ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অনেকেরই ধারনা, একসময় এখানকার আদিবাসীরা অনেকটা সিংহের মতই পরাক্রমশালী ছিলেন বলে এই জনপদটি নরসিংহডিহি নাম ধারন করেছিলো।সংস্কৃত ভাষায় ডিহি মানে হলো ডাঙা বা উঁচু জায়গা।কালের বিবর্তনে নরসিংহডিহি থেকে নরসিংহদী হয়ে বর্তমানে নরসিংদী রুপ লাভ করে।এই নগর নরসিংহপুর পলাশে অবস্থিত এক জনপথ। যে অজানা ইতিহাস বয়োবৃদ্ধারা জানে আর স্মৃতিচারণ করে।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, একদা এই জনপদে সেন বংশের রাজারা বসবাস করতেন,যার প্রমান আর স্মৃতিচিহ্ন পলাশে সানের বাড়ি নামে গোটা একটা গ্রাম আজও বয়ে বেড়াচ্ছে ।পারুলিয়া মোড় থেকে সাধুর বাজার হয়ে অদূরেই এই সানের বাড়ি। জনশ্রুতি আছে,বৈশাখী পূর্নিমা রাতে আকাশ থেকে নেমে আসা দেও-দানবরা নাকি এক রাতেই এখানে এক বিশাল দিঘী খনন করে, অতঃপর কাস্তে-কোদাল ধৌত করার নিমিত্তে খানিকটা দূরে অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটা দিঘীও খনন করেন যা স্থানীয়দের কাছে যথাক্রমে দেওদিঘী/সবার মা দিঘী এবং কোদাল ধোয়া দিঘী নামে বেশ পরিচিত। উল্লেখ্য যে, দেওদিঘী/সবার মা দিঘীর পশ্চিম পাড়সংলগ্ন বাঁশবাগান আর কাঁটাঝোপের মধ্যে ক্ষয়ে যাওয়া ইট-পাথর সুড়কির ধ্বংসাবশেষগুলো এবং সেখানে স্থানীয় লোকেদের অনেকের স্বপ্নে দেখা মাটির নিচে সেন রাজাদের গুপ্তধনের আভাস ও উদ্ধার কালে সাপের উৎপাতের ঘটনাবলী সেন রাজাদের একসময়কার উপস্থিতি আজও লোকমুখে স্মরনীয় করে রেখেছে।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একসময় এই অঞ্চলে সেন রাজারা বীরত্ব আর শৌর্যের প্রতীক হিসেবে সত্যযুগে আবির্ভূত হওয়া বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার, নরসিংহ রুপ একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই থেকে এই তল্লাটের নাম হয়েছিলো নরসিংহডিহি।
অধিকাংশের মতে, শীতলক্ষ্যা নদীর ৩ মাইল পূর্বে বর্তমান পারুলিয়াতে আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাজা ধনপদ সিংহ তার জমিদারিত্বের গোড়াপত্তন করেন এবং একমাত্র পুত্রের নামে বর্তমান নরসিংদী জেলার আতুড়ঘর এই আবাসিক এলাকার নামকরন করেন নগর নরসিংহপুর। অতঃপর রাজা নরসিংহের আমলে এই রাজ্যের ব্যাপক উন্নতি ও প্রসার ঘটে এবং বিস্তৃত এই অঞ্চল নরসিংহডিহি নামে পরিচিতি পায়।নগর নরসিংহপুরে রাজা নরসিংহের অধঃস্তন ৫ম পুরুষ কালিদাস সিংহ স্বধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর সোলাইমান খাঁ নামধারণ করেছিলেন। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ, এই সোলাইমান খাঁ এর-ই পুত্র ছিলেন।ঈশা খাঁ এর শাসনামলে নরসিংদী জেলার এ অঞ্চলটি মহেশ্বরদী পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। নগর নরসিংহপুরে অবস্থিত পারুলিয়া শাহি মসজিদ, বসতভিটার ধ্বংসাবশেষ ও দরগামহল, ঈশা খাঁ এর বংশধর দেওয়ান শরীফ খানের সময়কার স্মৃতি বহন করে আজও জীবন্ত হয়ে আছে। স্থাপনাগুলো প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশী আগেকার মুঘল স্থাপত্যশৈলী ও সৌন্দর্যমন্ডিত টেরাকোটার দৃষ্টিনন্দিত কারুকার্য বহন করছে।মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে মুর্শিদকুলি খাঁ এর কন্যা ও দেওয়ান শরীফ খাঁ এর স্ত্রী জয়নাব বিবি এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে, দেওয়ান শরীফ খা আউলিয়া ছিলেন এবং তার স্ত্রী জয়নাব বিবিও ছিলেন অনেক কামেলদার।তাদের প্রথম সাক্ষাৎে একজন অপরজনকে যথাক্রমে বাঘ ও সাপের ওপর সরওয়াররত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। দরগামহলে মাজারের ভেতর তাদের দুজনের চির নিদ্রায় শায়িত কবর দুটি পাশাপাশি-ই রয়েছে যা সাম্প্রতিক দাঙ্গায় মাজার ভাঙার কারনে এখন সরাসরি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
নগর নরসিংহপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন পারকে দেওয়ান শরীফ খাঁ এর নামে আউলিয়ার পার বা পারে আউলিয়া ডাকা হতো যা কালক্রমে পারুলিয়া নামকরন হয়।নগর নরসিংহপুরেই অসংখ্য বাংলা গানের গীতিকবি পাগল দ্বিজদাস/ বৈকুন্ঠনাথ চক্রবর্তী জন্মেছিলেন। যিনি অসংখ্য পান্ডুলিপির দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংগীত জগতকে।
স্বচ্ছ, সলিলা, শীতলক্ষ্যা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা এই নগর নরসিংহপুরের পার একসময় হয়ে ওঠেছিলো ব্যাপক জনপ্রিয়।লোকমুখে জানা যায়, নগর নরসিংহপুরের পার থেকে বর্তমান সোনাইমুড়ীর টেক, মাঝখানে ছিলো পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তৃত জলধারা।ভুমিকম্পের কারনে এই নদের তলদেশ উত্থিত হবার কারনে কালে কালে অসংখ্য চর জাগে এই নদবক্ষে।অসংখ্য চর জাগানিয়া এই নদ বক্ষে নগর নরসিংহপুরের পাশেই সবার আগে যে চর জেগেছিল তা রাজা ধনপদের নামে নামকরন হয়েছিলো ধনার চর, আর তারপর জেগে ওঠে রাজা নরসিংহের নামে অলংকৃত নরসিংহার চর।প্রাকৃতিক সুরক্ষা দিতে এখানে মহিসোপান ও মহিঢাল হিসেবে প্রতিরক্ষা প্রদানে পরবর্তিতে সৃষ্টি হয় যথাক্রমে ঢালুয়ার চর আর সিংহার বিল।সেই সময় নগর নরসিংহপুরে বসবাসরত রাজাদের সেবাদাসে নিয়োজিত কর্মচারীবৃন্দদের আবাসন করা হয়েছিলো এই ধনার চর আর নরসিংহার চরে।পাইক পেয়াদা,ধোপা,বেদে,কামার,কুমার,মাঝি, মাল্লা,স্বর্নকার,বাদ্যকর, দর্জি, ভাষ্পর আর নরসুন্দর ছাড়াও এখানে বেশীরভাগ ঠাঁই পেয়েছিলো কৈবর্ত সম্প্রদায়ের লোকেরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন জাতিতে ধীবর।কালের পরিক্রমায় নগর নরসিংহপুরের রাজবংশীয়দের সাথে নিষাদ এই জাতিরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিস্তৃত হতে থাকে আর বিস্তৃত এই জনপদ নাম পায় লোকমুখে ধীরে নরসিংহডিহি>নরসিংদী। অথচ, চিরাচরিত গ্রামীণ কিংবা নাগরিক জীবনাবহে বেড়ে ওঠা এই জনপদের অনেকেই আজও জানে না, নগর নরসিংহপুর থেকে প্রসূত নরসিংদী জেলার নামকরনের বর্নিল এই ইতিহাস।আর বর্তমানে নরসিংদী জেলা শিল্প,কৃষি, আনারস,লটকন, কলা ও শিক্ষায় দেশের অন্যতম নামকড়া জেলা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
