ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধ করি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্তু ১৬ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, আলোচনা সভা, র্যালি, গণসমাবেশ ও পালাগানের আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার ধিনষ প্রকল্পের উপজেলা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশন এবং এলএফ ও সদস্যদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রামের জেলা এসোসিয়েশন এর সভাপতি আমিনুর রহমান মাস্টার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহিংসতা বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে সচেতনতার বৃত্ত গড়ে তুলতে হবে।
উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল সহিংসতা শুধু একটি সামাজিক সমস্যা নয়, এটি নারীর মনোযোগ ও ভবিষ্যৎকে বাধাগ্রস্থ করে। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সমাজে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন।তাঁদের সচেতনতাই পরিবার ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছফের আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা. মাজেদা খাতুন, দক্ষিণ খঞ্জনমারা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোছা. মমতাজ বেগম। বক্তারা সকলেই নারী ও কিশোরীদের প্রতি অনলাইন হয়রানি, অপমান, প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলসহ ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
তারা বলেন, পরিবার থেকেই শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)-এর পক্ষ থেকে ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর একেএম এনামুল করিম ও আবু সাঈদ তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপজেলা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়শনের সদস্য, স্কুল শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বার্তা পৌঁছে দিতে পালাগানের আয়োজন করা হয়, যা স্থানীয় মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই অনুষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধ করি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্তু ১৬ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, আলোচনা সভা, র্যালি, গণসমাবেশ ও পালাগানের আয়োজন করে।
গতকাল বুধবার ধিনষ প্রকল্পের উপজেলা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশন এবং এলএফ ও সদস্যদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রামের জেলা এসোসিয়েশন এর সভাপতি আমিনুর রহমান মাস্টার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহিংসতা বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে সচেতনতার বৃত্ত গড়ে তুলতে হবে।
উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল সহিংসতা শুধু একটি সামাজিক সমস্যা নয়, এটি নারীর মনোযোগ ও ভবিষ্যৎকে বাধাগ্রস্থ করে। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সমাজে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন।তাঁদের সচেতনতাই পরিবার ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছফের আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা. মাজেদা খাতুন, দক্ষিণ খঞ্জনমারা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোছা. মমতাজ বেগম। বক্তারা সকলেই নারী ও কিশোরীদের প্রতি অনলাইন হয়রানি, অপমান, প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলসহ ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
তারা বলেন, পরিবার থেকেই শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)-এর পক্ষ থেকে ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর একেএম এনামুল করিম ও আবু সাঈদ তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপজেলা কৃষি পণ্য উৎপাদক অ্যাসোসিয়শনের সদস্য, স্কুল শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বার্তা পৌঁছে দিতে পালাগানের আয়োজন করা হয়, যা স্থানীয় মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই অনুষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা করেন।