মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : করাত কলের অনিয়মে পরিবেশের ঝুঁকি -সংবাদ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিপুল সংখ্যক করাত কল পরিচালিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করেছে। উপজেলার বারোটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাজুড়ে যেসব করাত কল চালু রয়েছে, তার অধিকাংশই অনুমোদনবিহীন এবং “বন শিল্প (করাত কল) নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০১২ এর প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ। লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন কাঠ কাটা, বিক্রি ও পরিবহনের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বেড়ে চলছে পরিবেশ দূষণ, শব্দদূষণ ও অগ্নিকা-ের ঝুঁকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর নজরদারির অভাবে অসাধু মালিকরা বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজসংলগ্ন এলাকা ও বাজারঘেঁষে করাত কল গড়ে তুলেছে, যা আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে রাতে শব্দদূষণ বৃদ্ধি, কাঠের গুঁড়োর ধুলায় শ্বাসকষ্ট, শিশু ও বয়স্কদের অসুস্থতা এবং অগ্নিঝুঁকির কারণে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে বন বিভাগ জানিয়েছে, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠপর্যায়ে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও নিরাপত্তা সনদ ছাড়া কোনো করাত কল পরিচালনা করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান জানান, অনুমোদনহীন করাত কল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং আইনগত অপরাধ; তাই মাঠপর্যায়ের যাচাই–বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তারও অনিয়ম বন্ধে কঠোর তদারকি ও আইনি উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সচেতন মহলের মতে, এসব করাত কলকে আইনের আওতায় আনা গেলে সরকার উল্লেখযোগ্য রাজস্ব পাবে এবং মহেশপুরের পরিবেশ ও জননিরাপত্তা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নত হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : করাত কলের অনিয়মে পরিবেশের ঝুঁকি -সংবাদ
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিপুল সংখ্যক করাত কল পরিচালিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করেছে। উপজেলার বারোটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাজুড়ে যেসব করাত কল চালু রয়েছে, তার অধিকাংশই অনুমোদনবিহীন এবং “বন শিল্প (করাত কল) নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০১২ এর প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ। লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন কাঠ কাটা, বিক্রি ও পরিবহনের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বেড়ে চলছে পরিবেশ দূষণ, শব্দদূষণ ও অগ্নিকা-ের ঝুঁকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর নজরদারির অভাবে অসাধু মালিকরা বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজসংলগ্ন এলাকা ও বাজারঘেঁষে করাত কল গড়ে তুলেছে, যা আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে রাতে শব্দদূষণ বৃদ্ধি, কাঠের গুঁড়োর ধুলায় শ্বাসকষ্ট, শিশু ও বয়স্কদের অসুস্থতা এবং অগ্নিঝুঁকির কারণে মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে বন বিভাগ জানিয়েছে, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠপর্যায়ে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও নিরাপত্তা সনদ ছাড়া কোনো করাত কল পরিচালনা করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান জানান, অনুমোদনহীন করাত কল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং আইনগত অপরাধ; তাই মাঠপর্যায়ের যাচাই–বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তারও অনিয়ম বন্ধে কঠোর তদারকি ও আইনি উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সচেতন মহলের মতে, এসব করাত কলকে আইনের আওতায় আনা গেলে সরকার উল্লেখযোগ্য রাজস্ব পাবে এবং মহেশপুরের পরিবেশ ও জননিরাপত্তা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নত হবে।