।
পাহাড় কাটার মতো কর্মকাণ্ড থামানো না গেলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি দেখতে হতে পারে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, পাহাড় কাটা ও গাছ অপসারণের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বন ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাদের মতে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে কার্যকর ভূমিকা জরুরি।
এলাকার সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেল গেইট এলাকার পাদদেশে বসবাসকারী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন অভিযোগগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যাতে পাহাড় এবং আশপাশের পরিবেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজার শহরের জেল গেইটসংলগ্ন এলাকার পাহাড়ে মাটি কাটা ও গাছপালা অপসারণের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ের একাংশে মাটি তোলা ও গাছ কাটার ঘটনা চোখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড শুধু পাহাড়ের স্থিতি দুর্বল করছে না, পুরো এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাহাড় কাটার কাজে নুরুল ইসলামের পুত্র আবুল কাশেম (২৮) এবং হারুনের পুত্র শাহেদ, এই দুই ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারগুলো বলছেন, আগে পাহাড়টি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষিত ছিল। এখন সেসব গাছ কেটে ফেলার পর পাহাড়ের ঢাল দুর্বল হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, পাহাড় কাটার পর মাটি আগের মতো শক্ত নেই। ভিজে মরসুম এলে কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।
এলাকার অনেকের অভিমত, পাহাড় কাটার ঘটনা চলতে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে প্রকৃতির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বিশেষ করে অতিবৃষ্টির সময় ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, পাহাড়ে গাছপালা শুধু সবুজই যোগ করে না, এগুলো মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে। গাছ কাটার ফলে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ কাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে আশপাশের বাসিন্দাদের ওপর। তাদের ভাষায়, এলাকার প্রকৃতি চাপ অনুভব করছে।
পাহাড় কাটার মতো কর্মকাণ্ড থামানো না গেলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের পরিবেশগত ক্ষতি দেখতে হতে পারে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, পাহাড় কাটা ও গাছ অপসারণের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বন ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাদের মতে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে কার্যকর ভূমিকা জরুরি।
এলাকার সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেল গেইট এলাকার পাদদেশে বসবাসকারী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন অভিযোগগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যাতে পাহাড় এবং আশপাশের পরিবেশ আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।