অনেকেরই ধারনা, একসময় এখানকার আদিবাসীরা অনেকটা সিংহের মতই পরাক্রমশালী ছিলেন বলে এই জনপদটি নরসিংহডিহি নাম ধারন করেছিলো।সংস্কৃত ভাষায় ডিহি মানে হলো ডাঙা বা উঁচু জায়গা।কালের বিবর্তনে নরসিংহডিহি থেকে নরসিংহদী হয়ে বর্তমানে নরসিংদী রুপ লাভ করে।এই নগর নরসিংহপুর পলাশে অবস্থিত এক জনপথ। যে অজানা ইতিহাস বয়োবৃদ্ধারা জানে আর স্মৃতিচারণ করে।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, একদা এই জনপদে সেন বংশের রাজারা বসবাস করতেন,যার প্রমান আর স্মৃতিচিহ্ন পলাশে সানের বাড়ি নামে গোটা একটা গ্রাম আজও বয়ে বেড়াচ্ছে ।পারুলিয়া মোড় থেকে সাধুর বাজার হয়ে অদূরেই এই সানের বাড়ি। জনশ্রুতি আছে,বৈশাখী পূর্নিমা রাতে আকাশ থেকে নেমে আসা দেও-দানবরা নাকি এক রাতেই এখানে এক বিশাল দিঘী খনন করে, অতঃপর কাস্তে-কোদাল ধৌত করার নিমিত্তে খানিকটা দূরে অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটা দিঘীও খনন করেন যা স্থানীয়দের কাছে যথাক্রমে দেওদিঘী/সবার মা দিঘী এবং কোদাল ধোয়া দিঘী নামে বেশ পরিচিত। উল্লেখ্য যে, দেওদিঘী/সবার মা দিঘীর পশ্চিম পাড়সংলগ্ন বাঁশবাগান আর কাঁটাঝোপের মধ্যে ক্ষয়ে যাওয়া ইট-পাথর সুড়কির ধ্বংসাবশেষগুলো এবং সেখানে স্থানীয় লোকেদের অনেকের স্বপ্নে দেখা মাটির নিচে সেন রাজাদের গুপ্তধনের আভাস ও উদ্ধার কালে সাপের উৎপাতের ঘটনাবলী সেন রাজাদের একসময়কার উপস্থিতি আজও লোকমুখে স্মরনীয় করে রেখেছে।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, একসময় এই অঞ্চলে সেন রাজারা বীরত্ব আর শৌর্যের প্রতীক হিসেবে সত্যযুগে আবির্ভূত হওয়া বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার, নরসিংহ রুপ একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই থেকে এই তল্লাটের নাম হয়েছিলো নরসিংহডিহি।
অধিকাংশের মতে, শীতলক্ষ্যা নদীর ৩ মাইল পূর্বে বর্তমান পারুলিয়াতে আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাজা ধনপদ সিংহ তার জমিদারিত্বের গোড়াপত্তন করেন এবং একমাত্র পুত্রের নামে বর্তমান নরসিংদী জেলার আতুড়ঘর এই আবাসিক এলাকার নামকরন করেন নগর নরসিংহপুর। অতঃপর রাজা নরসিংহের আমলে এই রাজ্যের ব্যাপক উন্নতি ও প্রসার ঘটে এবং বিস্তৃত এই অঞ্চল নরসিংহডিহি নামে পরিচিতি পায়।নগর নরসিংহপুরে রাজা নরসিংহের অধঃস্তন ৫ম পুরুষ কালিদাস সিংহ স্বধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর সোলাইমান খাঁ নামধারণ করেছিলেন। বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ, এই সোলাইমান খাঁ এর-ই পুত্র ছিলেন।ঈশা খাঁ এর শাসনামলে নরসিংদী জেলার এ অঞ্চলটি মহেশ্বরদী পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিলো। নগর নরসিংহপুরে অবস্থিত পারুলিয়া শাহি মসজিদ, বসতভিটার ধ্বংসাবশেষ ও দরগামহল, ঈশা খাঁ এর বংশধর দেওয়ান শরীফ খানের সময়কার স্মৃতি বহন করে আজও জীবন্ত হয়ে আছে। স্থাপনাগুলো প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশী আগেকার মুঘল স্থাপত্যশৈলী ও সৌন্দর্যমন্ডিত টেরাকোটার দৃষ্টিনন্দিত কারুকার্য বহন করছে।মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে মুর্শিদকুলি খাঁ এর কন্যা ও দেওয়ান শরীফ খাঁ এর স্ত্রী জয়নাব বিবি এই মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে, দেওয়ান শরীফ খা আউলিয়া ছিলেন এবং তার স্ত্রী জয়নাব বিবিও ছিলেন অনেক কামেলদার।তাদের প্রথম সাক্ষাৎে একজন অপরজনকে যথাক্রমে বাঘ ও সাপের ওপর সরওয়াররত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। দরগামহলে মাজারের ভেতর তাদের দুজনের চির নিদ্রায় শায়িত কবর দুটি পাশাপাশি-ই রয়েছে যা সাম্প্রতিক দাঙ্গায় মাজার ভাঙার কারনে এখন সরাসরি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
নগর নরসিংহপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন পারকে দেওয়ান শরীফ খাঁ এর নামে আউলিয়ার পার বা পারে আউলিয়া ডাকা হতো যা কালক্রমে পারুলিয়া নামকরন হয়।নগর নরসিংহপুরেই অসংখ্য বাংলা গানের গীতিকবি পাগল দ্বিজদাস/ বৈকুন্ঠনাথ চক্রবর্তী জন্মেছিলেন। যিনি অসংখ্য পান্ডুলিপির দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংগীত জগতকে।
স্বচ্ছ, সলিলা, শীতলক্ষ্যা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা এই নগর নরসিংহপুরের পার একসময় হয়ে ওঠেছিলো ব্যাপক জনপ্রিয়।লোকমুখে জানা যায়, নগর নরসিংহপুরের পার থেকে বর্তমান সোনাইমুড়ীর টেক, মাঝখানে ছিলো পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তৃত জলধারা।ভুমিকম্পের কারনে এই নদের তলদেশ উত্থিত হবার কারনে কালে কালে অসংখ্য চর জাগে এই নদবক্ষে।অসংখ্য চর জাগানিয়া এই নদ বক্ষে নগর নরসিংহপুরের পাশেই সবার আগে যে চর জেগেছিল তা রাজা ধনপদের নামে নামকরন হয়েছিলো ধনার চর, আর তারপর জেগে ওঠে রাজা নরসিংহের নামে অলংকৃত নরসিংহার চর।প্রাকৃতিক সুরক্ষা দিতে এখানে মহিসোপান ও মহিঢাল হিসেবে প্রতিরক্ষা প্রদানে পরবর্তিতে সৃষ্টি হয় যথাক্রমে ঢালুয়ার চর আর সিংহার বিল।সেই সময় নগর নরসিংহপুরে বসবাসরত রাজাদের সেবাদাসে নিয়োজিত কর্মচারীবৃন্দদের আবাসন করা হয়েছিলো এই ধনার চর আর নরসিংহার চরে।পাইক পেয়াদা,ধোপা,বেদে,কামার,কুমার,মাঝি, মাল্লা,স্বর্নকার,বাদ্যকর, দর্জি, ভাষ্পর আর নরসুন্দর ছাড়াও এখানে বেশীরভাগ ঠাঁই পেয়েছিলো কৈবর্ত সম্প্রদায়ের লোকেরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন জাতিতে ধীবর।কালের পরিক্রমায় নগর নরসিংহপুরের রাজবংশীয়দের সাথে নিষাদ এই জাতিরা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিস্তৃত হতে থাকে আর বিস্তৃত এই জনপদ নাম পায় লোকমুখে ধীরে নরসিংহডিহি>নরসিংদী। অথচ, চিরাচরিত গ্রামীণ কিংবা নাগরিক জীবনাবহে বেড়ে ওঠা এই জনপদের অনেকেই আজও জানে না, নগর নরসিংহপুর থেকে প্রসূত নরসিংদী জেলার নামকরনের বর্নিল এই ইতিহাস।আর বর্তমানে নরসিংদী জেলা শিল্প,কৃষি, আনারস,লটকন, কলা ও শিক্ষায় দেশের অন্যতম নামকড়া জেলা।