শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শুরু হয়েছে মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার ধুম -সংবাদ
শাহজাদপুর উপজেলায় চলতি বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভীষণ খুশি।
জানা গেছে, আমন চাষে সেচ খরচ নেই বললেই চলে, নিড়ানি তুলনামূলক কম দিতে হয় এবং সারের পরিমাণও কম লাগে। তাই উপজেলার কৃষকদের আমন চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে আমনের ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকার কারণে কৃষকের চোখে মুখে খুশির জোয়ার বইছে। আমন ধান চাষ করা কৃষকদের অনেকেরই ধারণা গতবছরের তুলনায় এবার ধানের দামও ভালো পাওয়া যাবে?।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩০৬ হেক্টর জমিতে বোনা আমন এবং ৪০৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলার বেলতৈল, নরিনা, গাড়াদহ, রুপবাটি, কৈজুরী, গালা, খুকনী ও সোনাতনী ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। চলতি বছর রিলে পদ্ধতিতে আধুনিক জাতের ব্রি-৮৭, ব্রি-১০৩, ব্রি-৯৩ ও বিনা ধান-১৭ জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও চাষাবাদের উন্নত পদ্ধতির কারনে রোপা আমন চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং বোনা আমন চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
পক্ষান্তরে প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন ১৭ থেকে ১৮ মণ এবং বোনা আমন ৭ থেকে থেকে ৮ মন ধান উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা জানান, বর্তমান বাজার অনুপাতে বিঘা প্রতি উৎপাদিত রোপা আমন ধান বিক্রি করে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা এবং বোনা আমন বিক্রি করে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় হবে।
এদিকে নরিনা দক্ষিণপাড়ার কৃষক ওয়াজেদ মন্ডল জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অন্যদিকে গাড়াদহের কৃষক আব্দুল মালেক ৪ বিঘা জমিতে, বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোড়শাল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে, কৈজুরীর কৃষক আমজাদ হোসেন ৭ বিঘা জমিতে এবং পৌরসভার প্রাণনাথপুর গ্রামের কৃষক কামাল আহমেদ ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন।
কৃষকেরা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে নিজেদের শ্রম ও যথাযথ পরিচর্যার ফলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তদুপরি বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় তাদের মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে।
বুধবার, (২৬ নভেম্বর ২০২৫) উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমন ধান আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম। তাছাড়া যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তর নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন আমন ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে এবং আশা করছি, আমন ধান চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আগামীতে উপজেলায় আধুনিক জাতের আমনের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শুরু হয়েছে মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার ধুম -সংবাদ
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
শাহজাদপুর উপজেলায় চলতি বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভীষণ খুশি।
জানা গেছে, আমন চাষে সেচ খরচ নেই বললেই চলে, নিড়ানি তুলনামূলক কম দিতে হয় এবং সারের পরিমাণও কম লাগে। তাই উপজেলার কৃষকদের আমন চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে আমনের ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকার কারণে কৃষকের চোখে মুখে খুশির জোয়ার বইছে। আমন ধান চাষ করা কৃষকদের অনেকেরই ধারণা গতবছরের তুলনায় এবার ধানের দামও ভালো পাওয়া যাবে?।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩০৬ হেক্টর জমিতে বোনা আমন এবং ৪০৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলার বেলতৈল, নরিনা, গাড়াদহ, রুপবাটি, কৈজুরী, গালা, খুকনী ও সোনাতনী ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। চলতি বছর রিলে পদ্ধতিতে আধুনিক জাতের ব্রি-৮৭, ব্রি-১০৩, ব্রি-৯৩ ও বিনা ধান-১৭ জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও চাষাবাদের উন্নত পদ্ধতির কারনে রোপা আমন চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং বোনা আমন চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
পক্ষান্তরে প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন ১৭ থেকে ১৮ মণ এবং বোনা আমন ৭ থেকে থেকে ৮ মন ধান উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা জানান, বর্তমান বাজার অনুপাতে বিঘা প্রতি উৎপাদিত রোপা আমন ধান বিক্রি করে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা এবং বোনা আমন বিক্রি করে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় হবে।
এদিকে নরিনা দক্ষিণপাড়ার কৃষক ওয়াজেদ মন্ডল জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অন্যদিকে গাড়াদহের কৃষক আব্দুল মালেক ৪ বিঘা জমিতে, বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোড়শাল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে, কৈজুরীর কৃষক আমজাদ হোসেন ৭ বিঘা জমিতে এবং পৌরসভার প্রাণনাথপুর গ্রামের কৃষক কামাল আহমেদ ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন।
কৃষকেরা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে নিজেদের শ্রম ও যথাযথ পরিচর্যার ফলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তদুপরি বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় তাদের মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে।
বুধবার, (২৬ নভেম্বর ২০২৫) উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমন ধান আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম। তাছাড়া যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তর নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন আমন ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে এবং আশা করছি, আমন ধান চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আগামীতে উপজেলায় আধুনিক জাতের আমনের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।