বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চলছে চরম অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে নিজের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ডাক্তার আবুল মনজুর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে তাহাকে নিয়মিত পাওয়া যায় না এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। তিনি অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখায়। ফলে সরকারি কমপ্লেক্সে এসে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে। চিকিৎসা নিতে আসা রুজিনা, জাকির হোসেন, মরিয়ম বিবি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতাল তো খালি থাকার জায়গা না! অথচ চিকিৎসক নেই, ওষুধ নেই, আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তো নিজেই নেই। তিনি চেম্বারে বসে টাকা নিয়ে রোগী দেখেন।’
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে হতাশা। তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতি না থাকায় অনেক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যসেবাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। সরকারি বেতনভোগী একজন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা শুধু পেশাগত অনৈতিকতা নয়, এটি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান দ্রুত হস্তক্ষেপ করে নাইক্ষ্যংছড়ির জনগণকে বাঁচান স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চনার হাত থেকে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মচারী জানান, তিনি যোগদান করার পর থেকে সরকারি গাড়িটি ব্যবহার করেনি কিন্তু তিনি গাড়ি ব্যবহারের তৈল ঠিকই নিচ্ছেন যার ফলে ৬৪ লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়িটি নষ্ট হয়ে গেছে এখন গাড়িটি অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। তিনি কেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছে না জানতে চাইলে তাহারা জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তিনি চেম্বার করে কক্সবাজার জেলা চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে সাংবাদিকরা যদি দেখে ফেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে সরকারি গাড়ি নিজস্ব চেম্বারে ব্যবহার করছে সেই ভয়ে, তাই ভ্রমণে না গিয়ে ভ্রমণ বিল উত্তোলন করেন। সেখানেও শেষ নেই তিনি মাঠ পর্যায়ে যোগদানের পর থেকে ভিজিট পর্যন্ত করেনি কিছু বললে ওপরে তাহার লোক আছে বলে ভয় দেখায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের যার কারণে মুখ খুলতে নারাজ কর্মচারীরা। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল মনজুর বলেন আমি এখনও নতুন, স্টাফেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, হাসপাতালে নার্স ছাড়া সব কিছুর সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন গাড়ির ড্রাইভার নেই তাই তিনি গাড়ি ব্যবহার করছে না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানান। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন তাহার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি সে বিষয়ে আমি খতিয়ে দেখবো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চলছে চরম অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে নিজের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ডাক্তার আবুল মনজুর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে তাহাকে নিয়মিত পাওয়া যায় না এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। তিনি অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখায়। ফলে সরকারি কমপ্লেক্সে এসে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে। চিকিৎসা নিতে আসা রুজিনা, জাকির হোসেন, মরিয়ম বিবি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতাল তো খালি থাকার জায়গা না! অথচ চিকিৎসক নেই, ওষুধ নেই, আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তো নিজেই নেই। তিনি চেম্বারে বসে টাকা নিয়ে রোগী দেখেন।’
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে হতাশা। তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতি না থাকায় অনেক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যসেবাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। সরকারি বেতনভোগী একজন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা শুধু পেশাগত অনৈতিকতা নয়, এটি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান দ্রুত হস্তক্ষেপ করে নাইক্ষ্যংছড়ির জনগণকে বাঁচান স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চনার হাত থেকে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মচারী জানান, তিনি যোগদান করার পর থেকে সরকারি গাড়িটি ব্যবহার করেনি কিন্তু তিনি গাড়ি ব্যবহারের তৈল ঠিকই নিচ্ছেন যার ফলে ৬৪ লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়িটি নষ্ট হয়ে গেছে এখন গাড়িটি অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। তিনি কেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছে না জানতে চাইলে তাহারা জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তিনি চেম্বার করে কক্সবাজার জেলা চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে সাংবাদিকরা যদি দেখে ফেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে সরকারি গাড়ি নিজস্ব চেম্বারে ব্যবহার করছে সেই ভয়ে, তাই ভ্রমণে না গিয়ে ভ্রমণ বিল উত্তোলন করেন। সেখানেও শেষ নেই তিনি মাঠ পর্যায়ে যোগদানের পর থেকে ভিজিট পর্যন্ত করেনি কিছু বললে ওপরে তাহার লোক আছে বলে ভয় দেখায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের যার কারণে মুখ খুলতে নারাজ কর্মচারীরা। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল মনজুর বলেন আমি এখনও নতুন, স্টাফেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, হাসপাতালে নার্স ছাড়া সব কিছুর সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন গাড়ির ড্রাইভার নেই তাই তিনি গাড়ি ব্যবহার করছে না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানান। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন তাহার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি সে বিষয়ে আমি খতিয়ে দেখবো।