ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি টিউবওয়েব প্রদানের কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম রুবেল, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও রনি মিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নেত্রকোনার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম রুবেল উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের দীঘলকুর্ষা, মাসুদুর রহমান মাসুদ উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী ও রনি মিয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ জুলাই সরকারি সাব-মার্জিবল টিউবওয়েল প্রদানের কথা বলে স্থানীয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন, ভুক্তভোগী
রুবেলের কাছ থেকে ১৬ হাজার, মাসুদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ও রনির কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪৬ হাজার টাকা নেন। দ্রুত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলেও ৪ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভুক্তভোগীরা টিউবওয়েল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তাগিদ দিলে তিনি আজ নয় কাল বলে তালবাহানা করছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৪৩টি সাব-মার্জিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে প্রায় ১০০টির মতো টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে এবং অন্যগুলো স্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে।
অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম রুবেল বলেন, মূলত যাদের নামে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা জমা প্রদানের কথা। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের উপ সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন দ্রুত টিউবওয়েল বরাদ্দ প্রদানের কথা বললে আমরা তাকে ১০ হাজার করে টাকাসহ অতিরিক্ত আরো ৫-৬ হাজার টাকা করে দিই। তিনি নিজ হাতে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এখন টাকাও নাই। টিউবওয়েলও নাই। তাগাদা দিলে আজ নয় কাল বলে তালবাহানা করছেন। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা অভিযোগকারীদের। টিউবওয়েল প্রদানের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারীদের আমি চিনি না। তারা আমার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ করল-বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি টিউবওয়েব প্রদানের কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম রুবেল, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও রনি মিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নেত্রকোনার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম রুবেল উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের দীঘলকুর্ষা, মাসুদুর রহমান মাসুদ উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী ও রনি মিয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ জুলাই সরকারি সাব-মার্জিবল টিউবওয়েল প্রদানের কথা বলে স্থানীয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন, ভুক্তভোগী
রুবেলের কাছ থেকে ১৬ হাজার, মাসুদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ও রনির কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪৬ হাজার টাকা নেন। দ্রুত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলেও ৪ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভুক্তভোগীরা টিউবওয়েল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তাগিদ দিলে তিনি আজ নয় কাল বলে তালবাহানা করছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৪৩টি সাব-মার্জিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে প্রায় ১০০টির মতো টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে এবং অন্যগুলো স্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে।
অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম রুবেল বলেন, মূলত যাদের নামে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা জমা প্রদানের কথা। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের উপ সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন দ্রুত টিউবওয়েল বরাদ্দ প্রদানের কথা বললে আমরা তাকে ১০ হাজার করে টাকাসহ অতিরিক্ত আরো ৫-৬ হাজার টাকা করে দিই। তিনি নিজ হাতে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এখন টাকাও নাই। টিউবওয়েলও নাই। তাগাদা দিলে আজ নয় কাল বলে তালবাহানা করছেন। তাই আমরা লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা অভিযোগকারীদের। টিউবওয়েল প্রদানের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাহাদত হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারীদের আমি চিনি না। তারা আমার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ করল-বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না।