কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে তাকে হ্নীলা পাহাড়ের পাদদেশে এনে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ফেরত আনতে হয়েছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে একদল অস্ত্রধারী এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাহাড়ে পুলিশসহ যৌথবাহিনীর অভিযানেও তাকে ছেড়ে দেয়নি সন্ত্রাসীরা। তবে প্রথম দিকে তারা ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলেও শেষমেশ কতো টাকায় নুরুল ইসলামের মুক্তি মিলেছে তা জানাননি পরিবারের কেউ।
নুরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসাইন জানান, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বাবাকে ফেরত আনতে হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা শারীরিকভাবে খুব বেশি আঘাত করেছে। এতে তিনি আহত ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। লেদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দোকান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ নিয়ে তাকে ফেরত দেয়ার কথা শুনেছি। রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে পুরো এলাকার মানুষ খুব ভয়ে আছে। টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাউসার সিকদার জানান, অপহৃত নুরুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
তবে মুক্তিপণের বিষয়ে জানা নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ব্যবসায় সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টার দিকে তাকে হ্নীলা পাহাড়ের পাদদেশে এনে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ফেরত আনতে হয়েছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে একদল অস্ত্রধারী এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাহাড়ে পুলিশসহ যৌথবাহিনীর অভিযানেও তাকে ছেড়ে দেয়নি সন্ত্রাসীরা। তবে প্রথম দিকে তারা ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলেও শেষমেশ কতো টাকায় নুরুল ইসলামের মুক্তি মিলেছে তা জানাননি পরিবারের কেউ।
নুরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসাইন জানান, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বাবাকে ফেরত আনতে হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা শারীরিকভাবে খুব বেশি আঘাত করেছে। এতে তিনি আহত ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। লেদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দোকান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ নিয়ে তাকে ফেরত দেয়ার কথা শুনেছি। রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে পুরো এলাকার মানুষ খুব ভয়ে আছে। টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাউসার সিকদার জানান, অপহৃত নুরুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
তবে মুক্তিপণের বিষয়ে জানা নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ব্যবসায় সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে।