বাগেরহাট জেলা শহর ও ফকিরহাট উপজেলায় পৃথক ঘটনায় একজন স্কুলছাত্রীসহ দুই তরুনী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারীরা হলো বাগেরহাট পৌর শহরের পুর্ব বাসাবাটি এলাকার ফারকুজ্জামানের মেয়ে হাফসা খাতুন ও জেলা ফকিরহাট উপজেলা সদরের রাজমিস্ত্রী আওয়াল হোসেনের মেয়ে বৈশাখী ইসলাম উমি। ঘটনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানায়, হাফসা খাতুন বাগেরহাট সদরের হাফিজা খাতুন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। সে মঙ্গলবার দুপুরের পর নিজ বাসায় শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে আতহত্যা করে। খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ হাফসা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাহমুদ উল হাসান বলেন, হাফসা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে মৃত্যু সঠিক কারন উদঘাটনে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, ফকিরহাট উপজেলা সদরের আট্রাকি এলাকায় বৈশাখী ইসলাম উর্মি পিতা-মাতার উপর অভিমান করে সোমবার রাতে নিজ বাড়ীতে ঘরের দরজা জানালা বদ্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা হত্যা করে। বিষয়টি তার মাতা দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার পিতা আওয়াল হোসেন বলেন, একমাস আগে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার হাওলাদার ডাঙ্গী গ্রামের মিন্টু মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী মাসুদ মোল্লার সাথে মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহ দেয়া হয়। বৈশাখী ইসলাম উর্মিও অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। ফকিরহাট থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক মীর স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, বৈশাখী ইসলাম উর্মির অল্প বয়সেই পিতা-মাতা সৌদি প্রবাসী ছেলের সাথে বিবাহ দেয়। এ দিকে মেয়েটির সঙ্গে অন্য ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। এ করানে উর্মি উপায়ন্তর না পেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে লাশের সুরতহালকরাসহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
বাগেরহাট জেলা শহর ও ফকিরহাট উপজেলায় পৃথক ঘটনায় একজন স্কুলছাত্রীসহ দুই তরুনী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারীরা হলো বাগেরহাট পৌর শহরের পুর্ব বাসাবাটি এলাকার ফারকুজ্জামানের মেয়ে হাফসা খাতুন ও জেলা ফকিরহাট উপজেলা সদরের রাজমিস্ত্রী আওয়াল হোসেনের মেয়ে বৈশাখী ইসলাম উমি। ঘটনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানায়, হাফসা খাতুন বাগেরহাট সদরের হাফিজা খাতুন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। সে মঙ্গলবার দুপুরের পর নিজ বাসায় শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে আতহত্যা করে। খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ হাফসা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাহমুদ উল হাসান বলেন, হাফসা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে মৃত্যু সঠিক কারন উদঘাটনে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, ফকিরহাট উপজেলা সদরের আট্রাকি এলাকায় বৈশাখী ইসলাম উর্মি পিতা-মাতার উপর অভিমান করে সোমবার রাতে নিজ বাড়ীতে ঘরের দরজা জানালা বদ্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা হত্যা করে। বিষয়টি তার মাতা দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার পিতা আওয়াল হোসেন বলেন, একমাস আগে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার হাওলাদার ডাঙ্গী গ্রামের মিন্টু মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী মাসুদ মোল্লার সাথে মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহ দেয়া হয়। বৈশাখী ইসলাম উর্মিও অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। ফকিরহাট থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক মীর স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, বৈশাখী ইসলাম উর্মির অল্প বয়সেই পিতা-মাতা সৌদি প্রবাসী ছেলের সাথে বিবাহ দেয়। এ দিকে মেয়েটির সঙ্গে অন্য ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। এ করানে উর্মি উপায়ন্তর না পেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে লাশের সুরতহালকরাসহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।