alt

৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার হানাদারমুক্ত দিবস

প্রতিনিধি, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) : বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

৪ ডিসেম্বর কুমিল্লার দেবীদ্বার হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেবীদ্বার পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা সেই দিনগুলোতে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল একে একে হানাদারমুক্ত হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বারও মুক্ত হয়। ওইদিন মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস করে দেয়। মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল আর. ডি. হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে দেবীদ্বারে প্রবেশ করলে রাতের আঁধারেই পাক হানাদাররা দেবীদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যায়।

মুক্ত এলাকার দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে দেবীদ্বার থেকে চান্দিনা অভিমুখে যাওয়ার পথে মোহনপুর এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারণে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে মিত্রবাহিনীর ছয় সেনা শহীদ হন।

এইদিন দেবীদ্বারের আকাশে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলার পতাকা। হাজারো জনতা ও মুক্তিযোদ্ধার বিজয় উল্লাসে উপজেলা সদর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দেবীদ্বার মুক্তিযুদ্ধের সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। কারণ খুব কাছেই ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সেনাছাউনি ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট। স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিন পরই এই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাক সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ১৫ জন পাক সেনাকে হত্যা করেন; শহীদ হন ৩৩ জন বাঙালি যোদ্ধা। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামেই হানাদারদের নৃশংসতার দাগ আজও স্মৃতিচিহ্ন হয়ে রয়েছে।

ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা-নেতাদের ভারত সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার নিরাপদ পথ ছিল দেবীদ্বার এলাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য ফতেহাবাদের নলআরা জঙ্গল এবং ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের এলাহাবাদের নিজবাড়িতে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার দিক থেকে দেবীদ্বার ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযোদ্ধা অধ্যুষিত এলাকা।

দেবীদ্বার অঞ্চলে পাক হানাদারদের বর্বরতার সাক্ষী হয়ে আছে ১৯ শহীদের গণকবর, পোনরা শহীদ আবুবকরের কবর, ভূষনা ও বারুর গ্রামের শহীদদের কবর, মাওলানা আলীমুদ্দিন পীরের দুই নাতির কবর, ভিড়াল্লার শহীদ মজিবুর রহমান খানের কবর, মহেশপুরের ১৪ মুক্তিযোদ্ধার কবর, বরকামতার ২৬ শহীদের কবরসহ অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ।

ছবি

দুমকিতে নতুন ইউএনওর সাথে মতবিনিময়

মাইজভান্ডার ওরশ উপলক্ষে প্রশাসনিক সমন্বয় সভা

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় একই রাতে ৫ জুয়েলার্স ও তিন বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

রায়পুরে কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

ছবি

গজারিয়ায় পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

মানিকগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি

ছবি

রায়পুরায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রাণতোষ সরকারকের গুলি করে হত্যা

ছবি

কালীগঞ্জে টানা আন্দোলনে স্বাস্থ্যসেবায় অচলাবস্থায়

ছবি

রায়গঞ্জে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ছবি

কুষ্টিয়ায় কিল-ঘুসিতে গাড়িচালকের মৃত্যু গ্রেপ্তারের দাবীতে মানবন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় ইয়াবাসহ আটক ১

ছবি

সুর সুধা সঙ্গীতায়নের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস উদযাপন

ছবি

আমন ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ

ছবি

চাটমোহরে মহিলা দলের দুই নেত্রী গ্রেপ্তার

ছবি

রাণীনগরে ট্রাক্টর উল্টে শিশুসহ আহত ৪

ছবি

জয়পুরহাটে ঘরে ঢুকে নুরুন্নাহারকে হত্যা, আহত ১

ছবি

রাজিবপুরে আগুনে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন

ছবি

কেশবপুরে বিলের পানি নিষ্কাশনে পাথরা সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন

ছবি

দোয়ারাবাজারে বোতলে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল, অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

ছবি

আধুনিকতার ছোঁয়ায় সিরাজগঞ্জে নবান্নের উৎসব হারিয়ে যেতে বসেছে

ছবি

সিরাজগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক

ছবি

দুমকিতে হোটেল ভস্মীভূত, ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

ছবি

চিরিরবন্দরে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষে আহত ৭ নিহত ২

ছবি

রাজিবপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপিত

ছবি

শিক্ষকদের কর্ম বিরতি বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ছবি

লালমনিরহাটে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৩

ছবি

সাপাহারে শীতের নরম ছোঁয়ায় গরম কাপড়ের বাজারে ব্যস্ততা

ছবি

চসিকের শান্তিবাগে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

ছবি

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

ছবি

কেরানীগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেডের দাবিতে কর্মবিরতি

ছবি

আত্মসম্মান তাকে আজও ধরে রেখেছে নিজের কাজে, নিজের উপার্জনে

ছবি

দশমিনায় দেশীয় প্রজাতির কামরাঙ্গা শিম বিলুপ্তির পথে

ছবি

মীরসরাইয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন

ছবি

সবকিছু থেমে গেছে আমাদের জীবনে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে কমলার

ছবি

ভিনদেশি বরই চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরল গিয়াসের

tab

৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার হানাদারমুক্ত দিবস

প্রতিনিধি, দেবীদ্বার (কুমিল্লা)

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

৪ ডিসেম্বর কুমিল্লার দেবীদ্বার হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেবীদ্বার পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা সেই দিনগুলোতে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল একে একে হানাদারমুক্ত হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বারও মুক্ত হয়। ওইদিন মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস করে দেয়। মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল আর. ডি. হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে দেবীদ্বারে প্রবেশ করলে রাতের আঁধারেই পাক হানাদাররা দেবীদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যায়।

মুক্ত এলাকার দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে দেবীদ্বার থেকে চান্দিনা অভিমুখে যাওয়ার পথে মোহনপুর এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারণে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে মিত্রবাহিনীর ছয় সেনা শহীদ হন।

এইদিন দেবীদ্বারের আকাশে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলার পতাকা। হাজারো জনতা ও মুক্তিযোদ্ধার বিজয় উল্লাসে উপজেলা সদর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দেবীদ্বার মুক্তিযুদ্ধের সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। কারণ খুব কাছেই ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সেনাছাউনি ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট। স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিন পরই এই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাক সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ১৫ জন পাক সেনাকে হত্যা করেন; শহীদ হন ৩৩ জন বাঙালি যোদ্ধা। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামেই হানাদারদের নৃশংসতার দাগ আজও স্মৃতিচিহ্ন হয়ে রয়েছে।

ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা-নেতাদের ভারত সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার নিরাপদ পথ ছিল দেবীদ্বার এলাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের জন্য ফতেহাবাদের নলআরা জঙ্গল এবং ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের এলাহাবাদের নিজবাড়িতে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার দিক থেকে দেবীদ্বার ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযোদ্ধা অধ্যুষিত এলাকা।

দেবীদ্বার অঞ্চলে পাক হানাদারদের বর্বরতার সাক্ষী হয়ে আছে ১৯ শহীদের গণকবর, পোনরা শহীদ আবুবকরের কবর, ভূষনা ও বারুর গ্রামের শহীদদের কবর, মাওলানা আলীমুদ্দিন পীরের দুই নাতির কবর, ভিড়াল্লার শহীদ মজিবুর রহমান খানের কবর, মহেশপুরের ১৪ মুক্তিযোদ্ধার কবর, বরকামতার ২৬ শহীদের কবরসহ অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ।

back to top