নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারে জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে বুক-পেট জোড়া লাগানো। শিশু দুটি ও প্রসূতি মা সুস্থ আছেন -সংবাদ
নওগাঁর ধামইরহাটে জোড়া পেটের (কনজয়েন্ট) জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ পরিবারের বাড়িতে ছুটে যান নবজাতক দুটিকে এক নজর দেখতে। জন্মের পর থেকেই এলাকায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পল্লব মার্ডির স্ত্রী তৃষ্ণা বাস্কে শুক্রবার,(২৮ নভেম্বর ২০২৫) দুপুর ২টার দিকে প্রসব বেদনা ওঠলে তাকে পত্নীতলার নজিপুরের নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বুক ও পেট জোড়া লাগানো জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
ক্লিনিকের কর্তব্যরত সার্জন ডা. শুরভী সরকার জানান, ‘সিজারের পর মা ও শিশুদুটি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তবে উন্নত চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। জন্মগতভাবে এ ধরনের শিশুদের দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রয়োজন।’
তৃষ্ণা বাস্কের বাবা মোশেস বাস্কে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মেয়ে গরিব পরিবারের বউ। জামাই একজন বেকার শ্রমিক। মেয়ের অপারেশনই অনেক কষ্টে হয়েছে। এখন আমার নাতনিদের চিকিৎসা ও আলাদা করার বড় অপারেশনের খরচ আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ আমার নাতনিদের জন্য দয়া করে সহায়তার হাত বাড়ান।’
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তো দূরের কথা, নবজাতক দুটির থাকার জায়গাটুকু পর্যন্ত সেভাবে প্রস্তুত ছিল না। তারা প্রশাসন ও সমাজের হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিষ কুমার সরকার জানান, ‘বাচ্চাদুটির জন্মগত সমস্যা জটিল। যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসায় নেয়া প্রয়োজন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত।’
জোড়া পেটের জমজ শিশু দেশে খুবই বিরল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই শিশুদের পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া জটিল হলেও দ্রুত উদ্যোগ নিলে সম্ভাবনা বাড়তে পারে। দরিদ্র এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারটি এখন সমাজের সহায়তার প্রতীক্ষায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নওগাঁর ধামইরহাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারে জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে বুক-পেট জোড়া লাগানো। শিশু দুটি ও প্রসূতি মা সুস্থ আছেন -সংবাদ
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে জোড়া পেটের (কনজয়েন্ট) জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ পরিবারের বাড়িতে ছুটে যান নবজাতক দুটিকে এক নজর দেখতে। জন্মের পর থেকেই এলাকায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পল্লব মার্ডির স্ত্রী তৃষ্ণা বাস্কে শুক্রবার,(২৮ নভেম্বর ২০২৫) দুপুর ২টার দিকে প্রসব বেদনা ওঠলে তাকে পত্নীতলার নজিপুরের নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বুক ও পেট জোড়া লাগানো জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
ক্লিনিকের কর্তব্যরত সার্জন ডা. শুরভী সরকার জানান, ‘সিজারের পর মা ও শিশুদুটি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তবে উন্নত চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। জন্মগতভাবে এ ধরনের শিশুদের দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রয়োজন।’
তৃষ্ণা বাস্কের বাবা মোশেস বাস্কে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মেয়ে গরিব পরিবারের বউ। জামাই একজন বেকার শ্রমিক। মেয়ের অপারেশনই অনেক কষ্টে হয়েছে। এখন আমার নাতনিদের চিকিৎসা ও আলাদা করার বড় অপারেশনের খরচ আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ আমার নাতনিদের জন্য দয়া করে সহায়তার হাত বাড়ান।’
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তো দূরের কথা, নবজাতক দুটির থাকার জায়গাটুকু পর্যন্ত সেভাবে প্রস্তুত ছিল না। তারা প্রশাসন ও সমাজের হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিষ কুমার সরকার জানান, ‘বাচ্চাদুটির জন্মগত সমস্যা জটিল। যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসায় নেয়া প্রয়োজন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত।’
জোড়া পেটের জমজ শিশু দেশে খুবই বিরল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই শিশুদের পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া জটিল হলেও দ্রুত উদ্যোগ নিলে সম্ভাবনা বাড়তে পারে। দরিদ্র এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারটি এখন সমাজের সহায়তার প্রতীক্ষায়।