alt

দশমিনায় ৩টি চরের সীমানা বিরোধ ৮০ বছরেও মিটেনি

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলায় জেগে ওঠা চর -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৩টি চরের সীমানা বিরোধ দীর্য ৮০ বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যবধি তা নিস্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে দীর্য বছরের এই সীমানা বিরোধ বছরের পর বছর ঝুলে থাকছে। আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সীমানা পূর্নঃ নির্ধারন না করায় বছরের পর বছর এই বিরোধ লেগেই আছে। উপজেলার বিরোধপূর্ন ৩টি চরে ফসল ঘরে তুলে নেবার সময় বিরোধ দেখা দেয়। ফলে ৩টি চরের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক পরিবার ভয়ে এলাকায় থাকতে সাহস পায় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর ভূমিদস্যুদের উস্কানির কারনে প্রায় ৮০ বছরের পুরানো এই বিরোধের মীমাংসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার দক্ষিন পূর্বে নদী মাঝে ৭নং চরবোরহান ইউনিয়ন অবস্থিত। উপজেলার একমাত্র তেঁতুলিয়া নদীর ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই চরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার মৌজার সীমানা বিরোধ যুগ যুগ ধরে লেগে আছে। এছাড়া দশমিনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের চরহাদী মৌজার সাথে লালমোহন উপজেলার চর কচুখালীর সাথে অনুরূপ সীমানা বিরোধ রয়েছে। অপর দিকে একই চরের পূর্ব প্রান্তে চর কচুয়াখালী আর পশ্চিম প্রান্ত চরহাদী নামে পরিচিত হয়ে আসছে। উল্লেখিত চরের বাসিন্দারা জানান, সি.এস ম্যাপকে গুরুত্ব না দিয়ে ভোলা জেলার ভূমিদস্যুরা আর.এস ম্যাপ এবং বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের অস্তিত্ব অনুসারে চরগুলোকে তাদের অংশ দাবী করছে। অথচ নির্ধারিত রেকর্ড-রেজিষ্ট্রারে দোন বলতে কিছুই নেই। উপজেলার ৭নং চরবোরহানের বাসিন্দারা বলেন, ১৯৪০-৪২ সালে তৈরি করা আর.এস ম্যাপের লাইন অনুসারে আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারন করার প্রয়োজন ছিল কিন্তু তা করা হয় নাই। আর এই সুযোগটি ভোলা জেলার ভূমিদস্যুরা কাজে লাগিয়েছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দস্যুরা ভূমি মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদেরকে ভূল বুঝিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নেয়। এই প্রজ্ঞাপনের কারনে দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ও চরশাহজালালের একটি বিশাল অংশ প্রায় ৩৫-৪০ বছর ধরে তারা দাবী করে আসছে। অথচ প্রায় শত বছরের আগের তৈরি করা সি.এস ম্যাপকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করেছে। দশমিনা উপজেলা চরবোরহান ও চরশাহজালালের শত শত পরিবার বিভিন্ন সময়ে চরের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে অদ্যাবধি বসবাস করে আসছে। চরে কৃষকদের ধান পাকলে প্রতি বছর ভোলার ভূমিদস্যুরা ধান নিয়ে যায়। এছাড়া লাঠিয়াল বাহিনী ও ভূমিদস্যুরা মিলে মাঝে মধ্যে কৃষকদের বাসা-বাড়িতে হামলা, ভাংচুরসহ অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। চরে বসবাসরত কৃষকদেরকে উৎখাতের জন্য বর্ষা মৌসুমে হালের গরু-মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়।

দশমিনা উপজেলার চরশাহজালালের বাসিন্দা আবুল রাঢ়ী জানান, সি.এস ম্যাপ অনুসারে পূর্ব দক্ষিন চর মোতাহারের মধ্যে সাড়ে ৫ চেইনের অধিক জমি রয়েছে। চরফ্যাশনের ভূমিদস্যুরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে হাল রেকর্ডে (আর.এস) পশ্চিমে প্রায় ১০ চেইন চরবোরহান ও চরশাহজালালের মধ্যে তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা ও চরফ্যাশনের মধ্যে বুড়াগৌরাঙ্গ দোনকে আন্তঃ জেলা সীমানা রেখা হিসাবে প্রশাসনিক ভাবে নির্ধারন করা আছে। অথচ বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের অস্তিত্ব না থাকার পরও চরফ্যাশন ও দশমিনার মধ্যে আর.এস ম্যাপের লাইন মেনে সীমানা নির্ধারন করা হয় যা বিরোধকে আরও উস্কে দিয়েছে। ১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের পূর্বপাড় গলাচিপা অংশে চরনিউলিন, চরমোনহার ও চরমোতাহারকে চরফ্যাশন উপজেলার অর্ন্তভুক্ত করে আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারন করে এবং দশমিনা অংশে আর.এস লাইন অনুসরন করতে বলা হয়। এই প্রজ্ঞাপন দশমিনা ও গলাচিপার কৃষকরা মানতে রাজি নয়। এছাড়া দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদির সাথে ভোলার লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালীর সীমানা বিরোধ দীর্যদিনের রয়েছে। এই সীমানা বিরোধ নিয়ে ২০০০ সালে লালমোহনের ভূমিদস্যুরা দশমিনার চরহাদির অংশে আমন ধান লুট করে নেয়ার সময় ভূমিহীন কৃষক নজির দেওয়ান বাধা দিলে তাকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তৎকালিন সময়ে দুই জেলা প্রশাসক পর্যায়ে ফ্লাগ মিটিং হয়। ফ্লাগ মিটিং পরবর্তীতে সীমান্তে বিরোধীয় ৫০ একর জমির মধ্যে ভোলার চরকচুয়াখালীর ৩০ একর ও দশমিনার চরহাদির অংশে ২০ একর জমি ডি.আর.এস জরিপ না হওয়া পর্যন্ত স্ব-স্ব কৃষকরা ভোগ দখল করবে। তৎকালিন সমঝোতায় দীর্য ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। চরহাদির ভূমিহীন কৃষকরা বলেন, ডি.আর.এস জরিপের জন্য তারা ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দ্রুত সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ মিটানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।

