জন বসতির শুরু থেকে এ অনিয়ম চালু হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে লেখালেখি হওয়ার পরও কোন পরিবর্তন হয়নি। সারাদেশে চলে এক নিয়ম, রাঙ্গাবালী তার বেতিক্রম। এই বেতিক্রমী নিয়ম বাতিল করে, সারা দেশের মতো ৪০ কেজিতে মন চালু করার দাবী করছেন রাঙ্গাবালীর কৃষকরা।
কৃষি প্রধান উপজেলা রাঙ্গাবালী। শতকরা ৯০ জন কৃষির উপর নির্ভরশীল। আদি কাল থেকে এই উপজেলায় একটা অনিয়ম চালু রয়েছে। সারা দেশে ফসলের ওজন ৪০ কেজিতে মন। আর রাঙ্গাবালীতে ৪৮ কেজি। এতে মন প্রতি ৮ কেজি করে ঠকানো হচ্ছে কৃষকদের। এ নিয়ে বহুবার আপত্তি করা হলেও কোন নিষ্পত্তি হয়নি। স্থানীয় কিছু ব্যাপারী বা খুচরা ক্রেতারা নিজেদের স্বার্থে এ নিয়ম চালু রেখেছে। মহাজন বা আরৎদার না থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তাদের কষ্টার্জিত ফসল।
উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে কাটাখালী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলায় আরৎদার বা মহাজন না থাকায়, ধান বিক্রি করতে যেতে হয় কলাপাড়া বা গলাচিপা উপজেলায়। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকরা স্থানীয় ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করে ৪৮ কেজি মন হিসেবে। বর্তমানে ৪৮ কেজির মন বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, গলাচিপা, কলাপাড়া ৪০ কেজি বিক্রি হয় ১২শ টাকায়। এতে মন প্রতি অন্তত ২০০ টাকা কম পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই ৪৮ কেজির হিসাব বাতিল করে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে ৪০ কেজির নিয়ম চালু করার দাবী করছেন কৃষকরা ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
জন বসতির শুরু থেকে এ অনিয়ম চালু হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে লেখালেখি হওয়ার পরও কোন পরিবর্তন হয়নি। সারাদেশে চলে এক নিয়ম, রাঙ্গাবালী তার বেতিক্রম। এই বেতিক্রমী নিয়ম বাতিল করে, সারা দেশের মতো ৪০ কেজিতে মন চালু করার দাবী করছেন রাঙ্গাবালীর কৃষকরা।
কৃষি প্রধান উপজেলা রাঙ্গাবালী। শতকরা ৯০ জন কৃষির উপর নির্ভরশীল। আদি কাল থেকে এই উপজেলায় একটা অনিয়ম চালু রয়েছে। সারা দেশে ফসলের ওজন ৪০ কেজিতে মন। আর রাঙ্গাবালীতে ৪৮ কেজি। এতে মন প্রতি ৮ কেজি করে ঠকানো হচ্ছে কৃষকদের। এ নিয়ে বহুবার আপত্তি করা হলেও কোন নিষ্পত্তি হয়নি। স্থানীয় কিছু ব্যাপারী বা খুচরা ক্রেতারা নিজেদের স্বার্থে এ নিয়ম চালু রেখেছে। মহাজন বা আরৎদার না থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তাদের কষ্টার্জিত ফসল।
উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে কাটাখালী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলায় আরৎদার বা মহাজন না থাকায়, ধান বিক্রি করতে যেতে হয় কলাপাড়া বা গলাচিপা উপজেলায়। তাই বাধ্য হয়ে কৃষকরা স্থানীয় ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করে ৪৮ কেজি মন হিসেবে। বর্তমানে ৪৮ কেজির মন বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, গলাচিপা, কলাপাড়া ৪০ কেজি বিক্রি হয় ১২শ টাকায়। এতে মন প্রতি অন্তত ২০০ টাকা কম পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই ৪৮ কেজির হিসাব বাতিল করে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে ৪০ কেজির নিয়ম চালু করার দাবী করছেন কৃষকরা ।