ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে পদ্মা পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমা বেগম (৫৫) ও তার নাতিন মার্জিয়া আক্তার (৮) নামের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা শিশু মার্জিয়া ও নানীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাতিন মার্জিয়াকে নিহত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নানী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ৪টার দিকে নাজমা বেগম মৃত্যুবরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
নিহত শিশু মার্জিয়া আক্তার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা গ্রামের কালি বাড়ির মানিক হোসেনের মেয়ে আর নাজমা বেগম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড় হাজী বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী। তারা সম্পর্কে আপন নানী ও নাতিন।
শিশু মার্জিয়ার নানা মনির হোসেন জানান, এদিন রাতে তিনি তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও বড় মেয়ের ঘরের নাতিন মার্জিয়াকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। কেনাকাটা শেষে তারা কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব দিকে আসা পদ্মাবাস নাজমা ও মার্জিয়ার উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাজ্জাদ রশিদ ডেবিড জানান, তিনি সড়কের উত্তর পাশে ছিলেন। মানুষের ডাক-চিৎকার শুনে সড়কের দক্ষিণ পাশে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাৎখনিক শিশুটিকে কোলে তুলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখনও শিশুটি জীবিত ছিলো, কিন্তু হাসপাতালে গেইটে প্রবেশের সময় শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনায় বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরাদ হোসেন ঘাতক বাসটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। পরর্তীতে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুটির মরদেহ পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, হাসপাতালে শিশু মার্জিয়াকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি এবং নাজমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। শুনেছি সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নানী নাজমা বেগমও মৃত্যুবরণ করেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ঘাতক বাস ও ২টি মরদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে পদ্মা পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমা বেগম (৫৫) ও তার নাতিন মার্জিয়া আক্তার (৮) নামের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা শিশু মার্জিয়া ও নানীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাতিন মার্জিয়াকে নিহত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নানী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ৪টার দিকে নাজমা বেগম মৃত্যুবরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
নিহত শিশু মার্জিয়া আক্তার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা গ্রামের কালি বাড়ির মানিক হোসেনের মেয়ে আর নাজমা বেগম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড় হাজী বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী। তারা সম্পর্কে আপন নানী ও নাতিন।
শিশু মার্জিয়ার নানা মনির হোসেন জানান, এদিন রাতে তিনি তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও বড় মেয়ের ঘরের নাতিন মার্জিয়াকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। কেনাকাটা শেষে তারা কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব দিকে আসা পদ্মাবাস নাজমা ও মার্জিয়ার উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সাজ্জাদ রশিদ ডেবিড জানান, তিনি সড়কের উত্তর পাশে ছিলেন। মানুষের ডাক-চিৎকার শুনে সড়কের দক্ষিণ পাশে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাৎখনিক শিশুটিকে কোলে তুলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখনও শিশুটি জীবিত ছিলো, কিন্তু হাসপাতালে গেইটে প্রবেশের সময় শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনায় বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরাদ হোসেন ঘাতক বাসটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। পরর্তীতে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুটির মরদেহ পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, হাসপাতালে শিশু মার্জিয়াকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি এবং নাজমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। শুনেছি সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নানী নাজমা বেগমও মৃত্যুবরণ করেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ঘাতক বাস ও ২টি মরদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।