ছবি

ডুমুরিয়ায় সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

ছবি

শ্রীনগরে জনির উপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

পীরগঞ্জে বিক্রিত জমি ২১ বছর পর দখলের পাঁয়তারা!

ছবি

সাঘাটায় দরিদ্রদের মাঝে ভি ডাব্লিউবির চাল বিতরণ

ছবি

বাগেরহাট কারাগারে আরো একজন বন্দির মৃত্যু

ছবি

ধুলাবালির কুয়াশায় ঢেকে যায় কাঞ্চন-ভুলতা সড়ক, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

ছবি

নবীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা কৃষক

এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে গুরুতর জখম

কারাজীবন শেষে কমলগঞ্জে প্রবীর সিংহের আবেগঘন প্রত্যাবর্তন

বাউলদের ওপর হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে উদ্বেগ মামুনুল হকের

নওগাঁয় দুই মাথা ও তিন হাতওয়ালা শিশুর জন্ম

প্রস্তাবিত ‘ই-পার্টিসিপেশন’ নীতিমালা: নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়াতে গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমাতে হবে

ছবি

আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

প্রশাসনের যোগসাজশে হাকালুকি হাওরে মাছ লুটের মহোৎসব!

উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

ছবি

ইটনায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত

ছবি

সাঘাটায় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

ছবি

দুমকিতে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী তরুণ উদ্যোক্তা মশিউর রহমান

ছবি

চিতলমারীতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ছবি

গজারিয়ায় বিরোধের জের ধরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি

দামুড়হুদার পল্লীতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের হিড়িক

ছবি

সিরাজগঞ্জে অতিথি পাখিতে মুখরিত বিভিন্ন জলাশয়

ছবি

সোনারগাঁয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

ছবি

কেন্দুয়ায় ঋণের ফাঁদে পড়ে কারাগারে মা মানবেতর দিন কাটছে প্রতিবন্ধী সন্তানদের

ছবি

আদমদীঘিতে ৫ মাদক কারবারীর জেল জরিমানা, জব্দ করা মাদক ধংস

ছবি

জলাশয় দখল নিয়ে সহিংসতা, আতঙ্কে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী

ছবি

রাণীনগরে মৎস্যজীবীর বাড়িতে আগুন

ছবি

সন্ধান নেই লালমোহনের ১৩ জেলের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পরিবার

ছবি

ডিমলায় সারের জন্য কৃষকদের বিক্ষোভ

ছবি

বাঁশের সাঁকো পাল্টে পাকা সেতু পেল ১৬ পরিবার

ছবি

বেগমগঞ্জে লাইসেন্সবিহিন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান, অর্থদন্ড

চান্দিনায় অস্ত্রসহ আটক ১০

ছবি

আক্কেলপুরে লাইনে দাঁড়িয়েও সার না পেয়ে হতাশ কৃষকরা

ছবি

কলারোয়ায় বিষ দিয়ে দু’শ বক্স মৌমাছি হত্যা!

