ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চট্টগ্রাম - ৬ (রাউজান) আসনটিতে এখনো কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তিন হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দুই জনের অন্তর্কলহের কারণে ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে বহুবার সংঘর্ষ দেখেছে এই এলাকার মানুষ। তাই সচেতন মহল আশঙ্কা করছেন প্রার্থী ঘোষণা এলে এই বিরোধ আরো তুঙ্গে উঠবে, ঘটবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! তাই বিএনপির হাই কমান্ডও এই আসনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সময় নিচ্ছেন। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে এলাকাছাড়া ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছাত্রজনতার গণঅভূত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর এলাকায় এসে রাজনীতির মাঠে সরব হন তারা। তবে, গত ১৫ মাসে চাঁদাবজি, হানাহানি, সংঘর্ষ, খুনসহ নানা ঘটনায় চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ আলোচিত উপজেলা হয়ে উঠে রাউজান। বিশেষ করে এর মধ্যে ঘটে যাওয়া ১৭ হত্যাকান্ডের ঘটনায়। যার ১২টি-ই রাজনৈতিক ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে হওয়া হত্যাকান্ড বলে উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ফলে জনমনে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে। যদিও রাউজানের বিএনপির প্রধান দুই পক্ষের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার বিষয়টি রাজনৈতিক নয় আধিপত্য বিস্তার ও অন্যান্য কারণে ঘটেছে বলে দাবী করে দায় এড়িয়ে যান। রাউজানে ৫ আগস্টের পর নিজ নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে সরব হন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও কার্যক্রম দিয়ে বিরতিহীন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। দুই পক্ষের একাধিক সংঘর্ষের পর চলতি বছরে কয়েকমাস স্থগিত থেকে আবারো মাঠে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন গোলাম আকবর খোন্দকারের সমর্থিত নেতাকর্মীরাও। তবে এতদিন আড়লে থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় করে ফের আলোচনায় এসেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী আরো এক হেভিওয়েট বিএনপি নেতা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার। ২০১৮ সালে রাউজানে বিএনপির দুঃসময়ে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন। যার কারণে বিএনপিতে তিনি ‘সংকটকালীন প্রার্থী’ হিসেবে পরিচিতি পান। বর্তমানে দলের কেন্দ্রে মনোনয়নের জন্য এই তিন নেতাই তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। যার কারণে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রাউজানে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব বেড়েছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে রাউজানের জনসাধারণের নিরাপত্তায় এবং একটি শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ কাজ করে যাব। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী জানান, আমি মাঠের রাজনীতি করি। রাউজানের মানুষের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। দলের জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়েছি। আশাকরি দল সেটার মূল্যয়ন করবে। মানুষের আমার উপর আস্থা আছে। ধানের শীষে মনোনয়ন পেলে সর্বোচ্চ ভোটে আসন উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচিত হলে রাউজানের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবো। জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, দল আমাকে যোগ্য মনে করলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করবো। তবে আমার প্রধান লক্ষ্য হলো রাউজানের মানুষকে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়া। এখানে যেভাবে প্রতিদিন সংঘর্ষ হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। ২০১৮ সালে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও আমি দলের কথা ভেবে প্রার্থী হয়েছিলাম। এখনো দলের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে মাঠে নামতে প্রস্তুত আছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম - ৬ (রাউজান) আসনটিতে এখনো কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তিন হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দুই জনের অন্তর্কলহের কারণে ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে বহুবার সংঘর্ষ দেখেছে এই এলাকার মানুষ। তাই সচেতন মহল আশঙ্কা করছেন প্রার্থী ঘোষণা এলে এই বিরোধ আরো তুঙ্গে উঠবে, ঘটবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! তাই বিএনপির হাই কমান্ডও এই আসনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সময় নিচ্ছেন। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে এলাকাছাড়া ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছাত্রজনতার গণঅভূত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর এলাকায় এসে রাজনীতির মাঠে সরব হন তারা। তবে, গত ১৫ মাসে চাঁদাবজি, হানাহানি, সংঘর্ষ, খুনসহ নানা ঘটনায় চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ আলোচিত উপজেলা হয়ে উঠে রাউজান। বিশেষ করে এর মধ্যে ঘটে যাওয়া ১৭ হত্যাকান্ডের ঘটনায়। যার ১২টি-ই রাজনৈতিক ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে হওয়া হত্যাকান্ড বলে উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ফলে জনমনে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে। যদিও রাউজানের বিএনপির প্রধান দুই পক্ষের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার বিষয়টি রাজনৈতিক নয় আধিপত্য বিস্তার ও অন্যান্য কারণে ঘটেছে বলে দাবী করে দায় এড়িয়ে যান। রাউজানে ৫ আগস্টের পর নিজ নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে সরব হন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও কার্যক্রম দিয়ে বিরতিহীন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। দুই পক্ষের একাধিক সংঘর্ষের পর চলতি বছরে কয়েকমাস স্থগিত থেকে আবারো মাঠে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন গোলাম আকবর খোন্দকারের সমর্থিত নেতাকর্মীরাও। তবে এতদিন আড়লে থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় করে ফের আলোচনায় এসেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী আরো এক হেভিওয়েট বিএনপি নেতা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার। ২০১৮ সালে রাউজানে বিএনপির দুঃসময়ে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন। যার কারণে বিএনপিতে তিনি ‘সংকটকালীন প্রার্থী’ হিসেবে পরিচিতি পান। বর্তমানে দলের কেন্দ্রে মনোনয়নের জন্য এই তিন নেতাই তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। যার কারণে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রাউজানে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব বেড়েছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে রাউজানের জনসাধারণের নিরাপত্তায় এবং একটি শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ কাজ করে যাব। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী জানান, আমি মাঠের রাজনীতি করি। রাউজানের মানুষের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক। দলের জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়েছি। আশাকরি দল সেটার মূল্যয়ন করবে। মানুষের আমার উপর আস্থা আছে। ধানের শীষে মনোনয়ন পেলে সর্বোচ্চ ভোটে আসন উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচিত হলে রাউজানের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবো। জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, দল আমাকে যোগ্য মনে করলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করবো। তবে আমার প্রধান লক্ষ্য হলো রাউজানের মানুষকে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়া। এখানে যেভাবে প্রতিদিন সংঘর্ষ হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। ২০১৮ সালে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও আমি দলের কথা ভেবে প্রার্থী হয়েছিলাম। এখনো দলের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে মাঠে নামতে প্রস্তুত আছি।