ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জয়পুরহাটে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নুরুন্নাহারকে হত্যা, খাদিজাকে গুরুতর আহত। জেলার সদর উপজেলার চিরলা গ্রামে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল দিয়ে রহস্যজনক হত্যাকারে এই ঘটনা ঘটেছে। একই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় নুরুন্নাহার বেগমকে (৪৫) হত্যা করা হয় এবং তার ভাতিজি খাদিজাকে (১৫) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা পাশের ঘরে থাকলেও কোনো সাঁড়া শব্দ শুনতে পাননি। গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের চিরলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদেরসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা সুকৌশলে এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। এছাড়া নিহতের ভাতিজি আহত হয়েছে। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) চিরলা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে বলে জানা গেছে। আর আহত খাদিজা (১৫) একই গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে। সে পলীবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। নুরুন্নাহার ও খাদিজা সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।
নিহতের ভাবী মীম আক্তার জানান, আমি, আমার ছোট মেয়ে, শ্বশুর, ননদ নুরুন্নাহার ও ভাতিজি খাদিজা একই বাড়িতে থাকি। মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। ননদ ও ভাতিজি একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ৩টার পর তাদের ঘর থেকে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার শব্দ পাই। তখন দরজা খুলতে গিয়ে খুলতে পারিনি, বাইরে সিটকানি দেওয়া ছিল। পরে আমার ভাসুরকে কল করে ডেকে নেই। বের হয়ে দেখি ননদ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানা ওপর পড়ে আছে, আর ভাতিজি নিচে। ঘটনার সময় পাশের রূমে কোন হৈচৈয়ের শব্দ পাননি বলে জানান তিনি।
প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে চেঁচামেচির শব্দ শুনে ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি নুরুন্নাহার বিছানার ওপর পড়ে আছে। আর নিচে খাদিজা পড়েছিল। স্বজনেরা দ্রূত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। নুরুন্নাহার আগেই মারা গিয়েছিল। আর খাদিজাকে বগুড়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন বলেন, নুরুন্নাহার নামে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আমরা জানতে পরি নুরূন্নাহার এবং তার ভাতিজি খাদিজা একই ঘরে থাকতো এবং ওই ঘরে সুকৌশলে কেউ প্রবেশ করে। এরপর টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে তার ফুফুকে আহত করে। পরবর্তীতে তার ফুফু মারা যায়। ভাতিজি খাদিজা গুরুতর আহত হয়। সে বর্তমানে বগুড়া মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল সত্যতা জানা যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
জয়পুরহাটে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নুরুন্নাহারকে হত্যা, খাদিজাকে গুরুতর আহত। জেলার সদর উপজেলার চিরলা গ্রামে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল দিয়ে রহস্যজনক হত্যাকারে এই ঘটনা ঘটেছে। একই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় নুরুন্নাহার বেগমকে (৪৫) হত্যা করা হয় এবং তার ভাতিজি খাদিজাকে (১৫) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা পাশের ঘরে থাকলেও কোনো সাঁড়া শব্দ শুনতে পাননি। গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের চিরলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদেরসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা সুকৌশলে এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। এছাড়া নিহতের ভাতিজি আহত হয়েছে। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) চিরলা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে বলে জানা গেছে। আর আহত খাদিজা (১৫) একই গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে। সে পলীবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। নুরুন্নাহার ও খাদিজা সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।
নিহতের ভাবী মীম আক্তার জানান, আমি, আমার ছোট মেয়ে, শ্বশুর, ননদ নুরুন্নাহার ও ভাতিজি খাদিজা একই বাড়িতে থাকি। মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। ননদ ও ভাতিজি একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ৩টার পর তাদের ঘর থেকে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার শব্দ পাই। তখন দরজা খুলতে গিয়ে খুলতে পারিনি, বাইরে সিটকানি দেওয়া ছিল। পরে আমার ভাসুরকে কল করে ডেকে নেই। বের হয়ে দেখি ননদ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানা ওপর পড়ে আছে, আর ভাতিজি নিচে। ঘটনার সময় পাশের রূমে কোন হৈচৈয়ের শব্দ পাননি বলে জানান তিনি।
প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে চেঁচামেচির শব্দ শুনে ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি নুরুন্নাহার বিছানার ওপর পড়ে আছে। আর নিচে খাদিজা পড়েছিল। স্বজনেরা দ্রূত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। নুরুন্নাহার আগেই মারা গিয়েছিল। আর খাদিজাকে বগুড়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন বলেন, নুরুন্নাহার নামে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আমরা জানতে পরি নুরূন্নাহার এবং তার ভাতিজি খাদিজা একই ঘরে থাকতো এবং ওই ঘরে সুকৌশলে কেউ প্রবেশ করে। এরপর টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে তার ফুফুকে আহত করে। পরবর্তীতে তার ফুফু মারা যায়। ভাতিজি খাদিজা গুরুতর আহত হয়। সে বর্তমানে বগুড়া মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল সত্যতা জানা যাবে।