কক্সবাজার : সেন্টমাটিনে পর্যটকের ভিড় -সংবাদ
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে আজ থেকে নিয়মিত জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। দুই মাস ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত—পর্যটকেরা এই প্রবাল দ্বীপে গিয়ে রাত্রীযাপনের সুযোগ পাবেন। আজ সোমবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। মৌসুমের প্রথম এই যাত্রায় রয়েছেন ১ হাজার ১০৬ জন পর্যটক। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শহিদুল আলম বলেন, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। পরিবেশ সংবেদনশীল এই দ্বীপে পর্যটন কার্যক্রম টেকসই রাখতে সরকারের জারি করা ১২ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করা হবে।
এডিএম শহিদুল আলম আরও জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, কেয়ারী সিন্দাবাদ এবং কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনসহ চারটি জাহাজ কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে—কিউআর কোড ছাড়া টিকিটকে বৈধ ধরা হবে না। দ্বীপের নাজুক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত অক্টোবরে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
নির্দেশনা অনুযায়ী—রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো বা উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান করা যাবে না, বারবিকিউ পার্টি ও কেয়াবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ, প্রবাল, কেয়াফল সংগ্রহ ও ক্রয়বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, রাজকাঁকড়া ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষতি হয় এমন যেকোনো কর্মকা- দ-নীয়, সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ, পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, এসব নির্দেশনা মানতেই পর্যটন মৌসুমের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
নৌপথে যাতায়াত, রাত্রীযাপন এবং দ্বীপের পরিবেশ—সবকিছুকে নিরাপদ রেখে পর্যটনকে আরও শৃঙ্খলিত করতে চান তাঁরা। সকালবেলার যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে এ বছরের সেন্টমার্টিন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন কার্যক্রম চালু হলো। দুই মাস ভ্রমণের সুযোগ থাকায় স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও নতুন মৌসুমে ভালো সাড়া পাওয়ার আশা করছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কক্সবাজার : সেন্টমাটিনে পর্যটকের ভিড় -সংবাদ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে আজ থেকে নিয়মিত জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। দুই মাস ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত—পর্যটকেরা এই প্রবাল দ্বীপে গিয়ে রাত্রীযাপনের সুযোগ পাবেন। আজ সোমবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। মৌসুমের প্রথম এই যাত্রায় রয়েছেন ১ হাজার ১০৬ জন পর্যটক। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শহিদুল আলম বলেন, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। পরিবেশ সংবেদনশীল এই দ্বীপে পর্যটন কার্যক্রম টেকসই রাখতে সরকারের জারি করা ১২ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করা হবে।
এডিএম শহিদুল আলম আরও জানান, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, কেয়ারী সিন্দাবাদ এবং কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনসহ চারটি জাহাজ কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে—কিউআর কোড ছাড়া টিকিটকে বৈধ ধরা হবে না। দ্বীপের নাজুক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত অক্টোবরে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
নির্দেশনা অনুযায়ী—রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো বা উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান করা যাবে না, বারবিকিউ পার্টি ও কেয়াবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ, প্রবাল, কেয়াফল সংগ্রহ ও ক্রয়বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, রাজকাঁকড়া ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষতি হয় এমন যেকোনো কর্মকা- দ-নীয়, সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ, পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, এসব নির্দেশনা মানতেই পর্যটন মৌসুমের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
নৌপথে যাতায়াত, রাত্রীযাপন এবং দ্বীপের পরিবেশ—সবকিছুকে নিরাপদ রেখে পর্যটনকে আরও শৃঙ্খলিত করতে চান তাঁরা। সকালবেলার যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে এ বছরের সেন্টমার্টিন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন কার্যক্রম চালু হলো। দুই মাস ভ্রমণের সুযোগ থাকায় স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও নতুন মৌসুমে ভালো সাড়া পাওয়ার আশা করছেন।