দিগন্তজুড়ে সোনালি আমন ফসলের দোলা যেন কৃষকেরই হাসির প্রতিচ্ছবি। ছবিটি শুক্রবার সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের কৃষাণ বাজার থেকে তোলা -সংবাদ
দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ খেত জুড়ে আমন ফসলের দোলায় কৃষকের মন উৎকণ্ঠাহীন আনন্দে ভরে উঠেছে। সোনালি আমন ধানের দোলা যেন কৃষকেরই হাসির প্রতিচ্ছবি। আর ক’টা দিন পরই পুরোদমে শুরু হবে আমন ফসল কাটা-মাড়াই উৎসব। কৃষকের খোলান ভরে উঠবে ধানের স্তুপ। মাঠের খবর হচ্ছে- এবার দিনাজপুর জেলায় আমন ফলন হবে বাম্পার। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ফলন উঠবে কৃষকের গোলায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, দিনাজপুর জেলায় চলতি মওসুমে ২ লাখ ৬ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উপশী জাত- ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩০ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৯৯০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১১ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রকৃতির কারণেই অন্তত ১৫ দিন বিলম্বে দিনাজপুর জেলায় কৃষকের ঘরে ফসল উঠে থাকে। চলতি আমন মওসুম শুরুর প্রাক্কালে কিছুটা খরার প্রভাব থাকলে মওসুম শুরু হতেই এ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ব নির্ধারিত পরিমান জমি হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চালের আকারে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন চাল।
গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, উপশী জাত প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৩৩ টন, স্থানীয় জাত প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৯৬ টন এবং হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ০১ টন। তবে অতিরিক্ত জমিতে আবাদ এবং ফলনের ঘনত্ব বেশি অর্থাৎ গাছের গোছায় বেশি পরিমাণ ধান ফলাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিত্রুম করে ১০ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছতে পারে বলে মাঠের কৃষক ও কৃষিবিদরা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।
তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে এবং জমিতে প্রচুর পরিমাণে রস থাকায় আমন আবাদের ফলন চলতি বছর অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। রবি মওসুম শুরুর প্রাক্কালে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন তা অতীতের কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এ অঞ্চলে।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংরক্ষিত রেকর্ড অনুযায়ী ১ আগস্ট হতে ৩১ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ সর্বমোট ৫৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে ১৭৪ মি.মি., দ্বিতীয় সপ্তাহে ২১৯ মি.মি., তৃতীয় সপ্তাহে ৬৭ মি.মি. এবং চতুর্থ সপ্তাহে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতীতের রেকর্ড অনুপাতে আগস্ট মাসে দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড রয়েছে ৩৭০ হতে ৪১০ মিলিমিটার পর্যন্ত।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ভাটিনা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার দুই বিঘা জমিতে উপশী জাতের রোপা বপন করেছেন। মওসুম শুরুর প্রাক্কালে কিছুটা খরার প্রভাবে চিন্তিত করে তোলে। সে ধাক্কা সামাল দিয়ে যখন রোপা বপন সম্পন্ন হয় এবং মাটির স্পর্শে ধানের চারা কোর সোজা করে দাঁড়িছে, ঠিক সে সময় একটানা প্রবল বর্ষণে নিচু জমিতে বপন করা চারা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে জমি হতে পানি নেমে যাওয়ায় ফসল রক্ষা পেয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক প্রেম হরি বর্মণ জানালেন, বড় মাপের এক বিঘা জমিতে জিরা কাটারী ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি সাময়িক সার সংকট এবং ধানে যখন দুধ আসে তখন ফসলে দেখা দেয় পোকার আক্রমন। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ জমির সোনালি ধানের দোলাতেই আমার হাসি।
কৃষাণ বাজার এলাকার কৃষক রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুম শুরুর মাঝ পথে সারের সংকট দেখা দেয়। এক শ্রেণীর অধিক মুনাফা লোভী সার ডিলাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের মূল্য বৃদ্ধি করেন। এতে প্রান্তিক কৃষকরা হতাশ হলেও প্রশাসনের যথাসময়ে হস্তক্ষেপে সে সমস্যার নিরসন হয়। আমনের ফসল এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ আলী বলেন, তিনি তার ৫ বিঘা মাটিতে ২৯ জাতের আমন আবাদ করেছেন। চলতি মওসুমে ফসল আবাদের সব চ্যালেঞ্জ অতিত্রুম করে তিনি আশাবাদী বাম্পার ফলন পাবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং মাটিতে প্রচুর পরিমাণে রস থাকায় ধান গাছের চেহারা, ধানের গোছায় ধানের পরিমান বেশি সার্বিকভাবে আমনের ফলন দেখে কৃষকরা দারুন খুশি। কৃষকের ঘরে ঘরে প্রস্তুতি চলছে নতুন ফসল কাঁটা-মাড়াই করে তা গোলায় তোলার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন জানান, চলতি আমন মওসুমে আমাদের বড় মাপের দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। প্রথম চ্যালেঞ্জটি ছিল অধিক বৃষ্টিপাত। আগস্ট মাস জুড়ে এ অঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা অতীতে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সে পরিমাণ বৃষ্টি যদি সেপটেম্বর মাস জুড়ে হতো তা হলে আমন আবাদ হুমকীর মুখে পড়ে যেত। এরপর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো, ধানের পেটে যখন দুধ আসে তখন দেখা দেয় কারেন্ট পোকার উপদ্রব। কৃষি বিভাগের প্রযুক্তি ও পরামর্শ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের পোকার আত্রুমন থেকে ফসল রক্ষা পেয়েছে। এখন কৃষকরা ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁদের পরিশ্রমের ফসল খেত থেকে নিজ খোলানে তোলার। ফসল কাটা-মাড়াই মওসুমের আবহাওয়াও অনুকূলে থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তর আভাষ দিয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দিগন্তজুড়ে সোনালি আমন ফসলের দোলা যেন কৃষকেরই হাসির প্রতিচ্ছবি। ছবিটি শুক্রবার সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের কৃষাণ বাজার থেকে তোলা -সংবাদ
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ খেত জুড়ে আমন ফসলের দোলায় কৃষকের মন উৎকণ্ঠাহীন আনন্দে ভরে উঠেছে। সোনালি আমন ধানের দোলা যেন কৃষকেরই হাসির প্রতিচ্ছবি। আর ক’টা দিন পরই পুরোদমে শুরু হবে আমন ফসল কাটা-মাড়াই উৎসব। কৃষকের খোলান ভরে উঠবে ধানের স্তুপ। মাঠের খবর হচ্ছে- এবার দিনাজপুর জেলায় আমন ফলন হবে বাম্পার। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ফলন উঠবে কৃষকের গোলায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, দিনাজপুর জেলায় চলতি মওসুমে ২ লাখ ৬ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উপশী জাত- ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩০ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৯৯০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১১ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রকৃতির কারণেই অন্তত ১৫ দিন বিলম্বে দিনাজপুর জেলায় কৃষকের ঘরে ফসল উঠে থাকে। চলতি আমন মওসুম শুরুর প্রাক্কালে কিছুটা খরার প্রভাব থাকলে মওসুম শুরু হতেই এ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ব নির্ধারিত পরিমান জমি হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চালের আকারে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন চাল।
গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, উপশী জাত প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৩৩ টন, স্থানীয় জাত প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৯৬ টন এবং হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ০১ টন। তবে অতিরিক্ত জমিতে আবাদ এবং ফলনের ঘনত্ব বেশি অর্থাৎ গাছের গোছায় বেশি পরিমাণ ধান ফলাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিত্রুম করে ১০ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছতে পারে বলে মাঠের কৃষক ও কৃষিবিদরা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।
তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে এবং জমিতে প্রচুর পরিমাণে রস থাকায় আমন আবাদের ফলন চলতি বছর অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। রবি মওসুম শুরুর প্রাক্কালে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন তা অতীতের কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এ অঞ্চলে।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংরক্ষিত রেকর্ড অনুযায়ী ১ আগস্ট হতে ৩১ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ সর্বমোট ৫৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহে ১৭৪ মি.মি., দ্বিতীয় সপ্তাহে ২১৯ মি.মি., তৃতীয় সপ্তাহে ৬৭ মি.মি. এবং চতুর্থ সপ্তাহে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতীতের রেকর্ড অনুপাতে আগস্ট মাসে দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড রয়েছে ৩৭০ হতে ৪১০ মিলিমিটার পর্যন্ত।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ভাটিনা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার দুই বিঘা জমিতে উপশী জাতের রোপা বপন করেছেন। মওসুম শুরুর প্রাক্কালে কিছুটা খরার প্রভাবে চিন্তিত করে তোলে। সে ধাক্কা সামাল দিয়ে যখন রোপা বপন সম্পন্ন হয় এবং মাটির স্পর্শে ধানের চারা কোর সোজা করে দাঁড়িছে, ঠিক সে সময় একটানা প্রবল বর্ষণে নিচু জমিতে বপন করা চারা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে জমি হতে পানি নেমে যাওয়ায় ফসল রক্ষা পেয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক প্রেম হরি বর্মণ জানালেন, বড় মাপের এক বিঘা জমিতে জিরা কাটারী ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি সাময়িক সার সংকট এবং ধানে যখন দুধ আসে তখন ফসলে দেখা দেয় পোকার আক্রমন। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ জমির সোনালি ধানের দোলাতেই আমার হাসি।
কৃষাণ বাজার এলাকার কৃষক রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুম শুরুর মাঝ পথে সারের সংকট দেখা দেয়। এক শ্রেণীর অধিক মুনাফা লোভী সার ডিলাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের মূল্য বৃদ্ধি করেন। এতে প্রান্তিক কৃষকরা হতাশ হলেও প্রশাসনের যথাসময়ে হস্তক্ষেপে সে সমস্যার নিরসন হয়। আমনের ফসল এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ আলী বলেন, তিনি তার ৫ বিঘা মাটিতে ২৯ জাতের আমন আবাদ করেছেন। চলতি মওসুমে ফসল আবাদের সব চ্যালেঞ্জ অতিত্রুম করে তিনি আশাবাদী বাম্পার ফলন পাবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং মাটিতে প্রচুর পরিমাণে রস থাকায় ধান গাছের চেহারা, ধানের গোছায় ধানের পরিমান বেশি সার্বিকভাবে আমনের ফলন দেখে কৃষকরা দারুন খুশি। কৃষকের ঘরে ঘরে প্রস্তুতি চলছে নতুন ফসল কাঁটা-মাড়াই করে তা গোলায় তোলার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন জানান, চলতি আমন মওসুমে আমাদের বড় মাপের দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। প্রথম চ্যালেঞ্জটি ছিল অধিক বৃষ্টিপাত। আগস্ট মাস জুড়ে এ অঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা অতীতে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সে পরিমাণ বৃষ্টি যদি সেপটেম্বর মাস জুড়ে হতো তা হলে আমন আবাদ হুমকীর মুখে পড়ে যেত। এরপর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো, ধানের পেটে যখন দুধ আসে তখন দেখা দেয় কারেন্ট পোকার উপদ্রব। কৃষি বিভাগের প্রযুক্তি ও পরামর্শ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের পোকার আত্রুমন থেকে ফসল রক্ষা পেয়েছে। এখন কৃষকরা ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁদের পরিশ্রমের ফসল খেত থেকে নিজ খোলানে তোলার। ফসল কাটা-মাড়াই মওসুমের আবহাওয়াও অনুকূলে থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তর আভাষ দিয়েছে।