ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারী ডিমলায় মবসৃষ্টি করে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র সরকারী বালু অবৈধভাবে চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে আসছে। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বালু সিন্ডিকেটের হাতে ৩ সংবাদ কর্মী হামলার শিকার হয়েছে । গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ গণমাধ্যম কর্মী । আহত সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম কর্মী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়িতে (হাজিপাড়া) এলাকায় ইতিইতিপূর্বে নাউতার নদী খননের দু পাশে রাখা সরকারী বালু স্তুপ এলাকার একটি চিহ্নিত চোর চক্র জমা কৃত বালু ট্রলিযোগে পরিবহন করে বিক্রি করে আসছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ পেয়ে, ডিমলা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার ডিমলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪০) সহ ক্রাইম নিউজ ২৪.কম এর মো,আরিফ ইসলাম আলাল (৩৬) ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মো. আমিনুর রহমান দুলাল হোসেন (৩৯) ঘটনা স্থলে পৌঁছিলে তাদের উপর বালু সিন্ডিকেট চক্রের নেতা মো. আলিমুদ্দিন (৫০) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (৩০ ) মব সৃষ্টি করে তাদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন ঐ ৩ সংবাদ কর্মী। আহত সংবাদ কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা ও আটকের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ডিমলা অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আহত ৩ সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরিফ ইসলাম আলাল নামীয় ৬ জন ও অজ্ঞাত ১৮-২০ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডিমলায় সাংবাদিকের উপর বর্বরচিত হামলা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ময়েন কবীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন নগর, সম্পাদক বাদশা প্রামানিক সহ সাংবাদিকের সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এ ঘটনাযর নিন্দা জানিয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন করে আহত সংবাদ কর্মীদের আইন গত সার্বিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাসন দেন।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারী ডিমলায় মবসৃষ্টি করে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র সরকারী বালু অবৈধভাবে চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে আসছে। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বালু সিন্ডিকেটের হাতে ৩ সংবাদ কর্মী হামলার শিকার হয়েছে । গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ গণমাধ্যম কর্মী । আহত সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম কর্মী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়িতে (হাজিপাড়া) এলাকায় ইতিইতিপূর্বে নাউতার নদী খননের দু পাশে রাখা সরকারী বালু স্তুপ এলাকার একটি চিহ্নিত চোর চক্র জমা কৃত বালু ট্রলিযোগে পরিবহন করে বিক্রি করে আসছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ পেয়ে, ডিমলা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার ডিমলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪০) সহ ক্রাইম নিউজ ২৪.কম এর মো,আরিফ ইসলাম আলাল (৩৬) ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মো. আমিনুর রহমান দুলাল হোসেন (৩৯) ঘটনা স্থলে পৌঁছিলে তাদের উপর বালু সিন্ডিকেট চক্রের নেতা মো. আলিমুদ্দিন (৫০) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (৩০ ) মব সৃষ্টি করে তাদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন ঐ ৩ সংবাদ কর্মী। আহত সংবাদ কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা ও আটকের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ডিমলা অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আহত ৩ সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরিফ ইসলাম আলাল নামীয় ৬ জন ও অজ্ঞাত ১৮-২০ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডিমলায় সাংবাদিকের উপর বর্বরচিত হামলা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ময়েন কবীর, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন নগর, সম্পাদক বাদশা প্রামানিক সহ সাংবাদিকের সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এ ঘটনাযর নিন্দা জানিয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন করে আহত সংবাদ কর্মীদের আইন গত সার্বিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাসন দেন।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলে এলাহী ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।