জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নাজিরপুর শংকরপাশা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মা, ছেলে এবং মেয়েসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মনির খলিফা ও তার ৮-৯ জন সহযোগী মিলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ রাসেল খলিফার পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রাসেল খলিফা (২৯), তার মা রাশিদা বেগম (৫০), ছোট ভাই কলেজ ছাত্র ইমরান খলিফা (২১), ছোট ২ বোন নাদিয়া আক্তার (২৬), সাবিনা আক্তার (১৮) এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাশিদা বেগম (৫০), ইমরান খলিফা (২১), নাদিয়া আক্তার (২৬), সাবিনা আক্তার (১৮)কে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
রাসেল খলিফার ছোট ভাই গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র ইমরান খলিফা জানান, তার বড় বোন আহত নাদিয়া আক্তারকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের যে ধরে প্রতিপক্ষরা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা বুঝে উঠতে না পারায় একতরফাভাবে ওদের হাতে মার খেয়েছি। আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব। হামলাকারী মনির খলিফা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। সে এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করছি।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মনির খলিফা বলেন, আমি হামলা করিনি বরং ওরাই আমার উপরে হামলা করেছে। রাসেল ও ইমরান খলিফার মা আমাকে অকথ্য ভাষায় ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করায় ওরা মা ছেলে-মেয়ে একত্রিত হয়ে সে আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ঠেকাতে গিয়ে আমার এক চাচার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকেও গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নাজিরপুর শংকরপাশা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মা, ছেলে এবং মেয়েসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মনির খলিফা ও তার ৮-৯ জন সহযোগী মিলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ রাসেল খলিফার পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রাসেল খলিফা (২৯), তার মা রাশিদা বেগম (৫০), ছোট ভাই কলেজ ছাত্র ইমরান খলিফা (২১), ছোট ২ বোন নাদিয়া আক্তার (২৬), সাবিনা আক্তার (১৮) এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাশিদা বেগম (৫০), ইমরান খলিফা (২১), নাদিয়া আক্তার (২৬), সাবিনা আক্তার (১৮)কে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
রাসেল খলিফার ছোট ভাই গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র ইমরান খলিফা জানান, তার বড় বোন আহত নাদিয়া আক্তারকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের যে ধরে প্রতিপক্ষরা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা বুঝে উঠতে না পারায় একতরফাভাবে ওদের হাতে মার খেয়েছি। আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব। হামলাকারী মনির খলিফা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। সে এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের কাছে তার কঠোর বিচার দাবি করছি।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মনির খলিফা বলেন, আমি হামলা করিনি বরং ওরাই আমার উপরে হামলা করেছে। রাসেল ও ইমরান খলিফার মা আমাকে অকথ্য ভাষায় ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করায় ওরা মা ছেলে-মেয়ে একত্রিত হয়ে সে আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ঠেকাতে গিয়ে আমার এক চাচার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকেও গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।