ছবি

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

tab

দশমিনায় ৩টি চরের সীমানা বিরোধ ৮০ বছরেও মিটেনি

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলায় জেগে ওঠা চর -সংবাদ

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৩টি চরের সীমানা বিরোধ দীর্য ৮০ বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যবধি তা নিস্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে দীর্য বছরের এই সীমানা বিরোধ বছরের পর বছর ঝুলে থাকছে। আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সীমানা পূর্নঃ নির্ধারন না করায় বছরের পর বছর এই বিরোধ লেগেই আছে। উপজেলার বিরোধপূর্ন ৩টি চরে ফসল ঘরে তুলে নেবার সময় বিরোধ দেখা দেয়। ফলে ৩টি চরের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক পরিবার ভয়ে এলাকায় থাকতে সাহস পায় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর ভূমিদস্যুদের উস্কানির কারনে প্রায় ৮০ বছরের পুরানো এই বিরোধের মীমাংসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার দক্ষিন পূর্বে নদী মাঝে ৭নং চরবোরহান ইউনিয়ন অবস্থিত। উপজেলার একমাত্র তেঁতুলিয়া নদীর ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই চরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার মৌজার সীমানা বিরোধ যুগ যুগ ধরে লেগে আছে। এছাড়া দশমিনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের চরহাদী মৌজার সাথে লালমোহন উপজেলার চর কচুখালীর সাথে অনুরূপ সীমানা বিরোধ রয়েছে। অপর দিকে একই চরের পূর্ব প্রান্তে চর কচুয়াখালী আর পশ্চিম প্রান্ত চরহাদী নামে পরিচিত হয়ে আসছে। উল্লেখিত চরের বাসিন্দারা জানান, সি.এস ম্যাপকে গুরুত্ব না দিয়ে ভোলা জেলার ভূমিদস্যুরা আর.এস ম্যাপ এবং বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের অস্তিত্ব অনুসারে চরগুলোকে তাদের অংশ দাবী করছে। অথচ নির্ধারিত রেকর্ড-রেজিষ্ট্রারে দোন বলতে কিছুই নেই। উপজেলার ৭নং চরবোরহানের বাসিন্দারা বলেন, ১৯৪০-৪২ সালে তৈরি করা আর.এস ম্যাপের লাইন অনুসারে আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারন করার প্রয়োজন ছিল কিন্তু তা করা হয় নাই। আর এই সুযোগটি ভোলা জেলার ভূমিদস্যুরা কাজে লাগিয়েছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দস্যুরা ভূমি মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদেরকে ভূল বুঝিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নেয়। এই প্রজ্ঞাপনের কারনে দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ও চরশাহজালালের একটি বিশাল অংশ প্রায় ৩৫-৪০ বছর ধরে তারা দাবী করে আসছে। অথচ প্রায় শত বছরের আগের তৈরি করা সি.এস ম্যাপকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারন করেছে। দশমিনা উপজেলা চরবোরহান ও চরশাহজালালের শত শত পরিবার বিভিন্ন সময়ে চরের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে অদ্যাবধি বসবাস করে আসছে। চরে কৃষকদের ধান পাকলে প্রতি বছর ভোলার ভূমিদস্যুরা ধান নিয়ে যায়। এছাড়া লাঠিয়াল বাহিনী ও ভূমিদস্যুরা মিলে মাঝে মধ্যে কৃষকদের বাসা-বাড়িতে হামলা, ভাংচুরসহ অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। চরে বসবাসরত কৃষকদেরকে উৎখাতের জন্য বর্ষা মৌসুমে হালের গরু-মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়।

দশমিনা উপজেলার চরশাহজালালের বাসিন্দা আবুল রাঢ়ী জানান, সি.এস ম্যাপ অনুসারে পূর্ব দক্ষিন চর মোতাহারের মধ্যে সাড়ে ৫ চেইনের অধিক জমি রয়েছে। চরফ্যাশনের ভূমিদস্যুরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে হাল রেকর্ডে (আর.এস) পশ্চিমে প্রায় ১০ চেইন চরবোরহান ও চরশাহজালালের মধ্যে তাদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা ও চরফ্যাশনের মধ্যে বুড়াগৌরাঙ্গ দোনকে আন্তঃ জেলা সীমানা রেখা হিসাবে প্রশাসনিক ভাবে নির্ধারন করা আছে। অথচ বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের অস্তিত্ব না থাকার পরও চরফ্যাশন ও দশমিনার মধ্যে আর.এস ম্যাপের লাইন মেনে সীমানা নির্ধারন করা হয় যা বিরোধকে আরও উস্কে দিয়েছে। ১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে বুড়াগৌরাঙ্গ দোনের পূর্বপাড় গলাচিপা অংশে চরনিউলিন, চরমোনহার ও চরমোতাহারকে চরফ্যাশন উপজেলার অর্ন্তভুক্ত করে আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারন করে এবং দশমিনা অংশে আর.এস লাইন অনুসরন করতে বলা হয়। এই প্রজ্ঞাপন দশমিনা ও গলাচিপার কৃষকরা মানতে রাজি নয়। এছাড়া দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদির সাথে ভোলার লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালীর সীমানা বিরোধ দীর্যদিনের রয়েছে। এই সীমানা বিরোধ নিয়ে ২০০০ সালে লালমোহনের ভূমিদস্যুরা দশমিনার চরহাদির অংশে আমন ধান লুট করে নেয়ার সময় ভূমিহীন কৃষক নজির দেওয়ান বাধা দিলে তাকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তৎকালিন সময়ে দুই জেলা প্রশাসক পর্যায়ে ফ্লাগ মিটিং হয়। ফ্লাগ মিটিং পরবর্তীতে সীমান্তে বিরোধীয় ৫০ একর জমির মধ্যে ভোলার চরকচুয়াখালীর ৩০ একর ও দশমিনার চরহাদির অংশে ২০ একর জমি ডি.আর.এস জরিপ না হওয়া পর্যন্ত স্ব-স্ব কৃষকরা ভোগ দখল করবে। তৎকালিন সমঝোতায় দীর্য ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। চরহাদির ভূমিহীন কৃষকরা বলেন, ডি.আর.এস জরিপের জন্য তারা ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দ্রুত সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ মিটানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।

back to top